ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বছর জুড়ে নানা উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীন এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)প্রকল্প। এর মধ্যে দিয়েই সুগম হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথ। তথ্য ও সেবাপ্রাপ্তি, লেনদেন ও সরকার ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয় এ প্রকল্পের অধীনে। প্রযুক্তিনির্ভর সেবা উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরূপ এটুআই এবং এর উদ্যোগসমূহ বছরজুড়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ১৭টিরও বেশি পুরস্কার পেয়েছে।
সরকারি প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও মানোন্নয়ন করতে ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এটুআই। এ ছাড়া বেসরকারি খাতের দক্ষতা বাড়াতেও এটুআইয়ের ভূমিকা রয়েছে। এই প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থাপনা ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যের জন্য এবছর আন্তর্জাতিক মান সংস্থার (আইএসও) সনদ পায় এটুআই।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সেবাও দিচ্ছে প্রকল্পটি। এ লক্ষ্যে এটুআইয়ের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফল হিসেবে সরকার এক্সেসিবিলিটি গাইডলাইনও প্রণয়ন করেছে।
এ ছাড়া দেশের জনবান্ধব সেবাব্যবস্থা ও উদ্ভাবনী সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় এটুআই-কে প্রকল্প থেকে এজেন্সি গঠন করতে একাদশ জাতীয় সংসদে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই)’ বিল পাস করা হয়েছে।
ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন চালু করা হয়েছে এ প্রকল্পের অধীনে। নিউইয়র্কে ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন’ উদ্যোগের সূচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে বিশ্বব্যাপী শুরু হয়েছে জিরো ডিজিটাল ডিভাইড (#ZeroDigitalDivide) গ্লোবাল ক্যাম্পেইন।