আকাশ ডিটিএইচ বলছে, বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচারের জন্য তাদের তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন বা অনাপত্তিপত্র রয়েছে। বর্তমানে এর মাধ্যমেই গ্রাহকরা বৈধ উপায়ে স্টার চ্যানেলগুলো দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে, কিছু ব্যক্তি, ক্যাবল অপারেটর ও ফিড অপারেটর অবৈধ আইপি ফিড থেকে কনটেন্ট পাইরেসি অথবা ভারতীয় ডিটিএইচ অপারেটরদের কাছ থেকে কানেকশন নিয়ে অর্থপাচারের সাথে জড়িত রয়েছে।
রেগুলার ও বেসিক কানেকশনের আওতায় মাসিক ৩৯৯ টাকায় ৪০টির বেশি এইচডিসহ ১২০টির বেশি চ্যানেল দেখার জন্য আকাশ স্ট্যান্ডার্ড এবং আকাশ লাইট প্যাকেজে মাসিক ২৪৯ টাকায় ২০টির বেশি এইচডি চ্যানেলসহ ৭০টির বেশি চ্যানেল উপভোগ করতে পারবেন আকাশ ডিটিএইচ’র গ্রাহকরা।
প্রতিষ্ঠানটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আকাশের সব চ্যানেলই বৈধ এবং সরকার অনুমোদিত।
আকাশ ডিটিএইচ’র হেড অব মার্কেটিং অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট মুহাম্মদ আবুল খায়ের চৌধুরী বলেন, ‘সব ধরনের বিধিবিধান মেনে আমরা বাংলাদেশের গ্রাহকদের টিভি দেখার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সেবাটা দিতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সেবার (যেমন মাসিক গ্রাহক ফি) ওপর সরকারকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং কাস্টমার প্রিমাইজ ইক্যুইপমেন্ট (সিপিই) বা ডিভাইস আমদানি এবং গ্রাহকের কাছে তা বিক্রির জন্য নির্ধারিত শুল্ক ও কর দিচ্ছি।’
এ খাত যদি সেবার ওপর সঠিক ভ্যাট সরকারকে প্রদান করে তবে সরকারের ভ্যাট আদায়ের বড় উৎস হবে এ খাতটি।
২০১৯ সালের মে মাস থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’র ফিড ব্যবহার করে সেবা প্রদান শুরু করে দেশের বৈধ ডিটিএইচ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান আকাশ ডিটিএইচ। বর্তমানে সেবাটি দেশের ৬৪ জেলাতেই রয়েছে এবং দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে একই মানের সেবা উপভোগ করা যাবে।
নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত টিভি দেখার ক্ষেত্রে আকাশের বিকল্প নেই, জানায় প্রতিষ্ঠানটি।