দ্রোহ আর প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) শাহবাগের সুপার হোম হোস্টেল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
সুপার হোস্টেলের ওয়াশরুমের দরজা খুলে মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া গেছে। দুপুর সোয়া ২টার দিকে ওয়াশরুমের দরজা খোলা হয়।
জানা যায়, পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন, এতে রক্তক্ষরণও হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তার মরদেহ আছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, ‘বেলা আড়াইটার দিকে হোটেলের লোকজন তাকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসেন। পুলিশ বিষয়টি তত্বাবধায়ন করছে।’
আরও পড়ুন: জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার আর নেই
গত কয়েক বছর ধরে গ্লুকোমা, কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও স্নায়বিক ব্যাধিসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন প্রতিভাধর এই কবি।
সাংবাদিক মাহমুদ হাফিজ জানিয়েছেন, আগামীকাল (শনিবার) বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে কবির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
কবি হেলাল হাফিজ ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা খোরশেদ আলী তালুকদার পেশায় ছিলেন স্কুলশিক্ষক আর মা কোকিলা বেগম গৃহিণী।
অনেকটা বোহেমিয়ান জীবন কাটালেও সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন কবি হেলাল হাফিজ।
সাংবাদিক ও সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেছেন তিনি। সর্বশেষ দৈনিক যুগান্তরে কর্মরত ছিলেন কবি।
হেলাল হাফিজের প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'যে জলে আগুন জ্বলে' প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। তার দ্বিতীয় এবং শেষ কাব্যগ্রন্থ 'বেদনাকে বলেছি কেঁদো না' প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে।
সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৩ সালে তিনি কবিতায় বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান।