এছাড়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একজন ব্যর্থ নেতা অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা ছাড়বেন ট্রাম্প।’
রবিবার টুইটারে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় সোয়ার্জনেগার বলেন, ১৯৩৮ সালে ইহুদিদের ওপর নাৎসিদের চালানো হামলা যা ‘নাইট অব ব্রোকেন গ্লাস’ নামে পরিচিত। ক্যাপিটল হিলে যা ঘটেছে তাও যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডে অব ব্রোকেন গ্লাস’।
‘ক্যাপিটল হিলে হামলাকারীরা কেবল আমাদের মর্যাদা ছিন্নভিন্ন করেনি, তারা সেই নীতিগুলোকেও পদদলিত করেছে যার ভিত্তিতে আমাদের দেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল,’ বলেন তিনি।
ক্যাপিটল হিলে সংঘর্ষ: ভিডিওতে নৃশংসতা প্রকাশের পর আরও অনেকে গ্রেপ্তার
সোয়ার্জনেগার বলেন, ‘আমি অস্ট্রিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছি। এখন পর্যন্ত আমি কোনোদিন প্রকাশ্যে বেদনাদায়ক সেই ঘটনার কথা বলিনি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা নাৎসিদের সেসব ঘটনার কথাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।’
ক্যাপিটল হিলে হামলার মধ্যে দিয়ে ট্রাম্প সমর্থকরা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ছোট করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে মানুষকে ভুলপথে চালিত করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে ফেলতে চেয়েছিলেন। আর সে লক্ষ্যেই ক্যাপিটল হিলে হামলা চালানো হয়।’
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য বুধবার অধিবেশন চলার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত সমর্থক আমেরিকার আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল হিলে ঢুকে পড়ে এবং দাঙ্গা সৃষ্টি করে।
ট্রাম্পকে অভিশংসনের পরিকল্পনা ডেমোক্র্যাটদের
ওই হামলায় পাঁচজন নিহত এবং আহত হন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। সহিংসতার শিকার হন গণমাধ্যমের সদস্যরাও।
যা ঘটেছিল ক্যাপিটল হিলে
দিনের শুরুতে হাজার হাজার ট্রাম্প সমর্থক 'আমেরিকা বাচাও' নামক একটি গণজমায়েতে অংশ নিতে ওয়াশিংটনে আসে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই জনসভায় ভাষণ দিয়ে জো বাইডেনের বিজয় অনুমোদন করার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন।
নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে কয়েক ঘণ্টা ভবন কার্যত দখল করে রাখার পর বিক্ষোভকারীরা ধীরে ধীরে ক্যাপিটল প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাইরে চলে যেতে থাকে।
সমর্থকদের ‘প্রশংসা’ করে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিলেন ট্রাম্প
পরবর্তীতে রাজধানী ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টার কারফিউ ঘোষণা করা হলেও শত শত বিক্ষোভকারীকে রাজপথে জটলা পাকাতে দেখা যায়।
জো বাইডেন ঘটনাকে একটি 'বিদ্রোহ' বলে আখ্যায়িত করেন, আর ট্রাম্প একটি ভিডিও বার্তায় তার সমর্থকদের বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ করেন।
এছাড়া শোরগোলের মধ্যে বাইডেনের জয় অনুমোদন করার জন্য কংগ্রেস অধিবেশন স্থগিত করা হয়। এটি ছিল আমেরিকার সংসদের দুই কক্ষ- হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভ বা প্রতিনিধি সভা এবং সেনেট-এর যৌথ অধিবেশন।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনে ট্রাম্প সমর্থকদের নজিরবিহীন হামলা, নিহত ৪