‘জলসিঁড়ি’ ১৮তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে ‘সৃষ্টির বৈচিত্রে করি সত্তার সন্ধান’ স্লোগানকে ধারণ করে শনিবার থেকে শুরু হয় এই সাংস্কৃতিক মেলা। ‘জলসিঁড়ি’ ছাড়াও দুটি নাটক দলের অংশগ্রহণে এই উৎসব চলবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এবারের সাংস্কৃতিক উৎসবে অন্যান্য দিনে থাকছে দেশ নাটিকের ‘নিত্যপূরাণ’ (২২ ফেব্রুয়ারি), ‘জলসিঁড়ি’র কাওয়ালী সন্ধ্যা (২৩ ফেরুয়ারি), বাতিঘরের নাটক ‘উর্ণাজাল’ (২৪ফেব্রুয়ারি), ‘জলসিঁড়ির’ চন্দ্রাবতী (২৫ ফেব্রুয়ারি), ২৬ ও ২৮ ফেব্রুয়ারিতে ফানুস-উৎসব এবং পুনর্মিলনী।
উৎসবের আহ্বায়ক আসিফা সুলতানা আশা বলেন, ‘আমরা শ্রম ও মেধায় বাবুই পাখির মত সৃষ্টিশীল হতে চাই’- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ‘জলসিঁড়ি’ তার দৃপ্ত পদচারণা শুরু করে ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০০২ সালে। এই স্বল্প সময়ে আমাদের সংগঠনটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদেরকে সর্বাধিক দর্শকপ্রিয় সংগঠনগুলোর প্রথম সারির একটি সংগঠন হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ‘জলসিঁড়ি’র প্রযোজনা সংখ্যা ১৪৯টি। গান এবং নাটকের ক্ষেত্রে ‘জলসিঁড়ি’ নিজস্ব সত্তার অধিকারী। সঙ্গীতের বিভিন্ন অঙ্গনে আর নাটকের প্রায় সবগুলো শাখাতেই রয়েছে ‘জলসিঁড়ি’র পদচারণা। ঐতিহ্যকে লালন করার পাশাপাশি নতুনকে আমন্ত্রণ জানানোই আমাদের প্রয়াস।’