জাবি
জাবি উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলমের পদত্যাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: গান গেয়ে জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
বুধবার (৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (রুটিন দ্বায়িত্ব) ড. এ বি এম আজিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও মৌন মিছিল
৩ মাস আগে
গান গেয়ে জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফ মাহমুদের মুক্তির দাবিতে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মিছিল বের করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গান গেয়ে এই প্রতিবাদ মিছিল করেন তারা।
দুপুর ২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবাদ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু বলেন, 'আজকে আমরা নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা হত্যার প্রতিবাদ করছি। একই সঙ্গে সরকারের মিথ্যাচারের নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা ছাত্রদের দেখানো পথে হাঁটব এবং ক্ষমতাসীনদের মিথ্যাচার মেনে নেব না।’
এছাড়া ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী আবৃত্তি করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত ‘বিদ্রোহী’ কবিতা।
শহীদ মিনার এলাকা থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আবার সেখানে গিয়ে শেষ হয়।
'আমরা করব জয়' গানটিও গেয়েছেন প্রতিবাদে অংশ নেওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
৩ মাস আগে
জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও মৌন মিছিল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মিছিল করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে মুখে ও চোখে লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ ও মৌন মিছিল করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: জাবিতে পুলিশের হাতে সাংবাদিক ‘লাঞ্ছিত’
এসময় জাবির শহীদ মিনারের সামনে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতনের বিচার না করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিদিন নির্মম উপহাসের প্রতিবাদ করেন তারা। এরপর তারা শহীদ মিনার থেকে মৌন মিছিল বের করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরাও এই মিছিলে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ব্র্যাকের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব ও জাবি শিক্ষার্থীর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
জাবি শিক্ষকের পদত্যাগ: শাস্তি এড়ানো, না কি বিবেকের ডাকে সাড়া?
৩ মাস আগে
জাবি শিক্ষকের পদত্যাগ: শাস্তি এড়ানো, না কি বিবেকের ডাকে সাড়া?
শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল করিম পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার ই-মেইলের মাধ্যমে উপাচার্য নুরুল আলমের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন করিম।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জাহিদুল করিমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত চলমান থাকায় সম্ভাব্য শাস্তির আশঙ্কায় পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: পাঞ্জাবি-পায়জামা ইস্ত্রি করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সেনা সদস্যের মৃত্যু
জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২১ সালের ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের এমবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা কমিটি পুনর্গঠন এবং পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের সহযোগিতার অভিযোগ উঠে তৎকালীন বিভাগীয় সভাপতি জাহিদুল করিমের বিরুদ্ধে। এঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন গ্রহণ করে ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর সুপারিশ প্রদানের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ৫(ক) (২) উপধারা মোতাবেক আনুষ্ঠানিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যার কার্যক্রম বর্তমানে চলমান থাকা অবস্থায় তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করেন, জাহিদুল করিম তদন্তে শাস্তির আশঙ্কা থেকে চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি ‘উদ্দেশ্যমূলক ও দূরভিসন্ধি’ থেকে দেশের সাম্প্রতিক ঘটনাকে কারণ হিসেবে অব্যাহতি পত্রে উল্লেখ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দৃঢ়ভাবে জানায়, তার বিরুদ্ধে গঠিত আনুষ্ঠানিক তদন্ত চলবে এবং তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর তদনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে জাহিদুল করিম বলেন, তার স্ত্রী ওই ব্যাচের ছাত্রী হলেও তিনি কোনো অ্যাকাডেমিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না। তার পরীক্ষার সময় অসদুপায় অবলম্বন সম্পর্কে কিছুই জানতেন না এবং এটিকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেন।
ব্যাচের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি (চতুর্থ এমবিএ, ২০১৭-১৮) অধ্যাপক আউয়াল আল কবির বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষায় তার (জাহিদ করিমের) অনিয়মের বিষয়টি আমি বিশ্ববিদ্যালয়কে জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: জাবিতে পুলিশের হাতে সাংবাদিক ‘লাঞ্ছিত’
অধ্যাপক কবীর বলেন, 'এখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের আরেক অধ্যাপক ইউএনবিকে বলেন, করিমের অসদাচরণের বিষয়টি নজরে এলে বিভাগে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা তার বিরুদ্ধে তৎকালীন উপাচার্য ফারজানা ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তাকে বাঁচাতে তদন্ত প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করা হয় এবং তাকে শিক্ষা ছুটিতে বিদেশে পাঠানো হয়।’
'শিক্ষক সমাজের বিবেক নষ্ট হয়েছে'
এর আগে গত ২৫ জুলাই সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল করিম ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র জমা দেন। সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে তিনি স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়তে চান বলে জানান।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, তিনি প্রায় ১৪ বছর ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষকতা করছেন।
দেশে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা সম্পর্কে সরকারের অবহেলা এবং তার সহকর্মী শিক্ষকদের 'পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাব' তাকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে।
তিনি সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিতে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কোটা সংস্কারের ন্যায্য দাবির বিরুদ্ধে সরকারের আগ্রাসী অবস্থানের কারণে অনেক শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছেন।
সরকার চাইলে দ্রুত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে পারত, তাহলে এত প্রাণ হানির ঘটনা ঘটত না। যেসব শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে, তাদের নিয়ে তাদের পরিবারের অনেক স্বপ্ন ছিল। সন্তান হারানোর বেদনায় তারা আজ দিশেহারা। তাদের সাথে সাথে সমগ্র জাতি আজ শোকাহত। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগ, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, তা এই জাতির জন্য একটি কালো অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে।
স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে হত্যা এবং কিছু সংখ্যক প্রতিবাদী শিক্ষকদের রক্তাক্ত করার মধ্যদিয়ে ১৯৭১ সালের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।
‘এই হত্যাকাণ্ড দেখেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষকদের আমি নির্লিপ্ত থাকতে দেখেছি। শিক্ষকদের ভূমিকা আজ জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। রাজনৈতিক দলীয় করণের কারণে শিক্ষক সমাজের বিবেক লোপ পেয়েছে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। শহীদ সব শিক্ষার্থী এবং আহত সব শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা, ভালোবাসা প্রকাশ করছি এবং তাদের জন্য দোয়া করছি। সমগ্র বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজের মূল্যবোধ এবং নৈতিকতাবোধ কে জাগ্রত করতে আমি সহযোগী অধ্যাপক, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিস বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: সার্ক কালচারাল সেন্টারের উপপরিচালক হলেন জাবি অধ্যাপক
৩ মাস আগে
জাবি ক্যাম্পাসে মিলল যুবকের ঝুলন্ত লাশ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় জিসান আহম্মেদ নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হল সংলগ্ন একটি গাছ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
নিহত জিসান আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনি হলের কর্মী নজরুল ইসলামের ছেলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) জেফরুল হাসান চৌধুরী সজল বলেন, সকালে কেউ আমাদের একজন নিরাপত্তা রক্ষীকে জানায় যে, ক্যাম্পাসে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ দেখা গেছে। পরে নিরাপত্তা রক্ষী বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা আশুলিয়া থানায় খবর দেই। এরপর পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসলাম বলেন, সোমবার সকালে কয়েকজন ঝুলন্ত লাশ দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় খবর দেন। পরে নিরাপত্তা শাখা থেকে আশুলিয়া থানায় খবর দিলে সকাল ৭টার দিকে তারা গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি৷ এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
৬ মাস আগে
জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলায় শিক্ষার্থীর নামে জিডি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করায় এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জিডি করেছেন ওই শিক্ষক।
মার্কেটিং বিভাগের ২০১৬-১৭ (৪৬ তম আবর্তন) এক শিক্ষার্থী নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি অভিযোগ তুললে ওই শিক্ষার্থীর নামে মিরপুর মডেল থানায় গত ২৪ মার্চ সাধারণ ডায়েরি করেন শিক্ষক সাজু সাহা।
গত ২৩ মার্চ তিনি তার ফেসবুক একাউন্টে যৌন হয়রানি অভিযোগ করে বলেন, 'সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহা তাকে কাউন্সিলিং করানোর নামে যৌন হয়রানি করেছে। এছাড়া তিনি আমার গায়ে হাত দিয়েছে। তিনি আমার সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক করার জন্য রেস্টুরেন্টে পা পর্যন্ত ধরতে চেয়েছিল। এসবের কারণে আমি ঠিকমতো ক্লাস পর্যন্ত করতে পারিনি।'
ওই শিক্ষকের ব্যাপারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওনার এত কনফিডেন্স যে আমি কিছু প্রমাণ করতে পারব না.. কারণ উনি প্রমাণ রাখার মত কিছু রাখেন নাই.. তবে যা আছে, তা ওনার দোষ প্রমাণ করতে যথেষ্ট.. এত হ্যারাসমেন্ট -এর পরেও আমার বিশ্বাস ছিল উনি গিল্টি ফিল করবেন। কিন্তু ওনার মধ্যে কোনো অনুতপ্ত হওয়ার চিহ্ন নেই। শুধু ডিপার্টমেন্ট শেষ করার জন্য আমি ওনার সঙ্গে ভালো আচরণ করে গেছি।’
আরও পড়ুন: জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলায় শিক্ষার্থীর নামে জিডি
একদিনের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি পোস্টে আরও বলেন, ‘উনি যে রিকশায় আমার গায়ে জোর করে হাত দিয়েছেন, তার কি প্রমাণ আমি দেব?? রিকশাওয়ালাকে খুঁজে নিয়ে আসব?? এটা কি আদৌ সম্ভব! আমি এরপরও ভয়ে ওনার সঙ্গে খারাপ আচরণ করিনি।’
ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ার পরে সাজু সাহা বিভিন্ন জনের মাধ্যমে আমরা সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। তিনি আমাকে পরোক্ষভাবে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। আমার কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে তাকে অভিযুক্ত করার। আমাকে হ্যারেজ করার পর তিনি(সাজু সাহা) বার বার বলতে থাকেন আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে তুমি এ নিয়ে কাউকে কিছু বলোনা।'
ভুক্তভোগী আরও বলেন,'আমাদের কথোপকথনের রেকর্ড আমার কাছে আছে। তিনি অনেক মেসেজই ডিলিট করলে আমাকে ক্যাম্পাসের বাইরে দেখা করার মেসেজ আছে।'
জিডি বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের ওই শিক্ষক প্রথমে অস্বীকার করেন পরে জিডির কপি দেখালে তিনি বলেন,'আমি লিগ্যালি হ্যান্ডেল করব।'
যৌন হয়রানি বিষয়ে তিনি বলেন, আমি নিজেও অবাক। আসলে হঠাৎ করে এ ধরণের অভিযোগ, আমি নিজেও বুঝতেছি না। আমার কাছে এটার কোন ভিত্তিই নাই। আমি কি করেছি সেটাও আমি বুঝতেছি না। তার পোস্ট পড়ে আমি যতটুকু বুঝলাম, আমার কাছে বিষয়টা স্ট্রেঞ্জই লাগছে। এটা ও ই ভালো বলতে পারবে। আমি দেখেছি বিষয়টা— এটা নিয়ে কি করা যায়। আমি আইনগতভাবে যাব।
সিগন্যাল অ্যাপ
অ্যাপ এর ব্যপারে ওই শিক্ষক বলেন,আমি ভুক্তভোগীকে এই ধরনের কোন মেসেজ আদান প্রদানের অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলিনি। কেউ না চাইলে কি কাউকে জোর করে কোন কিছু করানো যাবে।
উল্লেখ্য,অভিযুক্ত শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীকে হোয়াটাঅ্যাপে সিগন্যাল নামে একটি গোপন বার্তা পাঠানোর অ্যাপের লিংক পাঠান এবং ডাউনলোড করতে বলেন।
এ বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফুল হক বলেন, আমি বিষয়টি দেখেছি। এই বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। যদি আসে তাহলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই ঘটনার পরে,বিভাগের নিয়মিত একাডেমি কাউন্সিল সভায় সাজু সাহার বিষয়ে আলোচনা করা হয় এবং আলোচনা শেষে ওই বিভাগের সকল শিক্ষক উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন।
এছাড়াও সাজু সাহা ওই শিক্ষার্থীর নামে উপাচার্য বরারব যৌন হয়রানি অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে লিখত অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যক্রমের প্রতিবাদে বুয়েট শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দিনের আন্দোলন অব্যাহত
৭ মাস আগে
জাবির ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্র ইউনিয়নে সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।
বৃহস্পতিবার(২২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনমুতিক্রমে বিকাল পাঁচটায় আশুলিয়া থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন।
কলা ও মানবিক অনুষদের দেয়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি মুছে ধর্ষণ ও স্বৈরাচার বিরোধী গ্রাফিতি আঁকার ঘটনায় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অমর্ত্য রায় এবং সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু, প্রতি আসনে লড়ছেন ১০৮ জন
এর আগে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি এক বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় তাদের এক বছরের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন,'বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করা হয়েছে। আজ(বৃহস্পতিবার) বিকাল আমি আশুলিয়া থানায় মামলার কাজ সম্পন্ন করেছি।'
এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর গ্রাফিতি মুছে ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি আঁকেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের (অমর্ত্য রায়-ঋদ্ধ অনিন্দ্য) নেতা-কর্মীরা।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি দুপুর থেকে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ তিন দফা দাবিতে টানা চারদিন অনশনে বসেন ছাত্রলীগের দুই নেতা। এরপর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম। এসময় তিনি জড়িতদের শাস্তির আশ্বাস দিয়ে ডাবের পানি পান করিয়ে তাদের অনশন ভাঙেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ধর্ষণবিরোধী দেয়ালচিত্র আঁকায় জাবি ছাত্র ইউনিয়নের ২ নেতা বহিষ্কার
৮ মাস আগে
জাবি ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে ৩ ফেব্রুয়ারি স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আরও দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা হলেন- ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন ও মো. মুরাদ।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আল আমিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ রাজধানীর ফার্মগেট ও নওগাঁ জেলায় একযোগে অভিযান চালিয়ে যথাক্রমে মামুন ও মুরাদকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণকাণ্ডে কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি
এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি ওই ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও জাবি শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান খান। অন্যরা হলেন- মোস্তফা মনোয়ার ওরফে সাগর সিদ্দিকী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র হাসানুজ্জামান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সাব্বির হোসেন।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় জাবি কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ পর্যালোচনায় ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর জানান, কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যাবেন।
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন রিমান্ডে
জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন আটক
৯ মাস আগে
জাবিতে ধর্ষণকাণ্ডে কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ ও সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা করতে তিন সদস্যেরে একটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ধর্ষণের ঘটনায় কি ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কেন এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটছে সেটি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কমিটি গঠনের কথা জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন রিমান্ডে
অভিযোগের প্রতিকার ব্যবস্থা এবং জিআরএস সফটওয়্যার বিষয়ক দিনব্যাপী এই কর্মশালাটির আয়োজন করে ইউজিসি।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন- কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
প্রফেসর আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানিসহ অনিয়মের অভিযোগসমূহের নিখুঁতভাবে পর্যালোচনা ও প্রতিকারে পদক্ষেপ গ্রহণে ইউজিসি শিগগিরই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সেল গঠন করবে। এখানে দক্ষ কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হবে। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম-নিপীড়নের ঘটনা ঘটলে এই সেল তদারকি করবে এবং তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণকাণ্ড বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যৌন হয়রানিসহ নানা অপকর্মে দৃশ্যমান ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে।
এছাড়া, এসব অপরাধের বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা ও অপরাধীদের প্রশ্রয়ের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি ঘটনা রোধ করা সম্ভব হয়নি।
ড. আলমগীর বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ ঘটনা আমাদের মর্মাহত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা কোন মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটছে, তা খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন আটক
আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত না করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে এবং অছাত্ররা দিনের পর দিন কীভাবে হলে থাকছেন, সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ হলেই কেবল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি, শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়।
তিনি দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানিসহ যেকোন অপরাধের ঘটনা দ্রুত আমলে নেওয়া, এটিকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে দেখা, ক্যাম্পাস নিরাপদ রাখা এবং লৈঙ্গিক বৈষম্য রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
ড. ফেরদৌস জামান যৌন হয়রানি বন্ধে প্রতিরোধ কমিটি শক্তিশালীকরণ ও মনিটরিং জোরদার করার পরামর্শ দেন। এছাড়া সকল ধরণের হয়রানি বন্ধে নৈতিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ইউজিসি’র উপপরিচালক ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার ফোকাল পয়েন্ট মৌলি আজাদের সঞ্চালনায় কর্মশালায় কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: জাবিতে প্রথম বর্ষে ভর্তির আবেদনের তারিখ ঘোষণা
৯ মাস আগে
জাবিতে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন রিমান্ডে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর, ৪৬তম ব্যাচের সাগর সিদ্দিক ও ৪৫তম ব্যাচের হাসানুজ্জামান।
আরও পড়ুন: জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন আটক
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়ার থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মিজানুর রহমান আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ আবাসিক হলের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে কৌশলে নিয়ে ধর্ষণ করেন আসামিরা। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী রাতেই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের রিমান্ডে বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবী
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন রিমান্ডে
৯ মাস আগে