জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাবির তিন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের (৫৫তম ব্যাচ) ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ই’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ফল ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শিফটভিত্তিক মেধাতালিকার আলোকে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। পূর্বের বছরগুলোর মতো এবারও প্রকাশিত ফলাফলের ভিত্তিতে শিফটভিত্তিক মেধাক্রম অনুসরণ করে ভর্তি ও মাইগ্রেশন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সব ধরনের বিস্তারিত তথ্য ও ফলাফল জাবির ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ju-admission.org’–এ পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষে জাবির প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয় গত ২১ ডিসেম্বর এবং তা চলবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
৬ ঘণ্টা আগে
জাবির ভর্তি পরীক্ষায় মুঠোফোন ব্যবহার করে নকল, পরীক্ষার্থী আটক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নকল করার অভিযোগে এক পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের (৫৫তম ব্যাচ) সমাজবিজ্ঞান অনুষদের দ্বিতীয় শিফটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামের ২ নম্বর কক্ষ থেকে ওই পরীক্ষার্থীকে আটক করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা।
আটকের পর তাকে প্রক্টর অফিসে নেওয়া হয় এবং সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার নাম সাদিয়া আমির মাহি। তিনি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
এ বিষয়ে পরীক্ষার হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক শিক্ষক বলেন, পরীক্ষা চলাকালে প্রথমে ওই পরীক্ষার্থীর আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে তাকে পেছনের আসন থেকে সামনের আসনে বসানো হয়। কিন্তু সেখানে বসেও সে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করছিল। এ ঘটনা দেখার পর আমরা তাকে হাতেনাতে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট অনুষদের ইউনিট প্রধানকে বিষয়টি জানিয়েছি। ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিলসহ ভবিষ্যতে যেন তিনি আর কখনো জাবির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারেন, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।
১ দিন আগে
৭১–এর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে ২৪ বারবার ফিরে আসবে: অধ্যাপক কামরুল আহসান
১৬ ডিসেম্বর—বাঙালি জাতির গৌরব, আত্মপরিচয় ও বিজয়ের দিন। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই দিনে জন্ম নেয় একটি স্বাধীন রাষ্ট্র—বাংলাদেশ। তবে স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও গণতন্ত্র, ইতিহাসের বস্তুনিষ্ঠ চর্চা ও শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে।
মহান বিজয় দিবসে এমন বাস্তবতা নিয়ে ইউএনবির সঙ্গে কথা বলেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। সাক্ষাৎকারে উপাচার্য বিজয় দিবসের তাৎপর্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচি, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা, ২০২৪-পরবর্তী রাজনৈতিক বাস্তবতা, শিক্ষাব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ এবং তরুণ প্রজন্মের করণীয় নিয়ে তার মতামত তুলে ধরেছেন।
সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ইউএনবির জাবি প্রতিনিধি যোবায়ের হোসেন জাকির।
বিজয়ের ৫৪ বছর পূর্তিতে এ দিনের তাৎপর্য আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করছেন?
এই দিনের সবচেয়ে বড় তাৎপর্য হলো, বাংলাদেশ একটি গণতন্ত্রমনা রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রধান প্রতিরোধের জায়গা ছিল জনগণের নির্বাচনি ম্যান্ডেটকে অস্বীকার করা। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা স্বাধিকার, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব—এই তিনটি বিষয়ের মধ্যেই নিহিত। এ দেশের মানুষের অধিকার আদায় ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই ছিল আমাদের প্রধান অঙ্গীকার।
বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে?
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গত বছরের মতো এবারও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ, প্রশাসনিক ভবন ও আবাসিক হলসহ বিভিন্ন দপ্তরে আলোকসজ্জা, উন্নত খাবারের ব্যবস্থা।
মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ও নথিবদ্ধকরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিশেষ উদ্যোগ কি আছে?
আমরা চব্বিশের চেতনাকে ধারণ করে একটি আর্ট গ্যালারি প্রতিষ্ঠা করেছি। একইসঙ্গে ওরাল আর্কাইভে ২৪–এর ঘটনাবলী সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছি। চব্বিশের জন্ম হয়েছে একাত্তরের মধ্য দিয়েই। ১৯৭১–এর পর যে অপূর্ণতা ছিল, সেখান থেকেই ২৪–এর আবির্ভাব। তাই ২৪–কে ধারণ করার পাশাপাশি লালন করাও জরুরি। ৭১–এর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে ২৪ বারবার ফিরে আসবে।
পাঠক্রমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে শক্তিশালী করতে নতুন কোনো কোর্স বা উদ্যোগ কি নেওয়া হচ্ছে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ তাদের কোর্স কনটেন্ট পর্যালোচনা করবে। বিশেষ করে ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের এ বিষয়ে আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস না জানার কারণে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছে। আমাদের আনুভূমিক ও উল্লম্ব—দুই ধরনের ইতিহাস রয়েছে। ঔপনিবেশিক বাংলায় মুসলমানদের বঞ্চনার ইতিহাস কিংবা উপমহাদেশের মুসলিম চিন্তাবিদদের অবদান যথাযথভাবে তুলে ধরা হয়নি। সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।
ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে নতুন কোনো প্রকল্প আছে কি?
আমাদের ক্যাম্পাসে অমর একুশে, শহীদ মিনার, সংশপ্তকসহ ৫২, ৭১ ও ২৪–কে ধারণ করা বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে। সম্প্রতি ২৪–এর স্মরণে ‘অদম্য–২৪’ উদ্বোধন করেছি। তবে এগুলো যথেষ্ট নয়। ৭১ ও ২৪–কে স্মরণে রাখতে আরও দৃশ্যমান উদ্যোগ প্রয়োজন। অতীত স্মরণে ব্যর্থতার ফলেই আমরা দীর্ঘ স্বৈরশাসন দেখেছি।
আপনার মূল্যায়নে শিক্ষার্থীরা কি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানছে?
আমার মনে হয়, খুব সীমিতসংখ্যক শিক্ষার্থী ছাড়া অধিকাংশই সঠিক ইতিহাস জানে না। বিভিন্ন সরকার নিজেদের মতাদর্শ অনুযায়ী ইতিহাস উপস্থাপন করেছে। আমরা চাই, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের পুনরাবৃত্তি না হয়। ইতিহাসে যার যতটুকু অবদান, তাকে ততটুকুই ন্যায্যভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। তা না হলে আবারও ২৪–এর মতো পরিস্থিতির জন্ম হতে পারে।
নতুন প্রজন্ম ইতিহাস থেকে যথেষ্ট শিক্ষা পাচ্ছে বলে আপনি মনে করেন?
এ বিষয়ে আমার যথেষ্ট সংশয় আছে। বস্তুনিষ্ঠতার অভাবই এর মূল কারণ। ভুক্তভোগী ও শহীদ পরিবারের সাক্ষাৎকার, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, ওরাল আর্কাইভ এবং স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইতিহাস জানার সুযোগ তৈরি করা গেলে সচেতনতা বাড়বে।
স্বাধীনতার মূল চেতনা আপনার দৃষ্টিতে কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে?
আমরা এখনো বিভাজনের রাজনীতিতে ব্যস্ত। ২৪ সংঘটিত হয়েছে দেড় বছর হলো, অথচ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথে পরস্পরের প্রতি বিষোদগার থামেনি। এতে করে আমরা ৭১ ও ২৪—দুটোকেই হারানোর ঝুঁকিতে আছি। বিভাজনের হাজার কারণ থাকলেও ঐক্যের একটি কারণ থাকলে সেটিকেই গ্রহণ করতে হবে। ৭১ ও ২৪–এর মতো জাতি–ধর্ম–বর্ণ–লিঙ্গ নির্বিশেষে আবারও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও শিক্ষাব্যবস্থার বড় চ্যালেঞ্জ কী?
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় মাধ্যমভিত্তিক বিভাজন রয়েছে—বাংলা, ইংরেজি, মাদ্রাসা ও কারিগরি। এগুলোর মধ্যে ঐক্য তৈরি করতে হবে। শিক্ষাখাতে বাজেট অত্যন্ত কম। আন্তর্জাতিকভাবে যেখানে ৪–৬ শতাংশ বরাদ্দের কথা বলা হয়, সেখানে আমরা দিচ্ছি ১–২ শতাংশ। শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান ও আর্থিক নিরাপত্তা না থাকায় মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসতে আগ্রহী হচ্ছে না। শিক্ষা কমিশন গঠন ও আমূল সংস্কার এখন সময়ের দাবি।
একাডেমিক উন্নয়ন ও গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছি এবং ভালো গবেষকদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি। আন্তর্জাতিক গবেষণায় আমাদের অবস্থান শক্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়েও আমরা একাধিকবার দেশের শীর্ষে ছিলাম। এখন শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্যও বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিজয় দিবসে শিক্ষার্থী ও তরুণদের উদ্দেশে আপনার বার্তা কী?
ইতিহাস বলে, গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ের প্রতিটি সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে তরুণরা। অভিভাবকদের অভিজ্ঞতা ও তরুণদের উদ্যম—এই দুইয়ের সমন্বয়েই দেশ এগিয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ ও পাঠকক্ষে বেশি সময় দিয়ে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে, যেন ভবিষ্যতে তারা দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে।
৭ দিন আগে
প্রতিশ্রুতি নয়, পরিবর্তনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: জাকসুর ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দরজায় কড়া নাড়ছে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের তৎপরতা যেন ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রার্থীরা যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাচ্ছেন ভোট।
এসব প্রতিশ্রুতি, প্যানেল গঠন ও নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিন সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী শেখ সাদী (ছাত্রদল), আরিফুজ্জামান উজ্জল (বাগছাস), আরিফ উল্লাহ (ছাত্রশিবির)। তিনজন প্রার্থীকে নিয়ে তিন পর্বের প্রতিবেদনের আজ থাকছে প্রথম পর্ব।
শেখ সাদীর বাবার নাম আবু বক্কর সিদ্দিক এবং মা শেফালী বেগম। তিনি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বড়দহ হরিরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নাকাইহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং নাকাইহাট কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। শেখ সাদী হাসান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তিনি অন্যতম অগ্রনায়ক হিসাবে কাজ করেছেন। ছোটবেলা থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন শেখ সাদী। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সম্মানের শিখরে নিয়ে যেতে চান বলে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি নয়, বরং তারা পরিবর্তনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এবারের জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল থেকে ভিপি প্রার্থী হিসাবে মনোনীত সাদী বলেন, এবারের জাকসু নির্বাচনে আমরা ভালো ফলাফল আশা করছি। বিগত দিনগুলোর মতো শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে ছাত্রদল। সেইসঙ্গে নব্বইয়ের গৌরব ধরে রাখবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
দলীয় প্যানেল নির্বাচনে কোন কোন বিষয় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্যানেলে একটি পদের জন্য একাধিক করে যোগ্য প্রার্থী ছিল। ফলে আমরা সময় নিয়ে অভ্যন্তরীণ ভোটাভোটির মাধ্যমে সৎ, যোগ্য, মেধাবী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে যারা সব সময় সোচ্চার ছিলো এবং সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে এমন শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমাদের প্যানেল গঠন করা হয়েছে।’
নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য দলীয় কোনো উৎস থেকে অর্থ বরাদ্দ পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা এ নির্বাচনের জন্য কোনো ধরনের অর্থ বরাদ্দ পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কমিশনের প্রণীত নীতিমালায় যে অর্থ নির্ধারণ করা হয়েছে, সে অনুযায়ী নিজেরাই নির্বাচনী ব্যয় বহন করছি।’
সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেন তাদের ভোট দেবে এমন প্রশ্নের জবাবে সাদী বলেন, আমরা বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীবান্ধব কোনো কাজ করার সুযোগ পাইনি। কিন্তু খুনি হাসিনার পতন পরবর্তী সময়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ করেছি। এর মধ্যে অন্যতম হলো— আমরা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রায় ৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীদের ফ্রী ‘হেপাটাইটিস বি’ ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামের আওতায় এনেছি।
এই কাজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা সরকারের করা উচিত থাকলেও সেটি জাবি ছাত্রদল একক সংগঠন হিসেবে করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের ৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা
এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশের জন্য মেয়েদের নাইট টুর্নামেন্ট আয়োজন, দুর্ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে গতিসীমা বিলবোর্ড লাগানোসহ প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার্থে গাছে গাছ পাখিদের আবাসস্থল স্থাপন করেছেন বলে জানান সাদী।
এর বাইরেও বিভিন্ন অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকার দাবি করেন। এ বিষয়গুলো অবশ্যই বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের সমর্থন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রচারণায় শিক্ষার্থীদের সাড়া পাওয়া নিয়ে তিনি জানান, আমরা নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে যখন শিক্ষার্থীদের কাছে যাচ্ছি, তখন তাদের কাছ থেকে আমরা অভাবনীয় সাড়া পাচ্ছি। বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের সবর উপস্থিতি থাকায় শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই আমাদের জানেন, এমনকি আমাদের ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন।
প্রচারণা চালাতে গিয়ে কোনো বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন কি না এর জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো বাধার সম্মুখীন হয়নি। আমাদের অনুষদ ও বিভাগগুলোতে নিয়ম করে প্রচারণা চালাচ্ছি। ভালো সাড়া পাচ্ছি, সবাই সবার জায়গা থেকে আমাদের সহযোগিতা করছেন। আমাদের সিনিয়ররাও সাধ্যমতো সহযোগিতা করছেন। আশা করি আমরা শেষ পর্যন্ত এমন একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশ পাবো এবং প্রশাসন একটা লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবেন এমনটাই বিশ্বাস রাখি।’
ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা সন্তোষজনক। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমাদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এই দিক থেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা। এখানে কোনো ঝামেলা নেই। এখানে আমরা সব দলের প্রার্থীরা সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে প্রচারণা চালাচ্ছি। আর নির্দিষ্ট একটা গন্ডির মধ্যে হওয়ায় বহিরাগত প্রবেশের সুযোগও কম। তবে ছুটির দিনগুলোতে কিছু লোক ঘুরতে আসে, এই ব্যাপারে প্রশাসনকে আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করি।’
নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের জন্য কি কি কাজ করবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে সবার আগে আমি তিনটি কাজ করব। প্রথমত, শিক্ষার্থীদের মৌলিক সমস্যা (খাবারের মান, স্বাস্থ্য সেবা, যাতায়াতসহ এ ধরণের সকল সমস্যা) সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব। দ্বিতীয়ত, শিক্ষা ও গবেষণায় কাঠামোগত মান উন্নয়ন। তৃতীয়ত, অংশগ্রহণমূলক প্রশাসন নিশ্চিত করা।
সাদী আরও বলেন, ‘জাকসুর ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য জাকসু সেল ও শিক্ষার্থীদের যে কোনো সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য আলাদা শিক্ষার্থী সেল গঠন করব। এমনকি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার শেষের দিকে ক্যারিয়ার কেন্দ্রীক বিভিন্ন সেমিনারের আয়োজন করব, যাতে তারা হতাশাগ্রস্ত না হয়ে পড়েন।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৩৩ বছর পর আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন জাকসু নির্বাচন কমিশনার।
১০৬ দিন আগে
নারী শিক্ষার্থীকে ধাক্কা, জাবিতে রাজধানী পরিবহনের ২৫ বাস আটক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে রাজধানী পরিবহনের বাসের হেলপারের ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগে ওই পরিবহনের ২৫টি বাস আটক করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক-সংলগ্ন (ডেইরি গেট) ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক থেকে বাসগুলো আটক করা হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হালিমা আক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা জানান, সন্ধ্যায় টিউশনি শেষে সাভার থানা স্ট্যান্ড থেকে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে উঠতে গেলে হেলপার তাকে উঠতে বাধা দেন। পরে জোর করে উঠলেও বাসচালক ও হেলপার তাকে অশোভন গালিগালাজ করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে নামার সময় হেলপার হালিমাকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তায় পড়ে আহত হন।
এ ঘটনার পর প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে হালিমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর এক সহপাঠী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি গেইটের মতো কোলাহলপূর্ণ একটা জায়গায় এভাবে একজন শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিতে পারে— এমনটা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘যে হেলপার আপুকে ধাক্কা দিয়েছে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং পরিবহন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ না করা হয়। পাশাপাশি আমরা হালিমার চিকিৎসার ক্ষতিপূরণও চাই।’
আরও পড়ুন: ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থীকে 'গণধর্ষণের' হুমকির প্রতিবাদে জাবি ছাত্রদলের 'অবস্থান কর্মসূচি'
রাজধানী পরিবহনের এক কর্মকর্তা জানান, আমাদের একটি বাসের হেলপারের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। শিক্ষার্থীরা কয়েকটি বাস আটকে রেখেছে। আমরা ইতোমধ্যে জড়িত হেলপারকে শনাক্তের চেষ্টা করছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে একটি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। একজন মানুষকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া এমন ঘটনা কারো কাম্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (আজ বুধবার) বাস মালিকপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১১১ দিন আগে
ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থীকে 'গণধর্ষণের' হুমকির প্রতিবাদে জাবি ছাত্রদলের 'অবস্থান কর্মসূচি'
ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে গণধর্ষণের হুমকি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেত্রীদের হেনস্থা এবং সারা দেশে নারী শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে অব্যাহত সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে (ডেইরি গেইট) এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে নেতাকর্মীরা ঢাবি ছাত্রীকে প্রকাশ্যে গণধর্ষণের হুমকির নিন্দা জানান এবং দেশব্যাপী ছাত্রদলের নারী নেত্রীদের সাইবার বুলিং ও সামাজিক হেনস্তাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এসময় জাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, ‘আমরা দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম। যার কারণে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই আগষ্ট বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন, সেসমস্ত শিক্ষার্থীদের উপরে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়ে আক্রমণ করছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন রাকসু নিয়ে কথা হচ্ছে সেই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করা হয়েছে। এর তীব্র ও নিন্দা জানান এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান তিনি।’
আরও পড়ুন: চবি ও বাকৃবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিক্ষোভ
জাবি শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফফান আলী বলেন, ‘যে নারীরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল, আমাদের শক্তি জুগিয়েছিল আজকে তাদেরকে সাইবার বুলিং এর মাধ্যমে রাজনীতি থেকে দূরে ঠেলে দেওয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। তাই অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।’
এসময় অন্যান্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন জাকসু নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী হাসান, জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী, এজিএস প্রার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম ও আঞ্জুমান আরা ইকরাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।
১১২ দিন আগে
জাবি জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে অংশ নিতে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ অদম্য এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ প্যানেল ঘোষণা করেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আবু আহসান মোহাম্মদ ইয়া হিয়া।
ঘোষিত প্যানেলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচন করবেন শেখ সাদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে তানজিলা হোসাইন বৈশাখী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন নারী প্রতিনিধি আঞ্জুমান আরা ইকরা। ২৫ সদস্যের এ পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা ‘২৪ অদম্য’ ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচন: সাইবার বুলিং ও সামাজিক হেনস্তা, প্রার্থিতায় অনাগ্রহ নারীদের
এদিকে আজ ছিল জাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এ পর্যন্ত প্রায় আটজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন বলে জানা গেছে। বিকেল ৪টায় চূড়ান্ত তথ্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল ইসলাম।
১১৭ দিন আগে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ৭১৭ শিক্ষকের ১১৩ জন ছুটিতে: উপাচার্য
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) চলতি অর্থবছরে ৭১৭ জন কর্মরত শিক্ষকের মধ্যে ১১৩ জন শিক্ষক ছুটিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
শনিবার (২৮ জুন) বিকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের ৪২তম বার্ষিক অধিবেশন পূর্ববর্তী শুভেচ্ছা ভাষণে এই তথ্য জানান উপাচার্য।
এসময় জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান বলেন, 'বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ৭১৭ জন, কর্মকর্তা ৩৮০ জন, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ৯৭০ জন এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ৫০৬ জন কর্মরত আছেন। উচ্চশিক্ষার জন্য ১০২ জন শিক্ষক ছুটিতে এবং ১১ জন শিক্ষক লিয়েন ছুটিতে রয়েছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজের শিক্ষক হিসাবে দায়িত্বে আছেন ৫২ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে সর্বমোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ হাজার ৬৯০ জন।'
তিনি আরও বলেন, 'বিগত শিক্ষাবর্ষে ১ হাজার ৬৭ জন শিক্ষার্থী স্নাতক (সম্মান), ১ হাজার ১৮২ জন শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর ৩ জন এমফিল এবং ৪৭ জন গবেষক পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।'
পড়ুন: জাবিতে আবাসিক হল থেকে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
তিনি বলেন, 'আমি অর্জিত ডিগ্রিধারীদের এই সিনেটের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং আশা করছি তারা কর্মক্ষেত্রে মেধা, দক্ষতা এবং প্রজ্ঞায় অর্জিত ডিগ্রির মান সমুন্নত রাখবেন।'
শনিবার (২৮ জুন) বিকাল ৩টায় সিনেটের নিয়মিত অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় ১ ঘণ্টা পিছিয়ে বিকাল ৪টা থেকে তা শুরু হয়। তবে জাবির ৪২তম বার্ষিক সিনেট অধিবেশন শুরুর আগে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে আওয়ামী লীগপন্থী তিন শিক্ষক সিনেট কক্ষ ত্যাগ করেন।
সিনেট কক্ষ ত্যাগ করা তিন সিনেটর হলেন- মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক নিগার সুলতানা, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিক-উর-রহমান এবং কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. যুগল কৃষ্ণ দাস।
১৭৮ দিন আগে
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি: জাবিতে বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যার দায়ে অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এরপর মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেইন গেইট (ডেইরি গেইট) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নেয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রায় ৩০মিনিট সময় ধরে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে মহাসড়কের দুই লেনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শেষে রাত দুইটা নাগাদ তারা মিছিলটি সরিয়ে নিলে আবারও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১৭ বছরের আওয়ামী দুঃশাসনে বাংলাদেশকে একটি কারাগারে রুপান্তর করা হয়েছিল। পরিশেষে গত বছরের জুলাই আন্দোলনে দুই হাজার ছাত্র জনতার রক্তের ওপর হোলি খেলেছে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। অনতিবিলম্বে এই সন্ত্রাসী সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় অবস্থান কর্মসূচি থেকে।
মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কর, করতে হবে করতে হবে’, ‘অমার ভাই কবরে, খুনি কেনো বাহিরে’, ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আওয়ামী লীগের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘আওয়ামী লীগের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।
২২৮ দিন আগে
জাকসুর তফসিল: নিরাপত্তা জোরদারে জাবিতে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
আসন্ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) এবং আবাসিক হল সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শনিবার (৩ মে) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শুক্রবার (২ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ইতোমধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) এবং আবাসিক হল সংসদ সমূহের নির্বাচনের তারিখ ও তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনার বিষয়। সেই আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগামীকাল ৩ মে (শনিবার) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বহিরাগত চিহ্নিতকরণে সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অংশীজনকে স্ব স্ব পরিচয়পত্র বহন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জুলাই হামলা: জাবিতে ২৫৯ ছাত্রলীগকর্মী ও ৯ শিক্ষক বরখাস্ত
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, জাবিতে জাকসুর তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন আগামী ৩১ জুলাই। কিন্তু এই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য দুষ্কৃতকারীরা ষড়যন্ত্র চালাতে পারে। তাই ক্যাম্পাসে যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তারা এবং নিরাপত্তাকর্মীরাও সর্বদা প্রস্তুত আছে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ ৩২ বছর পর জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় তাদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। তারা আশা করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল সকল ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
২৩৪ দিন আগে