জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিশ্রুতি নয়, পরিবর্তনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: জাকসুর ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দরজায় কড়া নাড়ছে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের তৎপরতা যেন ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রার্থীরা যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাচ্ছেন ভোট।
এসব প্রতিশ্রুতি, প্যানেল গঠন ও নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিন সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী শেখ সাদী (ছাত্রদল), আরিফুজ্জামান উজ্জল (বাগছাস), আরিফ উল্লাহ (ছাত্রশিবির)। তিনজন প্রার্থীকে নিয়ে তিন পর্বের প্রতিবেদনের আজ থাকছে প্রথম পর্ব।
শেখ সাদীর বাবার নাম আবু বক্কর সিদ্দিক এবং মা শেফালী বেগম। তিনি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বড়দহ হরিরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নাকাইহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং নাকাইহাট কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। শেখ সাদী হাসান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তিনি অন্যতম অগ্রনায়ক হিসাবে কাজ করেছেন। ছোটবেলা থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন শেখ সাদী। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সম্মানের শিখরে নিয়ে যেতে চান বলে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি নয়, বরং তারা পরিবর্তনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এবারের জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল থেকে ভিপি প্রার্থী হিসাবে মনোনীত সাদী বলেন, এবারের জাকসু নির্বাচনে আমরা ভালো ফলাফল আশা করছি। বিগত দিনগুলোর মতো শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে ছাত্রদল। সেইসঙ্গে নব্বইয়ের গৌরব ধরে রাখবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
দলীয় প্যানেল নির্বাচনে কোন কোন বিষয় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্যানেলে একটি পদের জন্য একাধিক করে যোগ্য প্রার্থী ছিল। ফলে আমরা সময় নিয়ে অভ্যন্তরীণ ভোটাভোটির মাধ্যমে সৎ, যোগ্য, মেধাবী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে যারা সব সময় সোচ্চার ছিলো এবং সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে এমন শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমাদের প্যানেল গঠন করা হয়েছে।’
নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য দলীয় কোনো উৎস থেকে অর্থ বরাদ্দ পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা এ নির্বাচনের জন্য কোনো ধরনের অর্থ বরাদ্দ পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কমিশনের প্রণীত নীতিমালায় যে অর্থ নির্ধারণ করা হয়েছে, সে অনুযায়ী নিজেরাই নির্বাচনী ব্যয় বহন করছি।’
সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেন তাদের ভোট দেবে এমন প্রশ্নের জবাবে সাদী বলেন, আমরা বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীবান্ধব কোনো কাজ করার সুযোগ পাইনি। কিন্তু খুনি হাসিনার পতন পরবর্তী সময়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ করেছি। এর মধ্যে অন্যতম হলো— আমরা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রায় ৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীদের ফ্রী ‘হেপাটাইটিস বি’ ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামের আওতায় এনেছি।
এই কাজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা সরকারের করা উচিত থাকলেও সেটি জাবি ছাত্রদল একক সংগঠন হিসেবে করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের ৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা
এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশের জন্য মেয়েদের নাইট টুর্নামেন্ট আয়োজন, দুর্ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে গতিসীমা বিলবোর্ড লাগানোসহ প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার্থে গাছে গাছ পাখিদের আবাসস্থল স্থাপন করেছেন বলে জানান সাদী।
এর বাইরেও বিভিন্ন অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকার দাবি করেন। এ বিষয়গুলো অবশ্যই বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের সমর্থন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রচারণায় শিক্ষার্থীদের সাড়া পাওয়া নিয়ে তিনি জানান, আমরা নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে যখন শিক্ষার্থীদের কাছে যাচ্ছি, তখন তাদের কাছ থেকে আমরা অভাবনীয় সাড়া পাচ্ছি। বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের সবর উপস্থিতি থাকায় শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই আমাদের জানেন, এমনকি আমাদের ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন।
প্রচারণা চালাতে গিয়ে কোনো বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন কি না এর জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো বাধার সম্মুখীন হয়নি। আমাদের অনুষদ ও বিভাগগুলোতে নিয়ম করে প্রচারণা চালাচ্ছি। ভালো সাড়া পাচ্ছি, সবাই সবার জায়গা থেকে আমাদের সহযোগিতা করছেন। আমাদের সিনিয়ররাও সাধ্যমতো সহযোগিতা করছেন। আশা করি আমরা শেষ পর্যন্ত এমন একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশ পাবো এবং প্রশাসন একটা লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবেন এমনটাই বিশ্বাস রাখি।’
ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা সন্তোষজনক। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমাদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এই দিক থেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা। এখানে কোনো ঝামেলা নেই। এখানে আমরা সব দলের প্রার্থীরা সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে প্রচারণা চালাচ্ছি। আর নির্দিষ্ট একটা গন্ডির মধ্যে হওয়ায় বহিরাগত প্রবেশের সুযোগও কম। তবে ছুটির দিনগুলোতে কিছু লোক ঘুরতে আসে, এই ব্যাপারে প্রশাসনকে আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করি।’
নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের জন্য কি কি কাজ করবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে সবার আগে আমি তিনটি কাজ করব। প্রথমত, শিক্ষার্থীদের মৌলিক সমস্যা (খাবারের মান, স্বাস্থ্য সেবা, যাতায়াতসহ এ ধরণের সকল সমস্যা) সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব। দ্বিতীয়ত, শিক্ষা ও গবেষণায় কাঠামোগত মান উন্নয়ন। তৃতীয়ত, অংশগ্রহণমূলক প্রশাসন নিশ্চিত করা।
সাদী আরও বলেন, ‘জাকসুর ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য জাকসু সেল ও শিক্ষার্থীদের যে কোনো সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য আলাদা শিক্ষার্থী সেল গঠন করব। এমনকি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার শেষের দিকে ক্যারিয়ার কেন্দ্রীক বিভিন্ন সেমিনারের আয়োজন করব, যাতে তারা হতাশাগ্রস্ত না হয়ে পড়েন।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৩৩ বছর পর আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন জাকসু নির্বাচন কমিশনার।
৮৮ দিন আগে
নারী শিক্ষার্থীকে ধাক্কা, জাবিতে রাজধানী পরিবহনের ২৫ বাস আটক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে রাজধানী পরিবহনের বাসের হেলপারের ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগে ওই পরিবহনের ২৫টি বাস আটক করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক-সংলগ্ন (ডেইরি গেট) ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক থেকে বাসগুলো আটক করা হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হালিমা আক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা জানান, সন্ধ্যায় টিউশনি শেষে সাভার থানা স্ট্যান্ড থেকে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে উঠতে গেলে হেলপার তাকে উঠতে বাধা দেন। পরে জোর করে উঠলেও বাসচালক ও হেলপার তাকে অশোভন গালিগালাজ করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে নামার সময় হেলপার হালিমাকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তায় পড়ে আহত হন।
এ ঘটনার পর প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে হালিমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর এক সহপাঠী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি গেইটের মতো কোলাহলপূর্ণ একটা জায়গায় এভাবে একজন শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিতে পারে— এমনটা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘যে হেলপার আপুকে ধাক্কা দিয়েছে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং পরিবহন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ না করা হয়। পাশাপাশি আমরা হালিমার চিকিৎসার ক্ষতিপূরণও চাই।’
আরও পড়ুন: ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থীকে 'গণধর্ষণের' হুমকির প্রতিবাদে জাবি ছাত্রদলের 'অবস্থান কর্মসূচি'
রাজধানী পরিবহনের এক কর্মকর্তা জানান, আমাদের একটি বাসের হেলপারের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। শিক্ষার্থীরা কয়েকটি বাস আটকে রেখেছে। আমরা ইতোমধ্যে জড়িত হেলপারকে শনাক্তের চেষ্টা করছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে একটি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। একজন মানুষকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া এমন ঘটনা কারো কাম্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (আজ বুধবার) বাস মালিকপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৯২ দিন আগে
ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থীকে 'গণধর্ষণের' হুমকির প্রতিবাদে জাবি ছাত্রদলের 'অবস্থান কর্মসূচি'
ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে গণধর্ষণের হুমকি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেত্রীদের হেনস্থা এবং সারা দেশে নারী শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে অব্যাহত সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে (ডেইরি গেইট) এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে নেতাকর্মীরা ঢাবি ছাত্রীকে প্রকাশ্যে গণধর্ষণের হুমকির নিন্দা জানান এবং দেশব্যাপী ছাত্রদলের নারী নেত্রীদের সাইবার বুলিং ও সামাজিক হেনস্তাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এসময় জাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, ‘আমরা দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম। যার কারণে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই আগষ্ট বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন, সেসমস্ত শিক্ষার্থীদের উপরে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়ে আক্রমণ করছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন রাকসু নিয়ে কথা হচ্ছে সেই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করা হয়েছে। এর তীব্র ও নিন্দা জানান এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান তিনি।’
আরও পড়ুন: চবি ও বাকৃবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিক্ষোভ
জাবি শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফফান আলী বলেন, ‘যে নারীরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল, আমাদের শক্তি জুগিয়েছিল আজকে তাদেরকে সাইবার বুলিং এর মাধ্যমে রাজনীতি থেকে দূরে ঠেলে দেওয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। তাই অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।’
এসময় অন্যান্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন জাকসু নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী হাসান, জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী, এজিএস প্রার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম ও আঞ্জুমান আরা ইকরাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।
৯৩ দিন আগে
জাবি জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে অংশ নিতে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ অদম্য এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ প্যানেল ঘোষণা করেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আবু আহসান মোহাম্মদ ইয়া হিয়া।
ঘোষিত প্যানেলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচন করবেন শেখ সাদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে তানজিলা হোসাইন বৈশাখী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন নারী প্রতিনিধি আঞ্জুমান আরা ইকরা। ২৫ সদস্যের এ পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা ‘২৪ অদম্য’ ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচন: সাইবার বুলিং ও সামাজিক হেনস্তা, প্রার্থিতায় অনাগ্রহ নারীদের
এদিকে আজ ছিল জাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এ পর্যন্ত প্রায় আটজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন বলে জানা গেছে। বিকেল ৪টায় চূড়ান্ত তথ্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল ইসলাম।
৯৮ দিন আগে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ৭১৭ শিক্ষকের ১১৩ জন ছুটিতে: উপাচার্য
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) চলতি অর্থবছরে ৭১৭ জন কর্মরত শিক্ষকের মধ্যে ১১৩ জন শিক্ষক ছুটিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
শনিবার (২৮ জুন) বিকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের ৪২তম বার্ষিক অধিবেশন পূর্ববর্তী শুভেচ্ছা ভাষণে এই তথ্য জানান উপাচার্য।
এসময় জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান বলেন, 'বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ৭১৭ জন, কর্মকর্তা ৩৮০ জন, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ৯৭০ জন এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ৫০৬ জন কর্মরত আছেন। উচ্চশিক্ষার জন্য ১০২ জন শিক্ষক ছুটিতে এবং ১১ জন শিক্ষক লিয়েন ছুটিতে রয়েছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজের শিক্ষক হিসাবে দায়িত্বে আছেন ৫২ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে সর্বমোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ হাজার ৬৯০ জন।'
তিনি আরও বলেন, 'বিগত শিক্ষাবর্ষে ১ হাজার ৬৭ জন শিক্ষার্থী স্নাতক (সম্মান), ১ হাজার ১৮২ জন শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর ৩ জন এমফিল এবং ৪৭ জন গবেষক পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।'
পড়ুন: জাবিতে আবাসিক হল থেকে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
তিনি বলেন, 'আমি অর্জিত ডিগ্রিধারীদের এই সিনেটের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং আশা করছি তারা কর্মক্ষেত্রে মেধা, দক্ষতা এবং প্রজ্ঞায় অর্জিত ডিগ্রির মান সমুন্নত রাখবেন।'
শনিবার (২৮ জুন) বিকাল ৩টায় সিনেটের নিয়মিত অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় ১ ঘণ্টা পিছিয়ে বিকাল ৪টা থেকে তা শুরু হয়। তবে জাবির ৪২তম বার্ষিক সিনেট অধিবেশন শুরুর আগে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে আওয়ামী লীগপন্থী তিন শিক্ষক সিনেট কক্ষ ত্যাগ করেন।
সিনেট কক্ষ ত্যাগ করা তিন সিনেটর হলেন- মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক নিগার সুলতানা, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিক-উর-রহমান এবং কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. যুগল কৃষ্ণ দাস।
১৫৯ দিন আগে
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি: জাবিতে বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যার দায়ে অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এরপর মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেইন গেইট (ডেইরি গেইট) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নেয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রায় ৩০মিনিট সময় ধরে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে মহাসড়কের দুই লেনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শেষে রাত দুইটা নাগাদ তারা মিছিলটি সরিয়ে নিলে আবারও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১৭ বছরের আওয়ামী দুঃশাসনে বাংলাদেশকে একটি কারাগারে রুপান্তর করা হয়েছিল। পরিশেষে গত বছরের জুলাই আন্দোলনে দুই হাজার ছাত্র জনতার রক্তের ওপর হোলি খেলেছে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। অনতিবিলম্বে এই সন্ত্রাসী সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় অবস্থান কর্মসূচি থেকে।
মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কর, করতে হবে করতে হবে’, ‘অমার ভাই কবরে, খুনি কেনো বাহিরে’, ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আওয়ামী লীগের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘আওয়ামী লীগের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।
২০৯ দিন আগে
জাকসুর তফসিল: নিরাপত্তা জোরদারে জাবিতে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
আসন্ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) এবং আবাসিক হল সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শনিবার (৩ মে) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শুক্রবার (২ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ইতোমধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) এবং আবাসিক হল সংসদ সমূহের নির্বাচনের তারিখ ও তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনার বিষয়। সেই আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগামীকাল ৩ মে (শনিবার) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বহিরাগত চিহ্নিতকরণে সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অংশীজনকে স্ব স্ব পরিচয়পত্র বহন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জুলাই হামলা: জাবিতে ২৫৯ ছাত্রলীগকর্মী ও ৯ শিক্ষক বরখাস্ত
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, জাবিতে জাকসুর তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন আগামী ৩১ জুলাই। কিন্তু এই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য দুষ্কৃতকারীরা ষড়যন্ত্র চালাতে পারে। তাই ক্যাম্পাসে যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তারা এবং নিরাপত্তাকর্মীরাও সর্বদা প্রস্তুত আছে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ ৩২ বছর পর জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় তাদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। তারা আশা করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল সকল ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
২১৫ দিন আগে
জাকসুর তফসিল ঘোষণা: নির্বাচন ৩১ জুলাই, প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন
দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে অচলাবস্থার পর অবশেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জাকসু) তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকাল পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে এবং একইদিন ভোগ গণনা এবং ফলাফল জানানো হবে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) দিবাগত রাত দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে জাকসুর তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব ও জাবি প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশেদুল আলম, কমিশনের সদস্য ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. লুৎফুল এলাহী এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা।
এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, তফশিল অনুযায়ী ১২ মে খসড়া ভোটার তালিকা ও আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে। এছাড়াও খসড়া ভোটার তালিকা সম্পর্কে আপত্তি গ্রহণের শেষ তারিখ ২১ মে বিকেল ৫টা পর্যন্ত, খসড়া আচরণবিধি সম্পর্কে মতামত গ্রহণের শেষ তারিখ ২১ মে, ৩০ জুন চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ ও চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ, ১ জুলাই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, মনোনয়নপত্র জমাদান (প্রার্থী কিংবা তার প্রতিনিধি কর্তৃক) ১-৭ জুলাই।
আরও পড়ুন: জুলাই হামলা: জাবিতে ২৫৯ ছাত্রলীগকর্মী ও ৯ শিক্ষক বরখাস্ত
তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ৯ জুলাই, মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিষয়ে এবং বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন গ্রহণ ১১ জুলাই, ১৩ জুলাই আপিলের শুনানী গ্রহণ ও আপিলের রায় ঘোষণা, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৪ জুলাই, প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ১৫ জুলাই, নির্বাচনী প্রচারণা ১৬ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ ১৬ জুলাই।
অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বলেন, একই দিন থেকে ২৮ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার করা যাবে এবং আগামী ৩১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকাল পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে এবং একই দিনেই ভোগ গণনা এবং ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এসময় জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য ও জাবি প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, জাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরাপদ করতে পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এরইমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। বহিরাগতরা যেন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারেন, সেজন্য আমাদের নিরাপত্তারক্ষীরা সর্বাত্মকভাবে কাজ করবে। সেই সাথে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদেরও সহযোগিতা চান তিনি।
তিনি আরও বলেন, একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিস্থিতির চাহিদা অনুযায়ী দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সহায়তাও নেওয়া হবে।
এর আগে রাত পৌনে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অংশীজনদের এবং সাংবাদিকদের সাথে এক সংবাদ সম্মেলনে জাকসুর তফসিল ঘোষণার কথা জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড কামরুল আহসান।
এসময় তিনি বলেন, উপাচার্য জানান, জাকসুর গঠনতন্ত্রের ৮ এর খ. ধারা অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচন একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, জাহাঙ্গীরনগরে একটি নতুন ইতিহাস রচিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ ৩২ বছর থেকে জাকসু অচল হয়ে আছে। সিনেটে উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলোও আদায় হচ্ছে না। কিন্তু জাকসু হলে পাঁচ জন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি সিনেটে যাবেন। শিক্ষার্থীদের হয়ে কথা বলবে। সবার সম্মতিতে একটা আশাব্যঞ্জক নির্বাচন হবে বলেই আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড আব্দুর রব, প্রক্টর অধ্যাপক ড এ কে এম রাশেদুল আলমসহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: কুয়েট ভিসি মাসুদের পদত্যাগ দাবিতে জাবিতেও অনশন
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে জাকসুর সার্বিক নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে ‘পরিবেশ পরিষদ: জাকসু নির্বাচন ২০২৫’- শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এবং ক্রিয়াশীল শিক্ষার্থী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা বৈঠক শেষে বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৬টায় জাকসুর তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সম্মত হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে জাকসুর তফসিল ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, জাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯২ সালে। ১৯৯৩ সালে সিন্ডিকেটে একটি হট্টগোলের কারনে তখন থেকে বন্ধ আছে জাকসুর কার্যক্রম।
১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট আটবার জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নবমবারের মতো জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবছরের ৩১শে জুলাই।
২১৮ দিন আগে
কুয়েট ভিসি মাসুদের পদত্যাগ দাবিতে জাবিতেও অনশন
কুয়েট শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং অবিলম্বে কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক মাসুদের পদত্যাগের দাবিতে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার ব্যানারে আমরণ অনশনে বসেছেন এক নারীসহ মোট আট শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন মহুয়া মঞ্চে এই আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
আরও পড়ুন: পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে জাবি ছাত্রদলের মানববন্ধন
অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন, আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল, তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম, জিয়া উদ্দিন আয়ান, নাজমুল ইসলাম, জান্নাতুল ফেরদৌস আনজুম, কাজী মেহেরাব তূর্য, নাহিদ হাসিন ইমন ও সাজ্জাদ হোসেন।
অনতিবিলম্বে কুয়েটের ভিসিকে পদত্যাগের আহবান জানিয়ে অনশনকারীরা বলেন, আজ দুপুর তিনটার মধ্যে কুয়েটের উপাচার্যকে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় স্থান পরিবর্তন করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা।
এসময় অনশনরত শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার আহবায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যৌক্তিক দাবিতে গত ৪৮ ঘণ্টা থেকে অনশন করে কুয়েটে আমার ভাইয়েরা মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। তবুও নির্লজ্জ ভিসির পদত্যাগের কোন ইচ্ছা নাই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আজকে একজন উপদেষ্টা পাঠালেও এখন পর্যন্ত কোন সুরাহা করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসন কার কাছে জিম্মি হয়ে এই ভিসিকে এখনো চেয়ারে বসিয়ে রাখার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে আমরা তা জানতে চাই। দুপুর তিনটার মধ্যে কুয়েটের ভিসি পদত্যাগ না করলে স্থান পরিবর্তন করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন
এছাড়া গনতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন আয়ান বলেন, আমরা কুয়েটের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে এখানে অনশনে বসেছি। কুয়েটের ভিসি মাসুদ পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এই অনশন চালিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, আজকে তিনটার মধ্যেই দাবি আদায় না হলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবো সেইসাথে সারাদেশ ব্লকেড কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
২২৫ দিন আগে
পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে জাবি ছাত্রদলের মানববন্ধন
বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজের ছুরিকাঘাতে নিহত হওয়ার প্রতিবাদ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কালো ব্যাজ ধারণ করে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরের পশ্চিম পার্শ্বের রাস্তায় এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে জাবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিকের সঞ্চালনায় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পারভেজ হত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, ৫ আগষ্ট পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে এখনো স্বৈরাচারের দোসররা তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে। আমরা তাদের হুশিয়ার করে বলতে চাই, এরপর যদি দেশের কোথাও তারা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চালায়, তাহলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।
আরও পড়ুন: প্রতীকী হালখাতা ও আনন্দ শোভাযাত্রায় জাবিতে বর্ষবরণ
এসময় জাবি শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক জহির উদ্দিন বাবর বলেন, আমরা দেখেছি স্বৈরাচারী আওয়ামী যুগে প্রকাশ্য দিবালোকে বিশ্বজিতকে হত্যা করা হয়েছিল। ঠিক একই কায়দায় ছাত্রদল নেতা পারভেজকেও হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, পারভেজ হত্যার সাথে জড়িত ছিল ছাত্রলীগ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্তত বিশ জন নেতাকর্মী। কিন্তু গ্রেফতার করা হয়েছে মাত্র তিনজনকে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে, অন্যথায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
২২৭ দিন আগে