জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
কোটা আন্দোলন: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে উত্তাল এক রাত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর সোমবার দিবাগত রাতে সহিংস হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। বহিরাগতদের নিয়ে দুই দফায় হামলা চালায় তারা। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ক্যাম্পাস।
এর আগে ছাত্রলীগের হামলার শঙ্কায় উপাচার্যের বাসভবনে আশ্রয় নেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হতে হয় তাদের। পরে বিভিন্ন হল থেকে শত শত শিক্ষার্থী এসে হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিতাড়িত করে।
সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, রাত ১২টার পরপর তিন শতাধিক কর্মী ও বহিরাগতদের নিয়ে প্রথম হামলা চালায় ছাত্রলীগ। হেলমেট পরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আসে তারা।
৪ মাস আগে
জাবিতে ধর্ষণকাণ্ডে কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ ও সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা করতে তিন সদস্যেরে একটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ধর্ষণের ঘটনায় কি ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কেন এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটছে সেটি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কমিটি গঠনের কথা জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন রিমান্ডে
অভিযোগের প্রতিকার ব্যবস্থা এবং জিআরএস সফটওয়্যার বিষয়ক দিনব্যাপী এই কর্মশালাটির আয়োজন করে ইউজিসি।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন- কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
প্রফেসর আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানিসহ অনিয়মের অভিযোগসমূহের নিখুঁতভাবে পর্যালোচনা ও প্রতিকারে পদক্ষেপ গ্রহণে ইউজিসি শিগগিরই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সেল গঠন করবে। এখানে দক্ষ কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হবে। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম-নিপীড়নের ঘটনা ঘটলে এই সেল তদারকি করবে এবং তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণকাণ্ড বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যৌন হয়রানিসহ নানা অপকর্মে দৃশ্যমান ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে।
এছাড়া, এসব অপরাধের বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা ও অপরাধীদের প্রশ্রয়ের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি ঘটনা রোধ করা সম্ভব হয়নি।
ড. আলমগীর বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ ঘটনা আমাদের মর্মাহত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা কোন মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটছে, তা খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন আটক
আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত না করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে এবং অছাত্ররা দিনের পর দিন কীভাবে হলে থাকছেন, সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ হলেই কেবল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি, শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়।
তিনি দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানিসহ যেকোন অপরাধের ঘটনা দ্রুত আমলে নেওয়া, এটিকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে দেখা, ক্যাম্পাস নিরাপদ রাখা এবং লৈঙ্গিক বৈষম্য রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
ড. ফেরদৌস জামান যৌন হয়রানি বন্ধে প্রতিরোধ কমিটি শক্তিশালীকরণ ও মনিটরিং জোরদার করার পরামর্শ দেন। এছাড়া সকল ধরণের হয়রানি বন্ধে নৈতিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ইউজিসি’র উপপরিচালক ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার ফোকাল পয়েন্ট মৌলি আজাদের সঞ্চালনায় কর্মশালায় কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: জাবিতে প্রথম বর্ষে ভর্তির আবেদনের তারিখ ঘোষণা
৯ মাস আগে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন শুরু হয়।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বিজনেস স্টাডিজ প্রাঙ্গণ থেকে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২৪ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সম্প্রতি বিজ্ঞানী ও গবেষক হিসেবে আন্তর্জাতিক তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরুর সময় যে সব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেগুলো পূরণে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি দেশ ও জাতির কল্যাণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অতুলনীয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করে জাতিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৫০ বছরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
সকাল ১১টায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেন্দ্রের(টিএসসি) উদ্যোগে ক্যাফেটেরিয়া এলাকায় রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি পালিত হয়।
এছাড়া ছাত্র কল্যাণ ও কাউন্সেলিং সেন্টারের উদ্যোগে শারীরিক শিক্ষা অফিসের পেছনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি এবং সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া এলাকায় পিঠা মেলা, সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং লোকসংগীত উৎসব 'শিল্পী শফি মণ্ডলের একক কনসার্ট' অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
১৯৭১ সালের ৪ জানুয়ারি মাত্র চারটি বিভাগ, ২১ জন শিক্ষক ও ১৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। পরে ১২ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
বর্তমানে ৬টি অনুষদ ও ৪টি ইনস্টিটিউটের অধীনে ৩৬টি বিভাগে ৭ শতাধিক শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
১০ মাস আগে
সাংবাদিক শামসের মুক্তির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবির প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হওয়া প্রথম আলোর সাভার প্রতিনিধি শামসুজ্জামান শামসের মুক্তির দাবিতে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।
মহাসড়কে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জাবি সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী এবং ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ প্রমুখ।
এসময় সৌমিক বাগচী বলেন, সাংবাদিক শামস ভাই দিনমজুর জাকিরের বরাতে যে কথা লিখেছেন, তা এদেশের কোটি কোটি মানুষের মনের কথা।
তিনি বলেন, ‘আমরা ব্রিটিশ ও ইয়াহিয়ার শাসনামল দেখিনি। কিন্তু আমরা আজকে তাদের প্রেতাত্মার আমল দেখছি।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে জনগণের গলা টিপে ধরার সাহস দেখালে দেশ আরও একটি গণঅভ্যুত্থানের সাক্ষী হবে বলে হুমকি দেন এই প্রগতিশীল নেতা।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর
১ বছর আগে
জাবির ফার্মেসি বিভাগে দীর্ঘ সেশন জট, দায় নিতে রাজি নয় কেউ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগে দীর্ঘ সেশন জট চলছে কিন্তু এর দায় নিতে চায় না বিভাগ কিংবা সংশ্লিষ্ট কেউ।ভর্তির পর ছয় বছর পার হয়ে গেলেও এখনও তৃতীয়বর্ষ পার হতে পারেননি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ফার্মেসি বিভাগের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের(৪৬ ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা।
তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হয়েছে প্রায় দুই বছর আগে। তবে এখনও ফল প্রকাশিত হয়নি। এরমধ্যে চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষাও নিয়ে নিয়েছে বিভাগ।
যদিও আগের বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের আগে পরবর্তী বর্ষের পরীক্ষা নেয়ার কোন নজির বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। তবুও নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা না নেয়া ও ফল প্রকাশ করতে না পারার ব্যর্থতা ঢাকতেই বিভাগের শিক্ষকরা নিয়মের সব বিধি উপেক্ষা করেই ’সেশনজট কমাতে’ চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শেষও করে ফেলেছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ জাবি ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে
কিন্তু তৃতীয় বর্ষের ফল প্রকাশ না করে কীভাবে শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় বসানো হলো তার কোন সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি সংশ্লিষ্ট কারও কাছে।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ দিদারে আলম মুহসিন বলছেন, দীর্ঘ সেশনজটের কবল থেকে শিক্ষার্থীদের জীবন বাঁচাতেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।
পাশাপাশি উঠে এসেছে শিক্ষার্থীদের প্রতি বিভাগের শিক্ষকদের অবহেলার বিষয়টিও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব চূড়ান্ত পরীক্ষা হয়ে থাকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের মাধ্যমে। কিন্তু পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের ওই সময়ে দায়িত্বে থাকা কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহ দেখাননি।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, কোনো শিক্ষার্থী যদি তৃতীয় বর্ষে অকৃতকার্য হয় তাহলে সে কী করবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী দুই বিষয়ে কেউ অকৃতকার্য হলে সে একই ব্যাচের সঙ্গে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে। আর অকৃতকার্য হওয়া ওই দুই বিষয় তাকে পরবর্তী ব্যাচের সঙ্গে পরীক্ষা দিতে হবে। যেটা ‘ইমপ্রুভমেন্ট’ হিসেবে গণ্য হবে এবং তার ‘ইয়ার ড্রপ’ হবে না। আর তিন বা তারও বেশি কোর্সে অকৃতকার্য হলে নীচের কোন ব্যাচের সঙ্গে তাকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। যেটি ‘ইয়ার ড্রপ’ হবে। এছাড়া অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থা তো থাকছেই।
ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিভাগের শিক্ষকরা তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে নিয়েছেন যে, যাই হোক না কেন, শিক্ষার্থীদের বিশেষ পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ তো থাকছে।
এরমধ্যে কিন্তু ৪৭ ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষাও শেষ হয়ে গেছে। এখন ৪৬ ব্যাচের কেউ যদি তিন বিষয় বা তারও বেশি কোর্সে অকৃতকার্য হয় তাহলে তিনি দুই বছর পিছিয়ে পড়বেন। অর্থাৎ তাকে ৪৮ ব্যাচের সঙ্গে পড়াশোনা চালাতে হবে, অথবা দ্রুত বসতে হবে বিশেষ পরীক্ষায়। এমন অবস্থায় ৪৬ ব্যাচের সব শিক্ষার্থী হতাশা ও অনিশ্চয়তায় দিন পার করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ফার্মেসি বিভাগের ৪৬ ব্যাচের (২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ) তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা ২০১৯ সালে হওয়ার কথা থাকলেও তা অনুষ্ঠিত হয় আড়াই বছর পর ২০২১ সালে। করোনার কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে ২০২১ সালের ২১ আগস্ট শুরু হয়ে ১০ অক্টোবর (তত্ত্বীয়) শেষ হয়। এর ৭ মাস পর শুরু হয় ব্যবহারিক (ল্যাব) পরীক্ষা। ২০২২ সালের ১৮ মে থেকে শুরু হয়ে ২ জুন পর্যন্ত চলে ল্যাব পরীক্ষা।
পরীক্ষার ৯ মাস পার হয়ে গেলেও ফল প্রকাশ করা হয়নি। এরই মধ্যে চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষাও (তত্ত্বীয় ও ল্যাব) সম্পন্ন হয়ে গেছে। যেটি ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে শেষ হয় নভেম্বরের শেষে। ফলে শিক্ষার্থীরা ভুগছেন চরম অস্থিরতায়। তারা আদৌ জানেন না তারা তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করেছেন কী না। আর যদি উত্তীর্ণ না হন তাহলে তাদের শিক্ষাজীবন আরও অনিশ্চয়তায় পড়ে যাবে। এদিকে, ৪৬ ব্যাচের অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে স্নাতকোত্তরে পড়াশোনা করছেন।
তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন তানিয়া বিনতে ওয়াহিদ, আর সদস্য হিসেবে আছেন অধ্যাপক সোহেল রানা এবং সহযোগী অধ্যাপক সুকল্যাণ কুমার কুণ্ডু। কিন্তু পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করেই ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর শিক্ষা ছুটিতে দেশের বাইরে চলে যান সভাপতি তানিয়া। এরপরই পরীক্ষা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পান অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার। এরপরও পেরিয়ে গেছে ৫ মাস। কিন্তু ফলাফল প্রকাশ করতে পারেননি কমিটির সদস্যরা। আর চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক ড. সুকল্যাণ কুমার কুণ্ডু।
অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষা শেষ হওয়ার সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: জাবিতে গাড়ি থামানোয় নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর শিক্ষার্থীর
এদিকে আগের বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করেই পরবর্তী বর্ষের পরীক্ষা নেয়া যায় কী না- জানতে চাওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক ডিন ও অধ্যাপক পদমর্যার এক শিক্ষকের কাছে। তারা জানান, এমন কোন নিয়ম বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। যদি তা হয়ে থাকে তাহলে উপাচার্যের বিশেষ অনুমতিতে হতে পারে অথবা বিভাগের শিক্ষকদের চাপে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয় পরীক্ষা নিয়ে থাকতে পারে। অথবা বিভাগ আবেদন করার পর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয় খেয়ালই করেননি যে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল আটকে আছে; তাদের চোখের ফাঁক গলে বিষয়টি সংঘটিত হয়ে গেছে।
তবে, উপাচার্যের বিশেষ কোন অনুমতি নেই এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। আর বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের কেউ সরাসরি কথা বলতে রাজি হননি। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তিনজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে বুঝা গেছে, বিভাগের শিক্ষকদের চাপ থাকলে সেখানে তাদেরও খুব একটা কিছু করার থাকে না। ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেও এই কথার সত্যতা আঁচ করা গেছে।
আর যে সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অধীনে ফার্মেসী বিভাগের পরীক্ষা হয়েছে তিনি বর্তমানে শারীরিকভাবে কিছুটা অক্ষম। নিয়মিত অফিস করলেও খুব একটা কথা বলতে পারেন না। ফলে তার কাছ থেকেও ঘটনার বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে তৎকালীন সময়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও বর্তমান গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.ফরিদ আহমেদও এই বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী হননি।
তিনি বলেন, ‘এখন দায়িত্বে নেই, ফলে সবকিছু মনেও নেই। তাই এই বিষয়ে মন্তব্য না করাই ভালো মনে করছি।’
এরপর যোগাযোগ করা হয় তৎকালীন উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা মাসুদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বর্তমানে অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) আছেন। বিষয়টি তার মনে নেই জানিয়ে বলেন, ‘সব ছেড়ে চলে আসার সঙ্গে সঙ্গে মাথা থেকে সব কাজ ফেলে দিয়েছি, সাত দিনও রাখিনি। ওই সময়ের কথা তেমন কিছুই মনে নেই। তাই কিছু বলতেও পারব না।’
এদিকে তৃতীয় বর্ষের ফল প্রকাশের আগেই চতুর্থ বর্ষের তত্ত্বীয় পরীক্ষা নেয়া হলেও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংয়ের বিষয়ে বিভাগের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে অভিযোগ করছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে চতুর্থ বর্ষের ফলও কবে প্রকাশিত হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের অন্য বিভাগের বন্ধুরা অনার্স শেষ করে এখন মাস্টার্সে ক্লাস করছে। আর আমাদের তৃতীয় বর্ষের ফলাফলই প্রকাশিত হয়নি। ফলে বিসিএসসহ সব ধরনের চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ আমরা পাচ্ছি না, এমনিক আমাদের সেক্টরেও চাকরির বাজারেও আবেদন করতে পারছি না।’
বিভাগের অবহেলাকে পুরোপুরি দায়ী করে তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সেশনজটের কবলে পড়েছি। আমাদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়ে গেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ দিদারে আলম মুহসিন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে বিভাগে কিছু সেশনজট তৈরি হয়েছে। করোনার মধ্যে তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনলাইনে নেয়ার অনুমতি থাকলেও ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। ফলে আমরা ব্যবহারিক পরীক্ষাগুলো নিতে পারিনি। এখন আমরা আগে তত্ত্বীয় পরীক্ষা হওয়া সাপেক্ষে বিভিন্ন ব্যাচের ব্যবহারিক পরীক্ষা নেব।’
‘আর চতুর্থ বর্ষের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংয়ের জন্য আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করছি। অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের ট্রেনিং করছে। কিছু শিক্ষার্থীর বাকি আছে আশা করছি দ্রুতই এর সমাধান হবে।’
তবে তৃতীয় বর্ষের ফল প্রকাশের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তারের সঙ্গে কথা বলতে দুই দিন বিভাগে গিয়েও পাওয়া যায়নি। পরে, মুঠোফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভাগের শিক্ষকরা বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়ায় ব্যস্ত থাকেন। যার কারণে এমন জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাবিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আহত শিক্ষার্থী লাইফ সাপোর্টে
১ বছর আগে
জাবির মুক্তমঞ্চে নদীর জীবন-চিত্র আঁকলো শিক্ষার্থীরা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মুক্তমঞ্চের প্রবেশপথে নদীর জীবন-চিত্র আঁকলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত ‘নদীরক্স’-কনসার্টের উদ্যোগের পাশে দাঁড়িয়ে এ শিল্পকর্মটি উপহার দেয় তারা।
আরও পড়ুন: জাবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
প্রত্নতত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী সৌমিক বাগচী বলেন, ‘আমরা আসলে এমন একটা নদী আঁকতে চেয়েছি, যে নদীটা সম্পূর্ণ দেখা যাবে। সেই তার উৎসমুখ থেকে তার মানুষের কাছে আসা পর্যন্ত-পুরো তার জীবন প্রবাহ। আমাদের আঁকা নদীটা দেখলে দেখবেন, মানুষের কাছাকাছি আসতে আসতে নীল জলের নদীটা কালো হয়ে যাচ্ছে, অর্থাৎ মানুষের সংস্পর্শে এসে সে তার জীবন হারাচ্ছে-যা আমাদের নদীমাতৃক বর্তমান বাংলাদেশের বাস্তবচিত্র।’
সৌমিক আরও জানান, এ চিত্রকর্মটি আঁকতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা ছাড়াও অংশ নেয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সদস্যরা।
শুধু তাই নয়, কনসার্টটিতে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগম হয় বলে জানা গেছে। প্রায় বিশ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এ কনসার্টে দেশের নদীগুলো বাঁচাতে জনসচেতনায় গান পরিবেশন করেন-দেশের শীর্ষস্থানীয় পাঁচ ব্যান্ড চিরকুট, অ্যাশেজ, বাংলা ফাইভ, এফ মাইনর ও স্মুচেস।
এ উদ্যোগে সমর্থন ব্যক্ত করেন শিক্ষার্থীরা।
নদীরক্স কনসার্টের সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশে অবস্থিত সুইজারল্যান্ড দূতাবাস, সুইডেন দূতাবাস ও ইউএনডিপি।
দেশের মৃতপ্রায় ও ক্ষতিগ্রস্ত নদীগুলো বাঁচাতে দেশব্যাপী জনসচেতনতামূলক ‘নদীরক্স’ কনসার্টের আয়োজন করছেন শারমিন সুলতানা সুমী।
তিনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অভূতপূর্ব সাড়া পাবো তা ভাবতে পারিনি। এ আবেগ শুধু গানের জন্য ছিল না, ছিল নদীর জন্যও এটিই সবচেয়ে অভিভূত করেছে। মুক্তমঞ্চের প্রবেশপথে তাদের আঁকা নদীটা দেখলেই তা বোঝা যায়।’
শিক্ষার্থীদের মতে, শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নয়, দেশের আনাচে কানাচে কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত কোন নদীগুলোর তীরে এ কনসার্ট আয়োজিত হলে আয়োজনটি আরও সফল হবে।
আরও পড়ুন: জাবিতে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেমিনার
জাবিতে বর্ণিল আয়োজনে প্রজাপতি মেলা
১ বছর আগে
জাবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
দীর্ঘ দশ মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন পেলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগ। নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন ৩৮৮ জন।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
রাত ৯টা ২০ মিনিটে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অফিশিয়াল পেজে তা প্রচার করা হয়।
আরও পড়ুন: তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে জাবি শিক্ষার্থীর ৭ বছরের কারাদণ্ড
এবারের কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন ১০০ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১১ জন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ১১ জন, সহ-যুগ্ম সম্পাদক পদ পেয়েছেন ৬৬ জন এবং সদস্য পদ পেয়েছেন ৫৫ জন।
এছাড়া বিভিন্ন পদে সম্পাদক ও উপ-সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন মোট ১৪৩ জন।
দীর্ঘদিন পর কমিটি হওয়ায় উচ্ছ্বসিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সদ্য সহ-সভাপতি মনোনীত আরিফুল ইসলাম প্রীতম বলেন, ‘ক্যাম্পাস জীবনের রাজনীতি আজ পূর্ণতা পেলো। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার প্রতিফলন পেলাম। সামনের দিনগুলোয় আরও ভালো কিছু হবে’।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘রাত ৯টার পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অফিসিয়াল পেইজ থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জাবি শাখার ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণতা পেলো। আমাদের দু’জনের কাঁধ থেকে বড় একটা বোঝা নেমে গেলো। আশা করি শাখা ছাত্রলীগ পূর্ণ উদ্যমে কাজ শুরু করবে।’
উল্লেখ্য, এ বছরের ৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২ ব্যাচের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী আখতারুজ্জামান সোহেলকে সভাপতি ও ৪৩ ব্যাচের দর্শন বিভাগের হাবিবুর রহমান লিটনকে সাধারণ সম্পাদক করে আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নির্যাতনে জাবির ১১ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার
জাবির নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আফসার আহমদের ৬৩তম জন্মজয়ন্তী
১ বছর আগে
জাবিতে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
সারাদেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতির জেরে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কর্তৃপক্ষ। তবে এসময় অনলাইন ক্লাস চলবে এবং আবাসিক হলসমূহ খোলা রাখা হবে।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত এসময় সবধরনের শিক্ষাগত কার্যক্রম যেমন- ক্লাস, টিউটোরিয়াল, অ্যাসাইনমেন্ট ও প্রেজেন্টেশন অনলাইনের মাধ্যমে চলবে। তবে ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।
যাদের রুটিন হয়েছে, তাদের জন্য পরীক্ষার নতুন তারিখ পরে জানানো হবে।
এই সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে অনলাইন নীতিমালার মাধ্যমে ফাইনাল পরীক্ষা নেয়া হবে বলেও এসময় জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত
ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধ
শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দাবি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস শিক্ষামন্ত্রীর
২ বছর আগে
সেলিম আল দীনের ১৪তম প্রয়াণ দিবস আজ
নাট্যচার্য সেলিম আল দীনের ১৪তম প্রয়াণ দিবস আজ। ২০০৮ সালের এই দিনে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
দিবসটি উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
ফেনীতে ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট জন্ম নেয়া সেলিম আল দীন ১৯৭৪ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৬ সালে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ প্রতিষ্ঠা হলে তিনি এ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ঔপনিবেশিক সাহিত্য ধারার বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি নাটকে আবহমান বাংলার গতিশীল ধারা ফিরিয়ে আনেন। বাংলাদেশে গ্রাম থিয়েটারের স্বপ্নদ্রষ্টা এই মহারথী। ঢাকা থিয়েটারের প্রাণপুরুষও তিনি।
আরও পড়ুন: জাবিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা
সেলিম আল দীন অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি ১৯৮৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৯৭ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ২০০৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্যও ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাবিতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী উপভোগ করলেন ‘মিশন এক্সট্রিম’
২ বছর আগে
জাবিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা
দেশের করোনা পরিস্থিতি অবনতি ও বেশ কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সশরীরে তাত্ত্বিক ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এ সময়ে অনলাইন মাধ্যমে ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে এবং একাধিক কক্ষে সশরীরে ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এ সময়ে আবাসিক হলসমূহ খোলা থাকবে।
এছাড়া, ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ, মাস্ক পরিধান বাধ্যতাকরণসহ বেশ কিছু স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি গ্রহণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে। এছাড়াও ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য পাখি মেলা স্থগিত করা হয়েছে।
এছাড়াও প্রতিটি হলে একই সময়ে চার জন শিক্ষার্থীর জন্য আইসোলেশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: জাবিতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী উপভোগ করলেন ‘মিশন এক্সট্রিম’
জাবিতে দিনব্যাপী প্রজাপতি মেলা অনুষ্ঠিত
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে জাবিতে শুরু হচ্ছে প্রতীকী প্রতিবাদী ক্লাস
২ বছর আগে