একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। গত তিন বছর ধরে ক্যান্সারে ভোগা এই শিল্পী রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বামী সারোয়ার আলম।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, জীবনের শেষ প্রান্তে পাপিয়া। আমাদের দুই মেয়ে জারা সারোয়ার ও জিশা সারোয়ার যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বসবাস করছে। তারা ফেরার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দীর্ঘদিন ধরেই জটিল রোগে ভুগছিলেন পাপিয়া সারোয়ার। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বছর তাকে দিল্লিতেও নিয়ে যাওয়া হয়।
পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। পরে ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারত যান।
তার আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সানজীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তীতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীতদীক্ষা নেন।
দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছেন। আধুনিক গানেও তিনি সফল। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দেয়।
পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভের পর ২০২১ সালে একুশে পদক পান এই সংগীত শিল্পী।