শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে চলমান সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ চলাকালীন দুই দলের মধ্যে হাতাহাতি হয়। দল দু’টির অধিনায়ক দীপঙ্কর দীপন ও মোস্তফা কামাল রাজ।
জানা যায়, দীপঙ্কর দীপনের দলের চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী জানান, মোস্তফা কামাল রাজের দল থেকে শুরুতে আক্রমণ করা হয়। এমনকি তারা নাকি বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে আসে। এ নিয়ে শনিবার (৩০ সেপেম্বর) সন্ধ্যায় মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করেন দীপঙ্কর দীপন।
সংবাদ সম্মেলনে দীপঙ্কর দীপন বলেন, ‘গতকালকে (২৯ সেপ্টেম্বর) যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেল তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এখানে সবাই ছিলেন, দেখেছেন আমরা মারামারিতে জড়াইনি। হঠাৎ দেখি চার-পাঁচ জন এসে আমাদের হামলা করেছে। কিছু মানুষ মারতে এসেছিল, বাকি সবাই ঠেকিয়েছে। তারা সাপোর্টার জার্সি পরিহিত ছিল। আমাদের একজন প্লেয়ার মনোজকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: বস্তি থেকে ছেলে নিয়ে আসছে খেলাতে: শিমুল
এই নির্মাতা আরও বলেন, ‘আমার সহকারীকে মাটিতে ফেলে মারা হয়েছে। আমরা বিস্মিত হয়ে গেছি! এরা কারা? কোত্থেকে এলো? ঘটনার পরই কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা দাবি জানিয়েছি, এটার সুরাহা না করলে আমরা মাঠ ত্যাগ করব না। তারা আমদের কাছে এক দিন সময় চেয়েছেন। তাদের ধন্যবাদ, এর মধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছেন।’
মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ ও দীপঙ্কর দীপনের দলের মধ্যকার মারামারির ঘটনায় স্থগিত হয়ে গেল সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগ। একই সঙ্গে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে আয়োজকরা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার পেছনে দীপন বা রাজ কেউ দায়ী নয়। মাঠে থাকা ক্যামেরা ও বিভিন্ন চ্যানেলের ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দোষীদের শনাক্ত করা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আয়োজকরা।’
আরও পড়ুন: সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে মারামারির ঘটনা
অন্যদিকে নিজের দলের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন নির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। তিনি বলেন, ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী। অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনার জন্য আমি লজ্জিত। আমার দল থেকে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। যেহেতু আমরা একই পরিবারের সদস্য, তাই আমরাই বিষয়টি সমাধান করেছি।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে মোস্তফা কামাল রাজের দল। নির্ধারিত ছয় ওভারে ১১৯ রান সংগ্রহ করে তারা। দীপঙ্কর দীপনের টিম বিরাট রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সমানুপাতিক হারেই রান তুলছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ৭ রানে হেরে যায় তারা। দলটি নির্ধারিত ৬ ওভারে ১১২ রান করে। ম্যাচ শেষেই ঘটে মারামারির ঘটনা।