দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়রের দায়িত্ব পালন করা সাঈদ খোকন বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম ও শেখ ফজলে নূর তাপসও নির্বাচনে লড়ার জন্য মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
ইউএনবির সাথে আলাপকালে দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে যে দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালীন ‘প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকার’ কারণে বর্তমান মেয়র খোকন মনোনয়ন নাও পেতে পারেন। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নতুন কাউকে মনোনয়ন দিতে চায়।
এদিকে, মেয়র খোকন আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার সময় নগরবাসীর দোয়া চান।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি এখন কঠিন সময়ের মাঝ দিয়ে যাচ্ছে। এ কঠিন সময়ে আমি দেশ ও ঢাকা শহরের মানুষের দোয়া চাই।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজের অভিভাবক হিসেবে বর্ণনা করে খোকন বলেন, ‘আমার জন্য তিনি যা ভালো মনে করবেন তাই করবেন।’
মেয়র বলেন, ‘ঢাকা শহরের জন্য আমি অনেক কিছু করেছি, তবে কিছু কাজ অসম্পূর্ণ থেকে গেছে। এসবও আমি শেষ করতে চাই।’
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু মেয়র প্রার্থী হতে চেয়ে নগরীর দক্ষিণ অংশে বিভিন্ন দেয়ালে পোস্টার লাগিয়েছেন। তবে তিনি এখনো দলীয় মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেননি।
বুধবার শেখ ফজলে নূর তাপসের পক্ষে তার মামা মাসুদ সেরনিয়াবাত আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। আর হাজী সেলিমের জন্য তার ব্যক্তিগত সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ বেলাল মনোনয়নপত্র নিয়ে যান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কয়েকবার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তাদের দল এ নির্বাচনে নতুন মুখের প্রতি সবুজ সংকেত দেবে।
কাদের বৃহস্পতিবার বলেন, যেসব প্রার্থী মানুষের দোয়া নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হতে পারবেন তাদেরই মনোনয়ন দেবে দল।
দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এখন পর্যন্ত ১৮ প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাদের মাঝে আছেন বঙ্গবন্ধু একাডেমির সভাপতি নাজমুল হক ও মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক মহাসচিব এমএ রশিদ।
২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ করে আওয়ামী লীগ। মনোনয়নপত্র নেয়ার জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের ২৫ হাজার টাকা করে দিতে হয়।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের দৌড়ে কে থাকবেন তা শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) নির্ধারণ করবে দলটি।
তফসলি অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে দলের কাছে মনোনয়নপত্র পূরণ করে জমা দিতে হয়।