সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের উচারগাঁও গ্রামের গোপাল দাসের বাড়ি থেকে উচারগাঁও সেতু হয়ে আব্দুস সোবাহানের বাড়ি ও লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের ফকিরনগর গ্রামের এলজিইডির সড়ক হতে ছুরতজ্জামানের বাড়ি পর্যন্ত সড়কের ইটের সলিং করার জন্য ৫৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। উচারগাঁও গ্রামের গোপাল দাসের বাড়ি থেকে উচারগাঁও সেতু হয়ে আব্দুস সোবাহানের বাড়ি পর্যন্ত ৭০০ মিটার ও ফকিরনগর গ্রামের ৩০০ মিটার মাটির সড়কে ইটের সলিং করা হবে।
স্থানীয়রা জানায়, উচারগাঁও গ্রামের প্রকল্প এলাকায় ঠিকাদার সড়কের কাজ করার জন্য নিম্নমানের ইট সড়কের দুপাশে মজুদ করে রেখেছেন।
উচারগাঁও গ্রামের বশির উদ্দিন বলেন, ‘হুনছি (শুনছি) ইতা (এগুলো) বাণিজ্য মেলার ইট। কমপোড়া ইট দিয়ে ইটের সলিংয়ের কাজ করলে সড়ক বেশিদিন টিকত ন (টিকবে না)।’
একই গ্রামের দিনারা বেগম জানান, ঠিকাদার এখনও কাজ শুরু করেনি। তবে কমপোড়া ইট দিয়ে সড়ক বানালে ভালো হবে না। তিনি সড়কের কাজে ভালো মানের ইট ব্যবহার করার দাবি জানান।
অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারের প্রতিনিধি ফখরুল জানান, গ্রামের একটি মহল এ সড়ক তৈরিতে পরোক্ষভাবে বাধার সৃষ্টি করছে। তারাই নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ করছে। যা আদৌ সত্য নয়। সরকারি বিধি মোতাবেক ১ নম্বর ইট সাইটে নেয়া হয়েছে। এতে কোনো ধরনের অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়নি।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. তৌহিদুজ্জামান বলেন, সড়কে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। ইট ল্যাবরেটরি টেস্টে ভালোমন্দ যাচাইয়ের পর কাজ শুরু করতে হবে।
জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল হক বলেন, ‘আমি সরেজমিনে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করব। কাজে অনিয়ম পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’