চন্দ্রযান-৩ এর সফল প্রেরণে যাদের অবদান ছিল তাদের প্রত্যেকের প্রশংসা করে করেছে ভারতীয় মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভায় বলা হয়, প্রবল ইচ্ছা, অধ্যবসায় ও অবিচল নিষ্ঠার সঙ্গে ভারত কী অর্জন করতে পারে তার উজ্জ্বল প্রমাণ হলো চন্দ্রযান-৩।
২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করতে ভারতীয়রা নিজেদের আবারও উৎসর্গ করবে বলে আস্থা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিসভা।
ভারত সরকারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের এই যুগে বিজ্ঞানের প্রতি তরুণদের অনুপ্রাণিত করতে শিক্ষা জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রিসভা।
চন্দ্রযান-৩ মিশনের ঐতিহাসিক সাফল্য উদযাপনে দেশবাসীর সঙ্গে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বলেছে, এ সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলোতে আগ্রহের শিখা জ্বালিয়েছে এই সাফল্য এবং আমাদের দেশে অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর একটি বড় সুযোগ তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: ইসরো চন্দ্রযান-৩: ভারতের চন্দ্র বিজয়ে নারী বিজ্ঞানীদের সাফল্য
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মহাকাশ সম্পর্কিত বিষয় এখন ভারতীয় স্বদেশি স্টার্ট-আপে পরিণত হয়েছে। যা ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (এমএসএমই) খাতবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য আরও উন্মুক্ত হবে। এতে লাখ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করবে এবং নতুন উদ্ভাবনের সুযোগ করে দেবে।
ভারতের এই অগ্রগতির শিখা সবসময় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষের জীবনকে আলোকিত করার চেষ্টা করবে।
ভারতীয় মন্ত্রিসভা বিশ্বাস করে, মহাকাশ ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগতি শুধু স্মরণীয় বৈজ্ঞানিক অর্জন নয়, এর চেয়েও বেশি কিছু। যা অগ্রগতি, আত্মনির্ভরশীলতা ও বৈশ্বিক নেতৃত্বের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিনিধিত্ব করে। এটি উদীয়মান নতুন ভারতের প্রতীকও বটে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘স্যাটেলাইট যোগাযোগ ও আবহাওয়াবিদ্যা থেকে শুরু করে কৃষি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আরও সুযোগ তৈরি করতে আমাদের সহনাগরিকদের এই পদক্ষেপগুলো কাজে লাগানোর আহ্বান জানাই।’
ভারতীয় মন্ত্রিসভাও বিজ্ঞানীদের অসাধারণ কৃতিত্বের প্রশংসা করেছে।
মন্ত্রিসভা ২৩ আগস্টকে 'জাতীয় মহাকাশ দিবস' হিসেবে পালনের সুপারিশ করেছে।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) প্রচেষ্টার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রিসভা বলেছে, ধন্যবাদ আমাদের বিজ্ঞানীদের। কারণ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম দেশ হচ্ছে ভারত। নির্ভুলভাবে চাঁদে অবতরণ নিশ্চয়ই স্মরণীয় অর্জন।
আরও পড়ুন: চাঁদে ভারতের চন্দ্রযানের সফল অবতরণ উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদিকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
এতে আশা প্রকাশ করা হয়, চাঁদ থেকে 'প্রজ্ঞান' রোভারের পাঠানো তথ্যভাণ্ডার জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং চাঁদ ও এর বাইরের রহস্য সম্পর্কে যুগান্তকারী আবিষ্কার ও চিন্তাভাবনার ক্ষেত্র প্রশস্ত করবে।
ভারতীয় মন্ত্রিসভা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, দ্রুত প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও উদ্ভাবনের অন্বেষণের যুগে ভারতের বিজ্ঞানীরা জ্ঞান, নিষ্ঠা ও দক্ষতার উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হিসেবে দাঁড়িয়ে আছেন।
চন্দ্রযান-৩ ও সাধারণভাবে ভারতের মহাকাশ কর্মসূচির সাফল্যে বিপুল সংখ্যক নারী বিজ্ঞানীদের অবদানে মন্ত্রিসভা গর্বিত। যা আগামী বছরগুলোতে নারী বিজ্ঞানীদের অনুপ্রাণিত করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তার দূরদর্শী ও অনুকরণীয় নেতৃত্ব এবং মানব কল্যাণ ও বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির জন্য ভারতের মহাকাশ কর্মসূচির প্রতি তার অবিচল অঙ্গীকারের জন্য অভিনন্দন জানানো হয়। বিজ্ঞানীদের সামর্থ্যের প্রতি তার বিশ্বাস এবং ক্রমাগত উৎসাহ সবসময় তাদের আত্মবিশ্বাসকে শক্তিশালী করেছে।
আরও পড়ুন: আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল চন্দ্রযান-৩: ইসরো