জেনেভায় সোমবার সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, প্রথমবারের মতো এক বছরে রেকর্ড কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা পার করেছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪৩ হাজার ৯৪৩ জন।
আরও পড়ুন: ন্যায্যভাবে টিকাদান ‘জীবন বাঁচায়, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা স্থিতিশীল করে’: ডব্লিউএইচও প্রধান
ন্যায়সঙ্গত টিকাদানের জন্য ইতিহাসের সর্ববৃহৎ সংহতি তৈরি করতে সরকার, প্রস্তুতকারক, নাগরিক সমাজ, ধর্মীয় এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের একত্রিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে টেড্রস সিনোভ্যাক ও সিনোফার্মা ভ্যাকসিনের সম্ভাব্য জরুরি ব্যবহারের সম্মতি দেয়ার আগে ডব্লিউএইচও দল চীনে গিয়ে পৌঁছেছে বলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
এটি ডব্লিউএইচওর মিশনের অন্য আলাদা একটি দল, গত সপ্তাহ পর্যন্ত যারা মহামারি কীভাবে শুরু হয়েছিল তা অধ্যয়নের জন্য উহানে যেতে পারেনি। টেড্রসকে উদ্ধৃত করে ইউএনবি নিউজ বলছে, ‘চীনের সহকর্মীদের সহযোগিতায় ১০টি প্রতিষ্ঠান ও দেশের বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক এ দলটি যাত্রা শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যে করোনা এখনও উদ্বেগের বিষয়: ডব্লিউএইচও
তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকের সংক্রমণের সম্ভাব্য উত্স শনাক্ত করতে উহানে অধ্যয়ন শুরু হবে। বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এ হাইপোথিসিসকে প্রভাবিত করবে, যা পরে আরও দীর্ঘমেয়াদী অধ্যয়নের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
নতুন ধরণ
ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, গত সপ্তাহান্তে জাপানে ভাইরাসের আরও একটি নতুন রূপ বা রূপান্তর দেখা গেছে, যার সক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এ রুপগুলোর সংক্রামকতা বাড়ার ঘটনা, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর কারণগুলো দেখে রোগ অতটা তীব্র নয় বলে কিছুটা আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিনিয়োগ করলে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে: ডব্লিউএইচও
অপেক্ষমাণ নতুন চিকিত্সা উদ্ভাবনের ফলে আমরা আশাবাদী যে কোভিডের কারণে গুরুতর আক্রান্তদের মধ্যে থেকে আরও অনেকের জীবন বাঁচানো যেতে পারে। তবে আমাদের জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় প্রাথমিক বিষয়গুলো আগের চেয়ে বেশি মেনে চলতে হবে।
সিকোয়েন্সিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
টেড্রস বলেন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যথাযথভাবে ভাইরাসটির ডিএনএ এবং এর ধারাবাহিকতা নির্বাচন করা জরুরি। যাতে আমরা জানতে পারি এটি কীভাবে পরিবর্তন হচ্ছে এবং একে কীভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। মিউটেশনগুলো সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য রোগ নির্ণয় এবং ভ্যাকসিন উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার হতে পারে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকে একসাথে মহামারি মোকাবিলার আহ্বান ডব্লিউএইচও প্রধানের
প্রতিটি দেশকে ভাইরাসটির সিকোয়েন্সিং, চলমান নজরদারি, পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা ও উন্নয়ন কমিটির মঙ্গলবার একটি মূল বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনার আশা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীদের অংশগ্রহণে হতে যাওয়া এ বৈঠকে সামনের বছরে ভাইরাসটির বিভিন্ন ধরণ এবং সিকোয়েন্সিংসহ বিশ্বব্যাপী গবেষণাকে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা হবে।