ওমানে ভারী বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে। এ ছাড়া এখনো নিখোঁজ রয়েছে অনেকে। এর মধ্যেই ঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।
অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারী বৃষ্টিপাতে প্রধান মহাসড়কের কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। দুবাইয়ে অনেক রাস্তায় যানবাহন পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে।
সারারাত ধরে চলা বৃষ্টিতে সড়কগুলোতে পানি জমে জলাশয়ের মতো তৈরি হয়েছে। এছাড়া বাতাসের কারণে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা ব্যাহত হয়েছে।
আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সকালেও আলোস্বল্পতার কারণে হেড জ্বালিয়ে গাড়িগুলো চলাচল করছিল। এছাড়া রাস্তায় পানি জমে থাকায় গাড়ি ধীরে ধরে চলছিল। মাঝে মাঝে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফার চূড়া ছুঁয়ে যাচ্ছিল বজ্রপাত।
ঝড়ের আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। অধিকাংশ সরকারি কর্মচারীরা বাসা থেকে কাজ করছিলেন। তবে এ দুর্যোগের মধ্যেও অনেক কর্মজীবী বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন আর বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়া রাস্তায় তাদের গাড়ি আটকে যায়।
রাস্তা ও মহাসড়কগুলো থেকে পাম্প দিয়ে পানি সরিয়ে নিতে ট্যাংকার ট্রাক পাঠায় কর্তৃপক্ষ।
আরব উপদ্বীপের শুষ্ক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৃষ্টিপাত অস্বাভাবিক, তবে শীতকালে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি দেখা যায়। নিয়মিত বৃষ্টিপাতের দেশ না হওয়ায় অনেক রাস্তাঘাট ও এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। সেকারণেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার সকালে দুবাইয়ে ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দিন ধরে ১২৮ মিমি (৫ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও বাহরাইন, কাতার ও সৌদি আরবেও বৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে আরব উপদ্বীপের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত ওমানে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মঙ্গলবার দেশটির জরুরি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক জাতীয় কমিটির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও প্রায় ১০ জন স্কুলছাত্রসহ একটি গাড়ি ভেসে গিয়েছে। এ দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে অঞ্চলটির প্রশাসন।