আরব নিউজ জানিয়েছে, আব্দুল্লাহ আহমেদ আব্দুল্লাহ নামে আল কায়েদার ওই শীর্ষ নেতা ১৯৯৮ সালে আফ্রিকায় অবস্থিত দুটি মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত ছিল।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আবু মুহাম্মাদ আল-মাসরি নামেও পরিচিত ওই জঙ্গি নেতাকে গত ৭ আগস্ট তেহরানের রাস্তায় দুজন মোটরসাইকেল আরোহী গুলি করে হত্যা করে।
নিহত আল-মাসরিকে আল কায়েদার বর্তমান নেতা আয়মান আল-জাওয়াহরির উত্তরসূরী বলে মনে করা হতো।
তবে টাইমস জানিয়েছে, মিশরীয় বংশোদ্ভূত এই জঙ্গিকে হত্যার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এখনও স্পষ্ট নয়।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ধরে ইরানে মাসরি ও আল-কায়েদার অন্যান্য কর্মীদের সন্ধান করে আসছিল।
টাইমস আরও জানায়, আল কায়েদা এখনও আব্দুল্লাহর মৃত্যুর ঘোষণা দেয়নি। এছাড়া ইরানি কর্মকর্তারাও এটি প্রকাশ করেননি এবং কোনো সরকার প্রকাশ্যে দায় স্বীকার করেনি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আল-কায়েদার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নেতা মাসরির সাথে তার মেয়েকেও হত্যা করা হয়েছে, যিনি এই জঙ্গি সংগঠনটির সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেনের বিধবা স্ত্রী।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালান ওসামা বিন লাদেন। এরপর ২০১১ সালে পাকিস্তানে মার্কিন অভিযানে নিহত হন তিনি।
টাইমস নাম প্রকাশ না করে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাতে জানায়, ২০০৩ সাল থেকে মাসরি ইরানের ‘হেফাজতে’ ছিলেন এবং ২০১৫ সাল থেকে তেহরানের একটি শহরে বসবাস করছিলেন।
এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র সরকার।