ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের একটি ভিলায় অভিযান চালিয়ে ১০৩ জন তাইওয়ানের নাগরিককে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২৮ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে আইন ও মানবাধিকার মন্ত্রণালয়ের অভিবাসন তদারকি ও প্রয়োগ বিভাগের পরিচালক সফর মুহাম্মদ গোদাম সাংবাদিকদের বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ভিসা ও বসবাসের পারমিটের অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তারা সম্ভাব্য সাইবার অপরাধে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ আটকদের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ পরিচালনার অভিযোগ আনতে পারবে না বলে জানান গোদাম।
তিনি বলেন, 'পরিদর্শনের সময় আমরা জানতে পারি যে তারা মালয়েশিয়ায় লোকজনকে টার্গেট করছে। তারা ইন্দোনেশিয়ায় তাদের কার্যক্রম করেছে কিন্তু ভুক্তভোগীরা অন্য দেশে রয়েছে, তাই অপরাধের প্রমাণ পাওয়া কঠিন।’
শিগগিরই আটক ১০৩ জনকে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত বুধবার তাবানান জেলার কুকুহ গ্রামের একটি ভিলায় অভিযান চালিয়ে ৯১ জন পুরুষ ও ১২ জন নারীকে আটক করে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। এ সময় কম্পিউটার ও মুঠোফোনও জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক সিলমি করিম বলেন, ‘তাদের কাছে কাগজপত্র না থাকা এবং অভিবাসন পারমিটের অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পাওয়া কম্পিউটার ও সেলফোনের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে সাইবার অপরাধের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
কর্মকর্তারা জানান, তাদের সবাইকে বালির দেনপাসারের একটি ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক কোনো সিন্ডিকেটের সঙ্গে এই গোষ্ঠীর সম্পর্ক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার অভিবাসন মহাপরিচালক বালিতে বিদেশি নাগরিকদের ওপর নজরদারি করতে আরেকটি যৌথ অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে। বিদেশিরা দ্বীপে নিয়ম মেনে অবস্থান করছে কি না তা নিশ্চিত করতে এবং শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে এই অভিযান চালানো হবে।