তাইওয়ান
ইন্দোনেশিয়ায় সাইবার অপরাধে জড়িত সন্দেহে ১০৩ তাইওয়ানি আটক
ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের একটি ভিলায় অভিযান চালিয়ে ১০৩ জন তাইওয়ানের নাগরিককে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২৮ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে আইন ও মানবাধিকার মন্ত্রণালয়ের অভিবাসন তদারকি ও প্রয়োগ বিভাগের পরিচালক সফর মুহাম্মদ গোদাম সাংবাদিকদের বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ভিসা ও বসবাসের পারমিটের অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তারা সম্ভাব্য সাইবার অপরাধে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ আটকদের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ পরিচালনার অভিযোগ আনতে পারবে না বলে জানান গোদাম।
তিনি বলেন, 'পরিদর্শনের সময় আমরা জানতে পারি যে তারা মালয়েশিয়ায় লোকজনকে টার্গেট করছে। তারা ইন্দোনেশিয়ায় তাদের কার্যক্রম করেছে কিন্তু ভুক্তভোগীরা অন্য দেশে রয়েছে, তাই অপরাধের প্রমাণ পাওয়া কঠিন।’
শিগগিরই আটক ১০৩ জনকে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত বুধবার তাবানান জেলার কুকুহ গ্রামের একটি ভিলায় অভিযান চালিয়ে ৯১ জন পুরুষ ও ১২ জন নারীকে আটক করে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। এ সময় কম্পিউটার ও মুঠোফোনও জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক সিলমি করিম বলেন, ‘তাদের কাছে কাগজপত্র না থাকা এবং অভিবাসন পারমিটের অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পাওয়া কম্পিউটার ও সেলফোনের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে সাইবার অপরাধের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
কর্মকর্তারা জানান, তাদের সবাইকে বালির দেনপাসারের একটি ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক কোনো সিন্ডিকেটের সঙ্গে এই গোষ্ঠীর সম্পর্ক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার অভিবাসন মহাপরিচালক বালিতে বিদেশি নাগরিকদের ওপর নজরদারি করতে আরেকটি যৌথ অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে। বিদেশিরা দ্বীপে নিয়ম মেনে অবস্থান করছে কি না তা নিশ্চিত করতে এবং শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে এই অভিযান চালানো হবে।
৫ মাস আগে
চীনের আপত্তির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান বাণিজ্য চুক্তি সই
চীনের আপত্তির মধ্যেই বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি সই করেছে।
দুই দেশের সরকার জানায়, ২১ শতকের বাণিজ্যে মার্কিন-তাইওয়ানের উদ্যোগ শুল্ক, বিনিয়োগ এবং অন্যান্য নিয়মনীতির উন্নতির মাধ্যমে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে।
উচ্চ-প্রযুক্তি শিল্পের কেন্দ্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখে এমন বেসরকারি সংস্থার কর্মচারীরা এই চুক্তি সই করে। এ দুই দেশের মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, তবে তাদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে।
ডেপুটি ইউএসটিআর সারাহ বিয়াঞ্চি চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ককে শক্তিশালী ও গভীর করার উদ্দেশ্যে এই চুক্তি করা হয়েছে।’
চীন সরকার ওয়াশিংটনকে তাইওয়ান বিষয়ক চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে এবং মার্কিন সরকারকে তাইওয়ানের নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানের পর দ. কোরিয়া গেলেন পেলোসি
১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের পর তাইওয়ান ও চীন বিভক্ত হয়। দ্বীপটি কখনই গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের অংশ ছিল না, তবে মূল ভূখণ্ডের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির দাবি, প্রয়োজনে জোর করে চীনের সঙ্গে একত্রিত হতে বাধ্য।
চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের সরকার দ্বীপের কাছে যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমান উড়িয়ে তাইওয়ানকে ভয় দেখানোর প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
আমেরিকান ও ইউরোপীয় রাজনীতিবিদরা তাইওয়ানের নির্বাচিত সরকারের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের জন্য সফর করেছেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের তাইওয়ানের সঙ্গে যেকোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক বিনিময় বন্ধ করা উচিত’ এবং ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে ভুল সংকেত পাঠানো থেকে বিরত থাকা উচিত।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানকে কখনো ছুড়ে ফেলবে না যুক্তরাষ্ট্র: পেলোসি
চীনের হুমকির মধ্যেই তাইওয়ান পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকার
১ বছর আগে
তাইওয়ানে আগ্রাসনের ক্ষমতা নিয়ে চীনের কিছুটা সন্দেহ আছে: সিআইএ প্রধান
সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নস বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য দেখায় যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার দেশের সামরিক বাহিনীকে তাইওয়ান আক্রমণ করার জন্য ‘২০২৭ সালের মধ্যে প্রস্তুত’ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বর্তমানে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের অভিজ্ঞতার কারণে তা করার ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করছেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মতৈক্য ছাড়াই ভারতে জি-২০ বৈঠক শেষ
রবিবার প্রচারিত একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বার্নস জোর দিয়েছিলেন যে সামরিক সংঘাত অনিবার্য না হলেও চূড়ান্তভাবে তাইওয়ানকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য শির ইচ্ছাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘খুব গুরুত্ব সহকারে’ নিতে হবে।
বার্নস সিবিএস-এর ‘ফেস দ্য নেশনকে বলেছেন, ‘আমরা যেমনটি জানি জনসমক্ষে প্রেসিডেন্ট শি পিএলএ চীনা সামরিক নেতৃত্বকে ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ানে আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে তিনি ২০২৭ বা অন্য কোনো বছরে আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের রায় অন্ততপক্ষে প্রেসিডেন্ট শি এবং তার সামরিক নেতৃত্বের মনে সন্দেহ আছে যে তারা সেই আক্রমণটি সম্পন্ন করতে পারবে কিনা।’
তাইওয়ান এবং চীন ১৯৪৯ সালে একটি গৃহযুদ্ধের পরে বিভক্ত হয়েছিল। যা মূল ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণে কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে শেষ হয়েছিল। স্ব-শাসিত দ্বীপটি একটি সার্বভৌম জাতির মতো কাজ করে এখনো জাতিসংঘ বা কোনো বড় দেশ দ্বারা স্বীকৃত নয়। ১৯৭৯ সালে প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার আনুষ্ঠানিকভাবে বেইজিং সরকারকে স্বীকৃতি দেন এবং তাইওয়ানের সঙ্গে দেশ-দেশের সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
প্রতিক্রিয়া হিসাবে, কংগ্রেস তাইওয়ান সম্পর্ক আইন পাস করে অব্যাহত সম্পর্কের জন্য একটি মানদণ্ড তৈরি করে।
তাইওয়ান বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান শক্তি প্রদর্শনের মুখে দ্বীপের গণতন্ত্রের জন্য মার্কিন কর্মকর্তাদের অসংখ্য সমর্থন পেয়েছে, যা তাইওয়ানকে তার অঞ্চলের গণতন্ত্রের অংশ বলে দাবি করে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, চীন আক্রমণ করার চেষ্টা করলে আমেরিকান বাহিনী তাইওয়ানকে রক্ষা করবে। হোয়াইট হাউস বলেছে যে ওয়াশিংটন তাইওয়ানের বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে চায় তা স্পষ্ট করে মার্কিন নীতি পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে চীনা হামলার জবাবে মার্কিন বাহিনী পাঠানো হতে পারে কিনা তা খোলাসা করা হয়নি।
রবিবারের সাক্ষাৎকারে বার্নস বলেছিলেন যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সেই দেশে আক্রমণের পরে ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় মিত্রদের সমর্থন আপাতত চীনা কর্মকর্তাদের জন্য একটি সম্ভাব্য প্রতিবন্ধক হিসাবে কাজ করতে পারে। তবে তাইওয়ানের উপর সম্ভাব্য শক্তিশালী আক্রমণের ঝুঁকি কেবল বাড়বে।
বার্নস বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, যেহেতু তারা ইউক্রেনে পুতিনের অভিজ্ঞতা দেখেছে, এটি সম্ভবত এই সন্দেহগুলোর কিছুটা শক্তিশালী করেছে।’ ‘সুতরাং, আমি শুধু বলবো যে আমি মনে করি, শক্তির একটি সম্ভাব্য ব্যবহারের ঝুঁকি সম্ভবত এই দশকে এবং এর পরেও পরবর্তী দশকে আরও বাড়বে।
তিনি বলেছিলেন, ‘সুতরাং এটি স্পষ্টতই এমন কিছু, যা আমরা খুব, খুব সাবধানে দেখি।’
আরও পড়ুন: ইতালীয় উপকূলে অভিবাসী নৌকা বিধ্বস্তে নিহত ৬০
যুক্তরাষ্ট্রে মেডিকেল ফ্লাইট বিধ্বস্ত, রোগীসহ নিহত ৫
১ বছর আগে
তাইওয়ান সমস্যার সমাধান চীনাদেরই করতে হবে: ২০তম সিপিসি সম্মেলনে শি জিনপিং
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রবিবার বলেছেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) নতুন যুগে তাইওয়ান সমস্যার সমাধানের জন্য এর সামগ্রিক নীতি বাস্তবায়ন করবে এবং জাতীয় পুনর্মিলনের কারণকে অবিচলভাবে এগিয়ে নেবে।
সিপিসি ২০তম জাতীয় কংগ্রেসের উদ্বোধনী অধিবেশনে শি জিনপিং বলেন, ‘তাইওয়ান সমস্যার সমাধান চীনাদেরই একটি বিষয়, আর বিষয়টি চীনাদেরই সমাধান করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। কিন্তু আমরা ক্ষমতা প্রয়োগ পরিত্যাগ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না এবং প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার আমাদের আছে। এটি শুধুমাত্র বহিরাগত শক্তি ও 'তাইওয়ানের স্বাধীনতা' চাওয়া কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের হস্তক্ষেপের জন্য নির্দেশিত। এটা কোনোভাবেই আমাদের তাইওয়ানের দেশবাসীকে লক্ষ্য করে নয়।’
জিনপিং বলেন, ইতিহাসের চাকা চীনের পুনর্মিলন এবং চীনা জাতির পুনরুজ্জীবনের দিকে ঘুরছে। আমাদের দেশের সম্পূর্ণ পুনর্মিলন অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে এবং এটি নিঃসন্দেহে বাস্তবায়িত হতে পারে!
আরও পড়ুন: চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলন শুরু: শি জিনপিং ৩য় মেয়াদেও দায়িত্ব পাচ্ছেন
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবসময় আমাদের তাইওয়ানের স্বদেশীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও যত্ন দেখিয়েছি এবং তাদের সুবিধা দেয়ার জন্য কাজ করেছি। আমরা তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং সহযোগিতার প্রচার চালিয়ে যাব।’
প্রেসিডেন্ট শি বলেন, ‘আমরা এই প্রণালীর উভয় তীরের জনগণকে চীনা সংস্কৃতি প্রচার করতে ও ঘনিষ্ঠ বন্ধন তৈরি করতে একসঙ্গে কাজ করার জন্য উৎসাহিত করব।’
আরও পড়ুন: চীনের হুমকির মধ্যেই তাইওয়ান পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকার
তাইওয়ানকে কখনো ছুড়ে ফেলবে না যুক্তরাষ্ট্র: পেলোসি
২ বছর আগে
চীনের সামরিক মহড়ার জেরে তাইওয়ানের বিমানের ফ্লাইট বাতিল
মার্কিন আইনপ্রণেতা ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পাল্টা জবাবে চীনের মিসাইল নিক্ষেপের প্রভাবে তাইওয়ান এয়ারলাইনস বৃহস্পতিবার তাদের একাধিক ফ্লাইট বাতিল করেছে।
হংকংয়ের সংবাদপত্র দ্য সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এই মহড়াকে ‘কার্যকর তাইওয়ান অবরোধ’ বলে অভিহিত করেছে।
মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি মঙ্গলবার চীনের সতর্কতাকে অস্বীকার করে একদিনের সফরে আসার পরে বেইজিং ‘লাইভ-ফায়ার অনুশীলন’ ঘোষণা করেছে। এছাড়াও দেশটি মাছ, ফল ও কুকিজসহ তাইওয়ানের কয়েকশ’ ধরনের খাদ্য সামগ্রী আমদানি নিষিদ্ধ করেছে।
গৃহযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে বিভক্ত হওয়ার পর থেকে দুই পক্ষের (চীন ও তাইওয়ান) কোনো আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক নেই; তবে এই দুই পক্ষের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত প্রযুক্তি ও উৎপাদন সম্পর্ক রয়েছে।
চায়না টাইমস পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার তাইওয়ানে যাতায়াতকারী কমপক্ষে ৪০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
খবরে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেইয়ের তাওয়ুয়ান বিমানবন্দরকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘তার মানে এই নয় যে’ সবগুলো ফ্লাইট সামরিক মহড়ার জন্যই বাতিল করা হয়েছে।
তবে, বিশ্ব অর্থনীতিতে বড়সড় ধাক্কা দেয়ার মতো সম্ভাব্য কোনো প্রভাবের ইঙ্গিত এখনও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানের পর দ. কোরিয়া গেলেন পেলোসি
তাইওয়ান বিশ্বের স্মার্টফোন, অটো, ট্যাবলেট কম্পিউটার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক্সে ব্যবহৃত অর্ধেকেরও বেশি প্রসেসর চিপ তৈরি করে।
এসএন্ডপি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স-এর রাজীব বিশ্বাস একটি ই-মেইলে বলেছেন, যে কোনও বড় আঘাত ‘বিশ্বব্যাপী শিল্পে শকওয়েভ তৈরি করবে।’
তাইওয়ানের পরিবহনমন্ত্রী ওয়াং কো-সাই বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কিছু ফ্লাইট হংকং দিয়ে যাতায়াত করবে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সরকার তাইওয়ানের ওপর চাপপ্রয়োগ এবং দেশটির সরকারকে ক্রমাগত ভয় দেখানোর জন্য দ্বীপদেশটির চারপাশে ফাইটার প্লেন ও বোমারু বিমান মোতায়েন রাখে।
এরপরেও দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা ক্রমবর্ধমান। গত বছর দ্বিমুখী বাণিজ্য ২৬ শতাংশ বেড়ে ৩২৮ দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
তাইওয়ান বলেছে, গত বছরে চীনা কারখানাগুলোতে চিপ বিক্রি ২৪ দশমিক চার শতাংশ বেড়ে ১০৪ দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাইওয়ান ছাড়লেন ন্যান্সি পেলোসি
তাইওয়ানকে কখনো ছুড়ে ফেলবে না যুক্তরাষ্ট্র: পেলোসি
২ বছর আগে
ঢাকার এক চীন নীতিকে স্বাগত জানাল বেইজিং
এক চীন নীতির প্রতি বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অঙ্গীকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছে চীন এবং ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার’ দৃঢ় বিরোধিতা করেছে দেশটি। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এসব কথা বলেছেন।
লি জিমিং বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ এক চীন নীতি মেনে চলবে এবং তাইওয়ান প্রশ্নে চীনের বৈধ ও ন্যায্য অবস্থান বুঝবে ও সমর্থন করবে।’
মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, চীন ও বাংলাদেশ ভালো প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানের পর দ. কোরিয়া গেলেন পেলোসি
রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশ সর্বদা নিজ নিজ সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা সংক্রান্ত মূল স্বার্থের বিষয়ে একে অপরকে বুঝেছে ও সমর্থন করেছে।
তিনি বলেন, ২ আগস্ট চীনের তীব্র বিরোধিতা ও আপত্তি উপেক্ষা করে স্পিকার পেলোসি চীনের তাইওয়ান অঞ্চল সফর করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি এক চীন নীতি ও চীন-যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি যৌথ ইশতেহারের বিধানের গুরুতর লঙ্ঘন।’
এটি চীনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করে, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ এর জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে ভুল বার্তা দেয় এবং চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুন: তাইওয়ান ছাড়লেন ন্যান্সি পেলোসি
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন দৃঢ়ভাবে এর বিরোধিতা করে এবং এর তীব্র নিন্দা করে।’
লি বলেন, বিশ্বে কেবল একটি চীন আছে। তাইওয়ান চীনা ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সরকারই সমগ্র চীনের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র বৈধ সরকার।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির চীনের তাইওয়ান অঞ্চলে সফর শুধু তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং এই অঞ্চলে উত্তেজনা ও সংঘাতের সৃষ্টি করে এবং ইতোমধ্যে সমস্যায় জর্জরিত বিশ্বে আরও অনিশ্চয়তা নিয়ে এসেছে।’
২ বছর আগে
তাইওয়ান ছাড়লেন ন্যান্সি পেলোসি
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি দেশটি ত্যাগ করেছেন। পেলোসির এই সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে।
পেলোসি ও কংগ্রেসের অন্য পাঁচ সদস্য পরবর্তী যাত্রা বিরতি-স্থল দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে রওনা হয়েছেন। তিনি এই এশিয়া সফরে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও জাপানেও যাবেন।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানকে কখনো ছুড়ে ফেলবে না যুক্তরাষ্ট্র: পেলোসি
তাইওয়ানে পেলোসি বলেন, স্ব-শাসিত দ্বীপ দেশটির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করছে প্রতিনিধি দল। তবে চীনের দাবি তাইওয়ানকে তাদের নিয়ন্ত্রণে আসতে হবে।
তাইওয়ানে পেলোসির আগমনের পর সামরিক মহড়া দিয়েছে চীন এবং তার এই সফর তাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনে উসকানি বলে অভিহিত করেছে চীন।
২ বছর আগে
তাইওয়ানকে ২৫ লাখ টিকা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাইওয়ানে মডার্নার ২৫ লাখ করোনা টিকা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র । জনস্বাস্থ্য ও ভূ-রাজনৈতিক অনুদানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এই টিকা পাঠাচ্ছে।
রবিবার বিকালে বিমানযোগে চালানটি পৌঁছার কথা আছে বলে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছেন।
তাইওয়ানের আমেরিকান ইনস্টিটিউট তাদের ফেসবুক পেজে লিখেছে, "অনুদানটি বিশ্বস্ত বন্ধু এবং গণতন্ত্রের আন্তর্জাতিক পরিবারের সদস্য হিসাবে তাইওয়ানের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।"
আরও পড়ুন: দেশে আন্তর্জাতিক মানের ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট তৈরি করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
তাইওয়ান মে মাস থেকে নতুন করে করোনার তীব্র সংক্রমণের কারণে করোনা টিকা সংকটে ভুগছিল। এ সংকট থেকে উত্তরণে টিকার আবেদন জানিয়েছিল। দেশটি সরাসরি মডার্নার কাছ থেকে ৫০ লাখ করোনার টিকার অবেদন করেছিল। তবে শুক্রবারে পৌঁছে যাওয়া দ্বিতীয় চালানসহ এ পর্যন্ত কেবলমাত্র ৩ লাখ ৯০ হাজার টিকা পেয়েছে দেশটি।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশে ফের মেডিকেল সরঞ্জাম পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
চীন থেকে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে মার্কিন অনুদান তাইওয়ানের পক্ষে তাদের সমর্থনকে ইঙ্গিত দেয়। তাইওয়ান পূর্ব উপকূলের স্ব-শাসিত দ্বীপটিকে তার অঞ্চল হিসেবে দাবি করে। তাইওয়ানের সাথে আমেরিকার আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: ফাইজারের টিকা নিবন্ধিত ব্যক্তিরা সিরিয়াল অনুযায়ী পাবেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র এই মাসের শুরুর দিকে তাইওয়ানের জন্য ৭ লাখ ৫০ হাজার টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
৩ বছর আগে
তাইওয়ানে রেকর্ড সংখ্যক চীনা বিমানের অনুপ্রবেশ
তাইওয়ানের আকাশসীমায় ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক চীনের যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে তাইওয়ান সরকার।
বুধবার তাইওয়ান সরকার এমন তথ্য জানায়।
তাইওয়ান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার চীনের ২৮টি উড়োজাহাজ তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স আইডেনটিফিকেশন জোনে প্রবেশ করে।
তাইওয়ানে এমন সময়ে এই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটলো, যেখানে গত রবিবার শিল্পোন্নত শীর্ষ সাত দেশের জোট জি-৭ চীনের সমালোচনা করে চলতি সপ্তাহে সম্মেলন শেষে বিবৃতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাইডেন-পুতিনের প্রথম ফোনালাপ: কী কথা হলো তাদের মধ্যে?
তারা বলেছে, তাইওয়ান প্রণালির শান্তি ও স্থিতিশীলতা উপেক্ষা করছে চীন। যদিও চীন জি-৭ এর এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে জি-৭ এর বক্তব্যের সাথে সামরিক তৎপরতা সম্পর্কিত কিনা তা জিজ্ঞেস করা হলে চীনের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তরের মুখপাত্র, মা জিয়াওগাং বলেন, বেইজিং বিশ্বাস করে যে দ্বীপটির সরকার আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা পেতে অন্যান্য দেশে সাথে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: গাজায় এপিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলা
মা বলেন, ‘আমরা বিদেশী বাহিনী দ্বারা তাইওয়ান ইস্যুতে স্বাধীনতা বা হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টা কখনই সহ্য করবো না, সুতরাং আমাদের এই আচরণের বিষয়ে দৃঢ় প্রতিক্রিয়া দেখানো দরকার।’
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছর থেকে নিজেদের আকাশসীমায় চীনের অনুপ্রবেশের বিষয়টি নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন দিয়ে আসছে স্বশাসিত তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এই প্রতিবেদন দেওয়ার শুরুর পর থেকে এটাই সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের ঘটনা। এই বিষয়ে চীন এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম ব্যবহার করে হামাসকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা ইসরায়েলের
সম্প্রতি কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে চীনের যুদ্ধবিমান।
মঙ্গলবার চীনের যেসব যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের সীমান্তে প্রবেশ করেছে, তার মধ্যে রয়েছে জে-১৬, জে-১১ ও এইচ-৬ বোমারু বিমান।
এই যুদ্ধবিমানগুলো পারমাণবিক অস্ত্র, সাবমেরিন বিধ্বংসী ও ইলেকট্রনিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এতগুলো যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় এর আগে কখনও প্রবেশ করেনি।
উল্লেখ্য, এর আগে চীনের সর্বোচ্চ ২৫টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল গত বছরের ১২ এপ্রিল।
৩ বছর আগে