ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান ও কট্টরপন্থী প্রার্থী সাঈদ জালিলি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ভাহিদি।
শুক্রবার (৫ জুলাই) দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার (রানঅফ) ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভাহিদি ইরানিদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সারা দেশে মোট ৫৮ হাজার ৬৩৮টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় আজ সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। প্রয়োজনে সময় বাড়াতে পারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রানঅফের ভোট গ্রহণ শেষে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থীই হবেন ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর পরপরই ইরানের রাজধানী তেহরানের একটি ভ্রাম্যমাণ ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি।
ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আজ একটি ভালো দিন। আমাদের প্রিয় জনগণের উপস্থিতি, অংশগ্রহণ ও নির্বাচনে সক্রিয় হওয়ার দিন। এটি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা।’
২৮ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রথম দফায় চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে কেউই প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি। এর ফলে দেশকে রানঅফে যেতে হয়েছে। ইরানের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী পেজেশকিয়ান পেয়েছেন ৪২ শতাংশের বেশি ভোট এবং তেহরান ও বিশ্বশক্তিগুলোর মধ্যে পরমাণু আলোচনায় সাবেক প্রধান আলোচক জালিলি পেয়েছেন ৩৮ শতাংশের বেশি ভোট।
ভোট দেওয়ার যোগ্য ৬ কোটি ১০ লাখের বেশি মানুষের মধ্যে ২ কোটি ৪০ লাখের (৪০ শতাংশ) বেশি প্রথম দফার ভোটে অংশ নেন।
ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রাথমিকভাবে ২০২৫ সালের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু গত ১৯ মে উত্তর-পশ্চিম ইরানে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাইসির মৃত্যুতে যেভাবে অস্থির হয়ে উঠতে পারে ইরানের ভবিষ্যৎ