ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হরমোজগানের একটি বন্দরে শনিবার সকালে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ৭৫০ জন।
দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ এই তথ্য জানিয়েছে।
বন্দর আব্বাসে চীনের কনস্যুলেট জেনারেলের মতে, বিস্ফোরণে তিনজন চীনা নাগরিক সামান্য আহত হয়েছেন। চিকিৎসার পর তারা এখন সুস্থ আছেন।
বিস্ফোরণ ও সৃষ্ট বায়ু দূষণের কারণে রবিবার শহরের সমস্ত শিক্ষা কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাদেশিক রাজধানী বন্দর আব্বাসের গভর্নর আহমেদ পুয়াফার।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: মধ্যস্থতায় এগিয়ে এলো সৌদি-ইরান
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন জাফরি, আধা-সরকারি ফার্স সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, বন্দরের একটি কন্টেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্ত শেষ করার আগে ঘটনার কারণ সম্পর্কে ‘তাড়াহুড়ো করে অনুমান’ না করতে সতর্ক করেছেন ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত যা নিশ্চিত হওয়া গেছে, তা হলো বন্দরের এক কোণে সম্ভবত রাসায়নিক পদার্থ ভর্তি কন্টেইনার ছিল।
আধা-সরকারি তাসনিম সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং উদ্ধারকারী দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং বন্দরের সমস্ত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। আহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বিস্ফোরণের তদন্তের পাশাপাশি ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আহতদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করাসহ প্রয়োজনীয় সমন্বয় করতে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এস্কান্দার মোমেনিকে প্রদেশে পাঠানো হয়েছে।
এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ইরাকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরানের সরকার এবং জনগণের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে ইরাক সরকার।
আরও পড়ুন: পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি বাদ দিতে হবে ইরানকে: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আল-সুদানির মিডিয়া অফিসের এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া' আল-সুদানী ইরাকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল আমির আল-শাম্মারিকে তার ইরানি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সমন্বয় করে ঘটনাটি মূল্যায়ন এবং তাৎক্ষণিক সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্র: বিভিন্ন এজেন্সি