লেবাননের স্বাস্থ্য ও উদ্ধার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর বালবেকে একটি সিভিল ডিফেন্স সেন্টারে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১২ জন লেবাননি উদ্ধারকর্মী নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে সিরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম জানায়, রাজধানী ও তার আশপাশে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
লেবাননের জরুরি উদ্ধারকর্মীরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া তাদের সহকর্মীদের খুঁজে বের করার জন্য তল্লাশি চালাচ্ছিলেন বলে ওই সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। এতে অন্তত তিনজন সিভিল ডিফেন্স সদস্য আহত হন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
লেবাননের সিভিল ডিফেন্স বাহিনী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এবং তারা বিশ্বের অন্যতম যুদ্ধবিধ্বস্ত এ দেশে গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধার ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একে ‘লেবাননের রাষ্ট্র-পরিচালিত একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বর্বরোচিত হামলা’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানায়। একই সঙ্গে ‘এটি দুই ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ইসরায়েলের দ্বিতীয় হামলা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে আরবসালিম গ্রামে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্পৃক্ত সিভিল ডিফেন্স ও উদ্ধার সংস্থা হেলথ অথরিটি অ্যাসোসিয়েশনকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলা করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এতে চারজন প্যারামেডিকসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন।
এর আগে দামাস্কাসের পশ্চিমাঞ্চলীয় মাজ্জেহ এলাকায় অন্তত দুইটি বিমান হামলা চালায় এবং সিরিয়ার রাজধানীর উপশহর কুদসাইয়ায় একটি হামলা চালায় ইসরায়েল।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানায়, এসব হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছেন।
মাজ্জেহ এলাকায় উপস্থিত অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে পাঁচতলা একটি ভবনের বেজমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ইসলামিক জিহাদ সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিভিন্ন অবকাঠামো ও কমান্ড সেন্টারে হামলা চালিয়েছে।
সিরিয়ায়, ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, মাজ্জেহ এলাকায় হামলাটি তাদের একটি অফিসকে লক্ষ্য করে চালানো হয়, যেখানে তাদের কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির উপদেষ্টা আলি লারিজানি সিরিয়ার রাজধানীতে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে মাজারে ইরানি দূতাবাসে বৈঠকের অপেক্ষায় ছিলেন। এসময় এসব বিমান হামলা করা হয়।