মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষা সেক্রেটারি লয়েড অস্টিন বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ধারণা করছে যে ইরানের প্রক্সি যোদ্ধাদের জড়িত হওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বিস্তৃত হবে। তারা জোর দেন যে যদি মার্কিন নাগরিক বা সামরিক বাহিনীকে শত্রু হিসেবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়, তাহলে প্রতিক্রিয়া জানাতে বাইডেন প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
রবিবার (২২ অক্টোবর) ইসরায়েল-হামাসের চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে মার্কিন শীর্ষ দুই কর্মকর্তা এই হুঁশিয়ারি দেন।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা যা চাই তা নয়, আমরা যা খুঁজছি তাও নয়। 'আমরা উত্তেজনা বাড়াতে চাই না।’ ‘আমরা চাই না আমাদের বাহিনী বা আমাদের কর্মীরা গোলাগুলির শিকার হোক। কিন্তু যদি তা হয়, আমরা তার জন্য প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েল ও হামাসের সংঘর্ষে ৯ মার্কিন নাগরিক নিহত: এনএসসি
ব্লিনকেনের সঙ্গে একমত পোষণ করে অস্টিন বলেন, 'আমরা যা দেখছি তা হলো পুরো অঞ্চল জুড়ে আমাদের সৈন্য ও জনগণের ওপর উল্লেখযোগ্য হারে হামলা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং ‘আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করব না।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পর ইসরায়েলের সামরিক প্রতিক্রিয়া তৃতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করার পর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার বিমানবন্দরে ইসরায়েলি হামলা ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’: জাতিসংঘের মুখপাত্র
ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো রাতে এবং রবিবার গাজা জুড়ে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে, পাশাপাশি সিরিয়ার দুটি বিমানবন্দর এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি মসজিদ হামাস যোদ্ধারা ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কারণ যুদ্ধটি মধ্যপ্রাচ্যের আরও কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল লেবাননের হিজবুল্লাহ সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই গুলি বিনিময় করে আসছে এবং ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে উত্তেজনা বাড়ছে। যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী শরণার্থী শিবিরে সশস্ত্র শত্রুদের সঙ্গে লড়াই করেছে এবং সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দুটি বিমান হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের জন্য বাইডেন প্রশাসনের ‘অন্ধ সমর্থন’র প্রতিবাদে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তার পদত্যাগ