এপি জানায়, এক সময় এ কাঠামোটি খ্রিস্টীয় বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্যাথেড্রাল থাকলেও পরে জাদুঘর এবং সর্বশেষ এটি মসজিদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ষষ্ঠ শতাব্দীর স্মৃতিসৌধের অভ্যন্তরে প্রায় ৫০০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ জুমার নামাজে অংশ নিয়েছেন।
তুরস্কের গণমাধ্যম জানায়, জুমা নামাজ আদায়ের জন্য রাত থেকেই হাজার হাজার মানুষ একটি পুলিশ চৌকি দিয়ে হায়া সোফিয়ায় আসতে শুরু করেন।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে গ্রিস এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থোডক্স চার্চের নেতারা উদ্বোধন প্রার্থনার দিনকে ‘শোকের দিন’ পালন করার কথা জানিয়েছেন।
এর আগে ১৯৩৪ সালে অটোম্যান সাম্রাজ্যের পতনের পর মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক স্বাক্ষরিত এক আদেশে ঐতিহাসিক এ স্থাপনাটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়। তবে এই মাসের শুরুতে তুরস্কের আদালত সেই আদেশ বাতিল ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে হায়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদ করার ঘোষণা দেয়। আদালতের আদেশের পরপরই ওই ভবনের নিয়ন্ত্রণ দেশের ধর্মীয় অধিদপ্তরের হাতে হস্তান্তর সংক্রান্ত আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে তালিকাভুক্ত এই কাঠামোর পরে নামকরণ করা হয়েছে ‘দ্য গ্র্যান্ড হায়া সোফিয়া মসজিদ।’
তবে এই পদক্ষেপ গ্রিস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং খ্রিস্টান চার্চদের মধ্যে হতাশার জন্ম দিয়েছে। তারা এরদোয়ানকে ইস্তাম্বুলের বহু-ধর্মীয় ঐতিহ্য এবং খ্রিস্টান ও মুসলিমদের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে এটিকে জাদুঘর রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এটা নিয়ে পোপ ফ্রান্সিসও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
গত সপ্তাহে এরদোয়ান বলেন, ‘হায়া সোফিয়া তার বন্দী শৃঙ্খলা থেকে মুক্তি পেয়েছে। এটি ছিল আমাদের যৌবনের সর্বশ্রেষ্ঠ স্বপ্ন। এটি ছিল আমাদের মানুষের আকুল আকাঙ্ক্ষা এবং এটি সম্পন্ন হয়েছে।’