মমতার বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দেশে বাসকারী সমস্ত ব্যক্তিই বৈধ নাগরিক, জাত ও ধর্মের ভিত্তিতে কখনোই নাগরিক তালিকা তৈরি হতে পারে না।’
প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের এক জনসভায় বিজেপি প্রধান অমিত শাহ বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে গোটা দেশের (ভারত) নাগরিকপঞ্জিকরণ হবে, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশ থেকে প্রতিটি অনুপ্রবেশকারীকে বহিষ্কার করা হবে।
মমতা বলেন, ‘আমরা এ রাজ্যে কখনোই নাগরিকপঞ্জিকরণের (এনআরসি) অনুমতি দেবো না। আপনি কখনোই বর্ণ ও ধর্মের ভিত্তিতে এনআরসি প্রয়োগ করতে পারেন না। এনআরসি আসলে বিজেপির রাজনৈতিক চাল। এটি কখনোই বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভব নয়।’
ওরা (বিজেপি) রাজনৈতিক ভাষণ দিতে ব্যস্ত, তবে আমাদের কিছুতেই ওদের ফাঁদে পড়লে চলবে না। এ দেশে বসবাসকারী সমস্ত মানুষই বৈধ নাগরিক এবং কেউ তাদের এ নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে পারে না,’ যোগ করেন তিনি।
বিজেপির কট্টোর সমালোচনাকারী মমতা ভাষ্য, এনআরসির প্রতি তার বিরোধিতা কেবল রাজনীতির জন্যে নয়, মানবিক কারণেও তিনি এর বিরোধিতা করছেন।
তিনি বলেন, ‘একজন ব্যক্তি যিনি গত কয়েক দশক ধরে এই দেশে বাস করছেন, আপনি কীভাবে তাকে হঠাৎ করে বিদেশি ঘোষণা করতে পারেন? এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্যান ইন্ডিয়া এনআরসি কখনই বাস্তবে রূপান্তরিত হবে না।’