মমতা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে মমতার অভিনন্দন
নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মমতা লিখেছেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশে যারা দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আমি আশা করি তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।’
আরও পড়ুন: সহিংসতা বন্ধে ড. ইউনূসের আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
তিনি লেখেন, ‘আমি বাংলাদেশের সর্বস্তরের সকল মানুষের উন্নয়ন, শান্তি, অগ্রগতি এবং মঙ্গল কামনা করি। ছাত্র, যুবক, শ্রমিক, কৃষক ও নারী থেকে শুরু করে সকলের প্রতি আমার অনেক অনেক শুভকামনা।’
মমতা আরও লেখেন, ‘আমি আশা করি এই সংকট শিগগিরই কেটে যাবে এবং শান্তি ফিরে আসবে। আপনার এবং আমার ভালবাসার এই পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আসুক। আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকব।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ায় ড. ইউনূসকে মোদির অভিনন্দন
৪ মাস আগে
শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ না পেয়ে মোদি সরকারের সমালোচনায় মমতা
ভারতে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ না পেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চটেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
বৃহস্পতিবার কলকাতা রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের এক সম্মেলনে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমি চমৎকার সম্পর্কের অংশীদার, অথচ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তার সফরের সময় আমাকে আমন্ত্রণ জানায়নি।’
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মমতাকে পাঠানো হলো ১ টন হাড়িভাঙ্গা আম
মমতা বলেন, ‘আমি দ্বিপক্ষীয় পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে বলতে চাই না। কিন্তু আমি জানতে পেরেছি যে অন্য কোন রাষ্ট্র কর্তৃক যাতে আমি আমন্ত্রিত না হই কেন্দ্রীয় সরকার সে চেষ্টাই করছে। আমি জানতে চাই কেন কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আমার দেখা করা নিয়ে বিচলিত।’
বৃহস্পতিবার দেশের রাজধানী থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরের রাজস্থানের খাজা মঈনুদ্দিন
পড়ুন: কলকাতায় মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
চিশতীর মাজার আজমীর শরীফ পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা চারদিনে ভারত সফর শেষ করেছেন।
তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরকালে মমতার সঙ্গে দেখা করতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের নৈশভোজে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মমতা আমার বোন। আমি চাইলেই তার সঙ্গে দেখা করতে পারি। সবসময় আমাদের ভালো সম্পর্ক আছে।’
আরও পড়ুন: ভাগ্নে অভিষেকেই আস্থা মমতার
২ বছর আগে
মায়ের মমতা নিয়ে দেশ পরিচালনা করলে জনগণ অবশ্যই সমর্থন করবে: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মায়ের মমতা নিয়ে দেশ পরিচালনা করলে অবশ্যই জনগণের সমর্থন পাওয়া যায়। জনগণ অবশ্যই সমর্থন করবে।
তিনি বলেন, ‘নারীরা শুধু নারী নয়, মা-ও। আপনারা যদি মাতৃস্নেহে দেশ পরিচালনা করেন, তাহলে জনগণ অবশ্যই আপনাদের সমর্থন করবে।’
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত দুবাই এক্সপো ২০২০-এর উইমেন প্যাভিলিয়নে আয়োজিত ‘উইমেনস ফিউচার ফর উইমেন’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের পাওয়ার প্যানেলে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দেশ পরিচালনায় জনগণের সমর্থন ও আস্থা অর্জন করেছেন এবং এটাই তার প্রধান শক্তি।
তিনি বলেন, ‘মানুষ বুঝতে পেরেছে যে আমি এখানে থাকলে, তারা অবশ্যই উপকৃত হবে।’
কিন্তু এই যাত্রা এতটা সহজ ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে তার বাবা, মা, তিন ভাই এবং দুই বোনের শ্বশুরসহ তার পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল এবং শুধুমাত্র সে এবং তার ছোট বোন এই হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তির যুগে নতুন প্রজন্মকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়া যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা স্মরণ করে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর তিনি যখন দেশে ফিরেছিলেন তখন তার পরিবারের খুনিরা এবং যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায় ছিল। সুতরাং, আমার যাত্রাটা খুব মসৃণ ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বারবার গুপ্তহত্যার চেষ্টা এবং অপপ্রচারের মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু আমি এগুলোকে পাত্তা দিইনি। আমি শুধু ভেবেছি আমাকে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি ও সরকার পরিচালনায় তাকে সহযোগিতা করার জন্য শেখ হাসিনা তার পুরুষ সহকর্মীদের প্রশংসা করে বলেন, আমি অবশ্যই তাদের প্রশংসা করি। তারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন।
নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংসদে এক অনন্য পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন স্পিকার, সংসদ নেতা, বিরোধীদলীয় নেতা ও সংসদ উপনেতা নারী।
তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর সামরিক স্বৈরশাসকরা প্রায় ২১ বছর দেশ শাসন করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন তিনি সরকার গঠন করেন তখন তিনি কোথাও নারীদের খুঁজে পাননি।
এরপর তিনি নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের জন্য কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যার মধ্যে স্নাতক স্তর পর্যন্ত বিনামূল্যে নারীদের শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং বিচার ও পুলিশ বিভাগের মতো অন্যান্য সেক্টরের উচ্চ পদে তাদের জন্য চাকরির সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা করা হয়।
সামরিক শাসনামলে নারীদের জায়গা কম ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি নারীদের জন্য সব খুলে দিয়েছি।
জাতির পিতাকে তার পরামর্শদাতা হিসাবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি তার কাছ থেকে দেশ ও দেশের সমস্যা সম্পর্কে জেনেছেন।
আরও পড়ুন: ৭ মার্চ উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমি তার কাছ থেকে দেশ এবং সমস্যা সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছি। আমার বাবা আমার পরামর্শদাতা ছিলেন- আমি আমার বাবার কাছ থেকে শিখেছি । শুধু তাই নয়, আমি (তার কাছ থেকে) মানুষ ও দেশের প্রতি সহানুভূতি এবং ভালবাসা সম্পর্কেও শিখেছি। কীভাবে দরিদ্রদের জন্য কাজ করা যায়।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতির কূটনৈতিক উপদেষ্টা ড. আনোয়ার বিন মোহাম্মদ গারগাশ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমি, ইউএনএফপিএর নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, ডব্লিউটিও মহাপরিচালক ড. এনগোজি ওকোনজো-ইওয়ালা এবং কার্টিয়ার ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সিরিল ভিগনেরন প্যানেলে বক্তৃতা করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী দুবাই এক্সিবিশন সেন্টারে দুবাই এক্সপো ২০২০-তে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন এবং ইউএই প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে মেরিন ক্যাডেটদের ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
আবারও তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী মমতা
বিধানসভা নির্বাচনে বিপুলভোটে জেতার ১০ মাস পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আবারও তার ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস দলের সভানেত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার সভানেত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের সদর দপ্তরে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বক্তব্য দেন। এসময় তিনি আগামী সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) পরাজিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় সঙ্গীত 'অবমাননা': মমতার বিরুদ্ধে সমন জারি
বিজেপিকে তাদের ‘প্রধান শত্রু’ হিসাবে অভিহিত করে মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘আমরা চাই বিজেপির বিরুদ্ধে সব দল এক হোক। কিন্তু কেউ যদি আমাদের কথা না শোনে, অহংকার নিয়ে দূরে সরে থাকে; তাহলে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়-আমরা একাই চলব।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ২ মে বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে ইতিহাস গড়েন মমতা ব্যানার্জি।
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে জিতে আবারও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা
উপনির্বাচনে জয়ের পথে মমতা
২ বছর আগে
জাতীয় সঙ্গীত 'অবমাননা': মমতার বিরুদ্ধে সমন জারি
দেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘অবমাননা’ মামলায় মুম্বাইয়ের একটি আদালত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন৷
বুধবার ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক নেতার দায়ের করা পিটিশনের প্রেক্ষিতে এই সমন জারি করা হয়েছে।
আদালত বলেছে, মমতার বিরুদ্ধে ‘ জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার’ প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বিচারক বলেন, যদিও অভিযুক্ত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, তবুও তিনি তার সরকারি দায়িত্ব পালন করেননি (মুম্বাইতে অনুষ্ঠান চলাকালীন)। তাই, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম চালাতে কোনো বাধা নেই।
আরও পড়ুন: সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখার্জী হাসপাতালে
ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘জনগণমন’ মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ভারত ভাগ্য বিধাতা’ গানের অংশ । ‘প্রিভেনশন অব ইনসাল্টস টু ন্যাশনাল অনার অ্যাক্ট, ১৯৭১’-এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত হলে, পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
যদিও এ বিষয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় এখনও কোনো মন্তব্য করেননি।
প্রসঙ্গত, মুম্বাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার সময় ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হলে মমতা ব্যানার্জি চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াননি বলে আদালতে অভিযোগ জানান বিজেপির এক নেতা।
আরও পড়ুন: ভারতে আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৭, দগ্ধ ১৫
সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ ভারতের
২ বছর আগে
পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি আর নেই
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রবীণ মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৭৫ বছর।
তার মৃত্যুর খবর শুনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি হাসপাতালে ছুটে যান। এসময় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতা বলেন, সুব্রতদা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আমার জীবনে অনেক ট্র্যাজেডি আছে। কিন্তু সুব্রতদার মৃত্যু আমার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে থাকবে। শুক্রবারই হাসপাতাল থেকে সুব্রতদাকে রিলিজ দেওয়ার কথা ছিল।
উল্লেখ্য,পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর দক্ষিণ কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
১৯৬০ এর দশকের শেষদিকে কংগ্রেসের ছাত্র শাখায় যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন কলকাতার প্রাক্তন এই মেয়র। সত্তর এর দশকের গোড়ার দিকে মাত্র ২৬ বছর বছর বয়সে তিনি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের মন্ত্রীসভার সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী হন।
এরপর ১৯৯৯ সালে তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এর এক বছর পরই তিনি কলকাতার মেয়র হন।
মাঝখানে কিছুদিনের জন্য তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়েছিলেন।
আরও পড়ুন: নারদা কেলেঙ্কারি: জামিন পেলেন পশ্চিমবঙ্গের ২ মন্ত্রী
ঘুষ নেয়ার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের ২ মন্ত্রী গ্রেপ্তার
বিশেষ ব্যবস্থায় দেশে ফিরলেন পশ্চিমবঙ্গে আটকা ৮১ বাংলাদেশি
৩ বছর আগে
বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবার বাড়িতে ফিরলেন
পশ্চিম বাংলায় ভারতীয় জনতা পার্টির(বিজেপি) সিনিয়র নেতা মুকুল রায় পুনরায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ঘটনায় বড় ধরনের ধাক্কা খেলো নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি।
শুক্রবার কলকাতার এক অনুষ্ঠানে মমতার উপস্থিতিতে ত্রিণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায় পুনরায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। মমতা বলেন, ‘মুকুল ঘরে ফিরেছে, সে কখনোই অন্যদের মতো বিশ্বাসঘাতক ছিল না। আরও অনেকেই ফিরে আসবে।'
মিডিয়াকে উদ্দেশ্য করে মুকুল রায় বলেন, ‘বিজেপি ছেড়ে আসার পর পুরনো সহকর্মীদের দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। ভারত এবং বাংলার একমাত্র নেতা হলেন মমতা।’
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা
উল্লেখ্য ২০১৭ সালে দল বদল করে মুকুল রায় চলে গিয়েছিলেন বিজেপিতে।
মূলত গত সপ্তাহে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক ব্যানার্জি মুকুল রায়ের অসুস্থ স্ত্রীকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পর থেকে মুকুল রায়ের দলবদল নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়।
পশ্চিম বাংলার সর্বশেষ নির্বাচনে মমতার দলের কাছে বিজেপির ব্যাপক ব্যবধানে হারের ঘটনার পর মুকুল রায়ের বিজেপি ছাড়ার ঘটনাটি দলটির জন্য অন্যতম বিপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৩ বছর আগে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় লাভ করায় তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা এক পত্রে ড. মোমেন এ অভিনন্দন জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ধারাবাহিকভাবে তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনে জনগণের সমর্থন লাভ করেছে, যা আপনার নেতৃত্বের প্রতি পশ্চিমবঙ্গের জনগণের অব্যাহত আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন। আমরা আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ, কারণ আপনি বাঙালির দীর্ঘ লালিত মূল্যবোধ ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ’ ধারণ করেছেন এবং এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু সারাজীবন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
ড. মোমেন উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান এবং সাম্প্রতিক বছরে দু’দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো আরো প্রসারিত হয়েছে। অবিভক্ত ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা, মূল্যবোধ এবং বংশানুক্রমিক সংযোগ দু’দেশের জনগণের সম্পর্ককে অনন্য ও শক্তিশালী করেছে। বিশেষকরে, পশ্চিমবঙ্গের জনগণ বাংলদেশিদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান দখল করে রেখেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিববর্ষ এবং বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের এ বিশেষ বছরে আমি পশ্চিমবঙ্গের জনগণসহ ভারতের জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের সমর্থন ও আত্মত্যাগকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনার অঙ্গীকার ও সহযোগিতার মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে এবং অনিষ্পন্ন বিষয়গুলোর সমাধান হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
ড. মোমেন আরো উল্লেখ করেন, অজানা শত্রু করোনাভাইরাসের কারণে সারাবিশ্ব নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জের সস্মুখীন হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ দু’দেশের পারস্পরিক সম্পদ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সকলে সম্মিলিতভাবে এ মহাবিপদ থেকে মুক্ত হয়ে শিগগিরই স্বাভাবিক জীবন ও জীবিকায় ফিরতে পারব ।
৩ বছর আগে
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা
ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বুধবার টানা তৃতীয়বারের মতো শপথ নিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি।
রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় তাজ ভবনে (গভর্নর হাউজ) ভারতীয় সময় বেলা ১১টায় পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর যগদীপ ঠাকুর ৬৬ বছর বয়সী মমতাকে শপথ পড়ান।
শপথ অনুষ্ঠান শেষে দিদি হিসেবে পরিচিত মমতা বলেন, ‘আমার প্রথম প্রাধান্য হলো কোভিড মোকাবিলা করা। সংকট মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে সে বিষয়ে বৈঠক করতে রাজ্য সচিবালয়ে যাব।’
পশ্চিমঙ্গের বিধানসভার নির্বাচনে মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস ২৯২টি আসনের মধ্যে ২১৩টি আসনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় এসেছে। রবিবার এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। তবে মমতা তার নিজের আসনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে প্রায় ২ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন।
৩ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় আম্পান ‘করোনাভাইরাস থেকে বড় বিপর্যয়’: মমতা
সুপার ঘূর্ণিঝড় আম্পানকে ‘করোনাভাইরাসের চেয়ে বড় বিপর্যয়’বলে বুধবার মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
৪ বছর আগে