ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার কেন্দ্রস্থলে একটি বহুতল ভবন ধসে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে প্রাণঘাতী এ হামলা করা হয়।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান জেরুজালেমে সাংবাদিকদের বলেন, লেবাননে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধ অবসানের সম্ভাব্য চুক্তির পথ পরিষ্কার করতে সহায়তা করেছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকাজুড়ে হামলায় আরও অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন।
নুসেইরাতে প্রাণঘাতী হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইসরায়েল বলছে, তারা হামাসকে নির্মূল করার চেষ্টা করছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিল এবং গাজায় যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল হামাস।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, হামাস জঙ্গিরা গাজার বেসামরিক জনগণের মধ্যে লুকিয়ে আছে।
এই যুদ্ধের কারণে গাজায় মারাত্মক মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অঞ্চলটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু অংশে দুর্ভিক্ষের বিষয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি অভিযানে গাজায় ৪৪,৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা ১৭ হাজারেরও বেশি বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে। তবে এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ দাখিল করেনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হন। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। প্রায় ১০০ জিম্মি এখনও গাজার অভ্যন্তরে রয়েছে, যাদের অন্তত এক তৃতীয়াংশ মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।