গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে রাতভর ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৮ শিশুসহ ২২ জন নিহত হয়েছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা হামলায় হতাহতদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাফাহতে প্রায় প্রতিদিনই বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। যেখানে গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষ যুদ্ধ থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে সংযমের আহ্বান সত্ত্বেও মিশর সীমান্তবর্তী শহরটিতে স্বাধীনতাকামী হামাসের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান সম্প্রসারণের অঙ্গীকার করেছে দখলদার ইসরায়েল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আগামী দিনগুলোতে আমরা হামাসের ওপর রাজনৈতিক ও সামরিক চাপ বাড়াবো, কারণ জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা ও বিজয় অর্জনের এটাই একমাত্র পথ। শিগগিরই আমরা হামাসের ওপর আরও ও বেদনাদায়ক আঘাত হানব।’ তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতে ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যায় ওমানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮
নিকটবর্তী কুয়েতি হাসপাতাল জানিয়েছে, রাফাহতে প্রথম ইসরায়েলি হামলায় এক ব্যক্তি, তার স্ত্রী ও তাদের তিন বছর বয়সী সন্তান নিহত হয়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এবং চিকিৎসকরা শিশুটিকে বাঁচিয়েছেন। দ্বিতীয় হামলায় একটি বড় পরিবারের ১৭ শিশু ও দুই নারী নিহত হন।
উম্মে করিম নামে এক আত্মীয় প্রশ্ন করে বলেন, ‘এই শিশুরা ঘুমিয়ে ছিল। কী করলেন তাঁরা? তাদের কী দোষ ছিল?’
মোহাম্মদ আল-বেহেইরি বলেন, নিহতদের মধ্যে তার মেয়ে রাশা ও ১৮ মাস বয়সী শিশুসহ তার ছয় সন্তানও রয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো এক নারী ও তিন শিশু রয়েছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ শিশু ও নারী। এতে গাজার দুটি বড় শহরে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। অঞ্চলটির প্রায় ৮০ শতাংশ জনসংখ্যা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশে পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: রাফাহ শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৬ শিশুসহ ৯ ফিলিস্তিনি নিহত