স্বাধীনতা পূর্ব ভারতের সমস্ত শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের এক ছাতার নিচে নিয়ে এসে অতিরিক্ত ভূমিকর ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। তার নেতৃত্বে কৃষক ও মজুররা একত্রে সংঘবদ্ধ হয়েছিলেন। ১৯২১ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করে মহাত্মা গান্ধী দেশ স্বাধীন করতে সমাজের প্রতিটি স্তরে জাতীয়তাবাদ বোধের উন্মেষ ঘটিয়েছিলেন।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০ বাণীতে তিনি পুরো দেশকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
১. আমার দেশপ্রেম কোনও মহার্ঘ্য বস্তু নয়। আমি সেই দেশপ্রেমে বিশ্বাসী নই যা অন্যান্য দেশবাসীর দেশপ্রেমকে খাটো করে।
২. সত্য হচ্ছে একটি বিশাল গাছের মতো, যা আপনি যত বেশি পরিমাণে লালন-পালন করেন তত বেশি ফল দেয়। সত্য একাই সহ্য করবে, বাকি সমস্ত জোয়ারের আগেই চলে যাবে।
৩. একতা একটি দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। সমাজের সকল স্তর, সকল শ্রেণি ঐক্যবদ্ধ হলে সেই দেশের উন্নতি অনিবার্য।
৪. মৃত্যু চিরন্তন সত্য। যিনি দেশের জন্য প্রাণ দেন মৃত্যু তার কাছে আশীর্বাদস্বরূপ। মৃত্যই হল এমন এক ধ্রুব সত্য, যার কোনো বিনাশ নেই।
৫. পরাজয় কাঙ্খিত নয়। তবে যুদ্ধ করে পরাজয় বা নতিস্বীকার অনেক যুদ্ধ জয়ের থেকে মহান।
৬. অহিংসা মানব জাতির পরম ধর্ম। হিংসা থেকে দেশকে, মানবজাতিকে দূরে রাখুন।
৭. গণতন্ত্র প্রকৃতপক্ষে ইচ্ছা এবং আদর্শের মিলিত রূপ।
৮. ক্ষমা তারাই করতে পারেন যারা সাহসী। কাপুরুষরা কখনও দোষীকে ক্ষমা করতে পারেন না।
৯. শুধুমাত্র বীরত্বই স্বাধীনতা অর্জনের প্রধান হাতিয়ার নয়। দেশবাসীর মিলিত ইচ্ছে এবং চেষ্টা স্বাধীনতা লাভকে ত্বরান্বিত করে।
১০. সবসময়েই পরিবর্তনকে স্বাগত জানানো উচিৎ। তাহলেই বিশ্বজুড়ে কাঙ্খিত পরিবর্তন দেখা যাবে।