কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক নারী শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা ও দলটির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা।
তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও পুলিশের ওপর কলকাতা হাইকোর্টের কোনো ভরসা নেই। সে কারণেই তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়ে পদত্যাগ করতে বলেছেন শেহজাদ পুনাওয়ালা।
তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কবে এই ঘটনার দায় নেবেন? কবে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেবেন? তার আর এক মিনিটও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার নৈতিক অধিকার, আইনি কর্তৃত্ব বা সাংবিধানিক উপযুক্ততা অবশিষ্ট নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের ব্যর্থ করেছেন তিনি। নিজের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায়ও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।’
তৃণমূল কংগ্রেসকে হিন্দুবিরোধী আখ্যা দিয়ে পুনাওয়ালা বলেন, ‘এই ঘটনার মতো স্পর্শকাতর একটি বিষয়েও তৃণমূলের হিন্দুবিরোধী মানসিকতার প্রকাশ দেখা যায়।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চেয়েছেন আরেক বিজেপি সাংসদ সঙ্গীতা যাদবও। তিনি বলেছেন, ‘নৈতিক দায় নিয়ে তার (মমতা) পদত্যাগ করা উচিত।’
আরও পড়ুন: চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যা: মমতার বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত ব্যর্থতার অভিযোগ ভারতের শিক্ষামন্ত্রীর
এদিকে, ন্যায়বিচার পেতে বিজেপি প্রতিবাদ থামাবে জানিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) নিজে মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী; তাহলে কার বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ মিছিল করলেন?... তিনি বিজেপিকে থামানোর চেষ্টা করছেন, আমরা তাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, এই আন্দোলন থামবে না এবং আমরা আমাদের প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।’
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হলের ভেতর থেকে এক জুনিয়র চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার হয়। ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।
এই ঘটনাটি দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়। চিকিৎসক সম্প্রদায়ের ভেতরে এবং বাইরেও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সারা ভারতে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা: ভারতজুড়ে ছড়িয়েছে বিক্ষোভ