প্রশান্ত মহাসাগরের আরও উত্তরে জাপানের কাছে টাইফুন আম্পিল আঘাত হানার পর শুক্রবার (১৬ আগস্ট) টোকিওতে বিমানের ফ্লাইট ও ট্রেনের সূচি বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয়দের শক্তিশালী বাতাস, ভারী বৃষ্টিপাত ও সম্ভাব্য বন্যা ও ভূমিধসের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, টাইফুন আম্পিল শুক্রবার সন্ধ্যায় টোকিওর কাছাকাছি জলসীমায় পৌঁছাবে। এরপর তা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার ভোরে উত্তর কান্তো ও তোহোকু অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়ার সৃষ্টি করবে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে টোকিওতে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬২ কিলোমিটার এবং ঝড়টি ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। আম্পিল টোকিও উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা নেই এবং রোববারের মধ্যে সেটি দুর্বল হয়ে ক্রান্তীয় ঝড়ে পরিণত হবে।
আরও পড়ুন: জাপানের হোক্কাইডো উপকূলে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প
টোকিওর ডিজনিল্যান্ড সাধারণত রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে টাইফুনের কারণে শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে সেটি বন্ধ হয়ে যায়।
জাপানের কেন্দ্রীয় রেলওয়ে জানিয়েছে, টোকিও ও নাগোয়ার মধ্যে চলাচলকারী শিনকানসেন বুলেট ট্রেনগুলো আজ সারা দিন বন্ধ ছিল। উত্তর-পূর্ব জাপান ও টোকিওর কিছু লোকাল ট্রেনও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে বা সময়সূচিতে পরিবর্তন করা হয়েছে।
টোকিওর দুটি বিমানবন্দর হানেদা ও নারিতার পাশাপাশি কানসাই, ওসাকা ও চুবু বিমানবন্দরের বেশ কিছু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ফ্লাইট বাতিলের কারণে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকটি মহাসড়কও আংশিকভাবে বন্ধ হতে পারে।
শুক্রবার সারা দিন টোকিওতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এবং দমকা বাতাস ছিল।
নাগরিকদের নদী ও সৈকত থেকে দূরে থাকতে এবং শক্তিশালী বাতাসের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছে স্থানীয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিপাতে জাপানে বন্যা ও ভূমিধস, বাস্তুচ্যুত শত শত মানুষ