কিয়েভে রাশিয়ার অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার প্রশাসনের শেষ মাসগুলোতে ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তা জোরদার করতে চান।
ন্যাটো সদর দপ্তরে মিত্র দেশগুলোর দূত ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের আগে বুধবার ব্লিঙ্কেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউক্রেন যাতে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে আত্মরক্ষা করতে পারে তা নিশ্চিত করতে আমরা যা করে চলেছি, তা অব্যাহত থাকবে।
রুশ বাহিনীর পাশাপাশি ইউক্রেনে উত্তর কোরিয়ার সেনা পাঠানোর বিষয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এর কড়া জবাব দেওয়া হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার সমীক্ষা বলছে, ইউক্রেনে উত্তর কোরিয়ার ১২ হাজার সেনা পাঠানো হয়েছে। এই সেনাদের বেশিরভাগই রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে বলে আশা করা হয়েছিল।’
এদিকে, ৭৩ দিনের মধ্যে কিয়েভে প্রথমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
এ বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ইউক্রেনীয়দের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে নিরুৎসাহিত করার প্রয়াসে রাশিয়া হামলা জোরদার করছে।’
আগামী বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর ওয়াশিংটন ইউক্রেনের বিষয়ে নিজেদের যুদ্ধনীতিতে পরিবর্তন আনতে পারে বলে সংশয় দেখা দিয়েছে।
কিয়েভকে কয়েক বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দেওয়ায় বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি দ্রুত সংঘাতের অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
তবে ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক সমর্থকদের আশঙ্কা, তাড়াহুড়া করে যেকোনো সমঝোতা হলে লাভবান হবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।