দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন।
রবিবার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনা ঘটে বলে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ৯টা ৩ মিনিটে ১৭৫ জন যাত্রী নিয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ছেড়ে আসে জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬। এর মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ান এবং দুইজন থাই নাগরিক ছিলেন। এ ছাড়া ছয়জন ফ্লাইট ক্রু ছিলেন।
বিমানটি চাকা না খুলেই অবতরণ করে এবং রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। ফলে রানওয়ের বাইরের দেয়ালে আঘাত করে। এই সংঘর্ষে বিমানটির মাঝের অংশ ভেঙে যায় এবং এতে আগুন ধরে যায়।
বিমানের পেছনের অংশ থেকে দুইজন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে বিমানটির বেশিরভাগ অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বাকি ১৭৯ জন যাত্রী ও ক্রুর মৃত্যু হয়েছে।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটি দেখা দেয়। সেকারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রথমবার অবতরণের চেষ্টা করার পর, ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটির কারণে বিমানটি পুনরায় আকাশে উঠে যায় এবং দ্বিতীয়বার পেটের অংশ দিয়ে অবতরণের চেষ্টা করে। এর পরই ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা।
টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটিতে আগুন ধরে যায়া। এরপর কালো ধোঁয়ার বড় কুণ্ডলি উঠতে শুরু করে। আরেকটি ফুটেজে দেখা যায়, অবতরণের চেষ্টা করার আগে বিমানের ডান দিকের একটি ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া ও আগুন বের হচ্ছে।
পরিবহন, ভূমি ও অবকাঠামো মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা একটি টেলিভিশন ব্রিফিংয়ে জানান, বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য ফ্লাইট ডেটা ও ভয়েস রেকর্ডার উভয়ই উদ্ধার করা হয়েছে।
পরিবহন মন্ত্রণালয় আরও জানায়, দুর্ঘটনার সঠিক কারণ নির্ধারণ করতে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।