শুক্রবার মধ্যরাতের ঠিক আগে নেপালের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে আহতদের সহায়তার জন্য হেলিকপ্টার এবং স্থল সেনারা ছুটে যান। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১২৮ জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন বলে শনিবার দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
অনেক জায়গার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নেপাল পুলিশের মুখপাত্র কুবের কাদায়াত বলেন, দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকারী হেলিকপ্টারগুলো সাহায্যের জন্য ওই অঞ্চলে উড়ে যায় এবং মাটিতে থাকা নিরাপত্তা বাহিনী ধ্বংসস্তূপ থেকে আহত এবং মৃতদের খুঁজে বের করার কাজ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: নেপালের রাজধানীর নিকটবর্তী জেলায় ৩টি ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসের কারণে অবরুদ্ধ রাস্তা ও পাহাড়ি পথও পরিষ্কার করছে সেনারা। হেলিকপ্টারগুলো সেখানকার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাকর্মী এবং ওষুধ নিয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহালও চিকিৎসকদের একটি দল নিয়ে হেলিকপ্টারে যান।
কাদায়াত বলেন, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল জাজারকোট জেলায় ৯২ জন নিহত এবং আরও ৫৫ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ভূমিকম্পে পার্শ্ববর্তী রুকুম জেলায় কমপক্ষে ৩৬ জন নিহত হয়েছে, যেখানে অসংখ্য ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে এবং কমপক্ষে ৮৫ জন আহত ব্যক্তিকে ইতোমধ্যে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সারা রাত অন্ধকারে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কাজ করে মৃত ও আহতদের পড়ে থাকা বাড়ি থেকে বের করে আনেন।
৮০০ কিলোমিটার (৫০০ মাইল) দূরে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির প্রাথমিক মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬ এবং এটি ভূপৃষ্ঠের ১১ মাইল গভীরে আঘাত হানে। নেপালের ন্যাশনাল ভূমিকম্প মনিটরিং অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ২৫০ মাইল উত্তর-পূর্বে জাজারকোটে।