মঙ্গলবার দেশটির এক সিনিয়র কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
মুজাফফরাবাদের কমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, তুষারধসের ঘটনায় ১০ জনেরও বেশি মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। নিহতদের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। হতাহতদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
তিনি আরও জানান, বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা পাকিস্তান-অধ্যুষিত কাশ্মীরের নীলম উপত্যকা থেকে পাওয়া গেছে। ভারি তুষারপাতের কারণে একাধিক তুষারধস, ভূমিধস এবং বৃষ্টিপাতের অন্যান্য ঘটনায় অনেক ঘরবাড়ি, যানবাহন ও দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, উপত্যকার লাওয়াত গ্রামে স্কুলে যাওয়ার পথে বিশাল এক তুষারধসের কবলে পড়ে প্রায় ১০ জন শিশু। তাদের মধ্যে তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এছাড়া উপত্যকার দক্কি চকনার এলাকায় ছয়টি বাড়ির ওপর তুষারধসের ঘটনা ঘটে। এতে ছয়জন প্রাণ হারায় এবং অনেক লোক আটকা পড়ে। আটকা পড়া লোকদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
তুষারধসে হতাহতের ঘটনায় পাকিস্তান-অধ্যুষিত কাশ্মীরের নেতারা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তারা বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে দ্রুত উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।