ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে শিশুসহ অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। এসময় দুইজন গুরুতর আহত হওয়াসহ অন্তত ১০জন নিখোঁজ রয়েছেন।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন হতাহতরা সবাই খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী এবং একটি বাড়িতে প্রার্থনারত অবস্থায় তারা চাপা পড়েছিল।
বৃহস্পতিবার(১৮ জানুয়ারি) রাতে সরকারের বেসামরিক প্রতিরক্ষা কার্যালয়ের আঞ্চলিক প্রধান এডনার দায়ানঘিরাং জানিয়েছেন, দাভাও দে ওরো প্রদেশের সোনার খনি নামে পরিচিত শহর মনকায়োর থেকে দূরবর্তী একটি পাহাড়ি গ্রামে ভূমিধসের ঘটনায় ৫ থেকে ১০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আরও ভূমিধসের আশঙ্কায় উদ্ধারকারীরা বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে আরও হতাহতের সন্ধানে তাদের অনুসন্ধান বন্ধ করে দেয়। শুক্রবার থেকে ফের তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।
দয়ানঘিরাং টেলিফোনে বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, 'ভূমিধসের সময় তারা ওই বাড়িতে প্রার্থনা করছিলেন। এটা দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা।’
তিনি বলেন, ভূমিধস ছাড়াও কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নিচু গ্রামগুলোও প্লাবিত হয়েছে এবং আরও দুটি প্রদেশের ছয় হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যা-ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭
স্থানীয় আবহাওয়ার পূর্বাভাসদাতারা এটিকে শিয়ার লাইন বলে অভিহিত করেছেন- অর্থাৎ এটি সেই কেন্দ্র যেখানে উষ্ণ এবং ঠান্ডা বাতাস মিলিত হয়। ফিলিপাইনের দ্বীপপুঞ্জে প্রতি বছর বিশেষ করে জুন মাসে শুরু হওয়া বর্ষা মৌসুমে অন্তত ২০টি ঝড় ও টাইফুন আঘাত হানে।
২০১৩ সালে ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন হাইয়ানের আঘাতে ৭ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হয়। এতে পুরো গ্রামে ধস নামে, জাহাজ ভেসে যায় এবং মধ্য ফিলিপাইনে ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।