স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এটি ছিল ভয়াবহ এক বিশাল বোমা হামলা, যা মনে করিয়ে দেয় জঙ্গি হামলার অন্ধকার দিনগুলোর কথা।
গভীর রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই বাগদাদের বাব আল-শারকি বাণিজ্যিক এলাকায় বৃহস্পতিবার বিরল এই জোড়া আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রতিশোধ নিচ্ছে ইরান: ইরাকে মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
এখন পর্যন্ত কোনো জঙ্গি সংগঠন হামলার দায় স্বীকার না করলেও এর পেছনে আইএস জঙ্গিরা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সামরিক কর্মকর্তারা।
এদিকে, অনেকে এ হামলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ নেয়ার এক দিন পরই হামলাটি চালানো হলো।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট সম্প্রতি ইরাকে যুদ্ধ কার্যক্রম বন্ধ করেছে এবং ধীরে ধীরে সেনা উপস্থিতি কমিয়ে এনেছে, যা আইএস পুনরুত্থানের আশঙ্কা বাড়িয়েছে।
ইরাকে ন্যাটোর প্রশিক্ষণ মিশন স্থগিত
ইরাকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসান মোহাম্মেদ আল-তামিমি জানান, এই হামলায় কমপক্ষে ৩২ জন নিহত এবং ১১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর বলেও জানান তিনি।
এর আগে মৃতের সংখ্যা ২৮ বলে জানিয়েছিল ইরাকের সেনাবাহিনী।
সোলাইমানির জানাজার পর কেঁপে উঠল ইরাকের ‘গ্রিন জোন’
জেনারেল অপারেশন কমান্ডের মুখপাত্র মেজর জেনারেল তাহসিন আল খাফাজি জানান, প্রথম আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ব্যস্ত বাজারের রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে চিৎকার করে বলেন যে তিনি অসুস্থ, যা তার চারপাশে আরও বেশি মানুষকে জড়ো হতে প্ররোচিত করে এবং ঠিক তখনই হামলাকারী বিস্ফোরণটি ঘটান।
দ্বিতীয় বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে এর অল্প সময়ের মধ্যেই।
ইরাকে সরকারি বাহিনীর গুলিতে ৪০ বিক্ষোভকারী নিহত
আল খাফাজি বলেন, ‘এটি আইএসের স্লিপার সেল দ্বারা সংঘটিত একটি সন্ত্রাসী হামলা।’
‘জঙ্গিদের নির্মূল করার জন্য সামরিক অভিযানে বিধ্বস্ত হওয়ার পরও আইএস তার অস্তিত্ব প্রমাণ করতে চেয়েছে,’ বলেন তিনি।