আমেরিকা অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ১ লাখ ২৯ হাজার ৭৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে জানিয়ে ডব্লিউএইচও বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলেই অর্ধেক শনাক্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে যথাক্রমে ৫৩ হাজার ২১৩ এবং ৪৮ হাজার ১০৫ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
ডব্লিউএইচও বলছে, এর পরেই রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল। এই অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৯৪৭ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৫৩৪ জন।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৩৯ হাজার ৩৭৮ জনে।
এছাড়া করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার ১১০ জনে।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। রবিবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭৭ হাজার চারজন এবং মারা গেছেন ৬৪ হাজার ২৬৫ জন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৫৬৪ জনে।
এ তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৫ জন এবং এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৬৫৫ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ২৮ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৮ জন আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৯৭৩ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।