লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলায় তিন শিশু ও সাত নারীসহ অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলি দাহিয়েহের জামুস এলাকার একটি ভবনে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিমান হামলা চালানো হয়।
স্থানীয় টিভি ফুটেজে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও বিশৃঙ্খলা দেখা গেছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হতাহতদের খোঁজে উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ জিহাদ কাউন্সিলের সদস্য ইব্রাহিম আকিলকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়।
আরও পড়ুন: হিজবুল্লাহর ঘোষণার পর লেবাননে ইসরায়েলের ১০০ বিমান হামলা
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র দানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, অভিযানের সময় লেবাননের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কমান্ডারদের সঙ্গে আকিল নিহত হন। তবে আকিলের অবস্থা সম্পর্কে হিজবুল্লাহ কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
এর আগে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল, লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলে প্রায় ১২০টি প্রজেক্টাইল ছোড়া হয়েছে, যার ফলে ইসরায়েলের অধিকৃত গোলান মালভূমি, সাফেদ ও গ্যালিলি উপত্যকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিস্ফোরেণ থেকে বেশ কয়েকটি জায়গায় আগুন লেগে যায়। তবে ওই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর প্রকাশ করেনি ইসরায়েলে।
লেবাননের সামরিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের ছয়টি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দিনের শুরুতে ১১টি সীমান্তবর্তী শহরে কামান থেকে গোলাবর্ষণ করেছে তারা।
আরও পড়ুন: লেবাননে পেজার বিস্ফোরণ ইসরায়েলের যুদ্ধ ঘোষণা শামিল: হিজবুল্লাহ প্রধান
চলতি সপ্তাহের শুরুতে লেবাননে যোগাযোগ ডিভাইস পেজার বিস্ফোরণে ৩৭ জন নিহত ও ২ হাজার ৯৩১ জন আহত হওয়ার পর ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে।
লেবানন সরকার এই বিস্ফোরণকে সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানিয়েছে এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক চেয়েছে। হিজবুল্লাহ তাদের ইউনিটগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য ইসরায়েলকে দোষারোপ করেছে এবং প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।