অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা এক ধরনের বিরল ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্তদের জন্য ব্যবহৃত ওষুধের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যুগান্তকারী আবিস্কার করেছেন।
সোমবার প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়া (ইউনিএসএ) এবং এসএ প্যাথলজি সেন্টার ফর ক্যান্সার বায়োলজির দল জানিয়েছে, তারা এমন একটি প্রোটিন দমন করার উপায় খুঁজে পেয়েছে; যা তীব্র মাইলয়েড লিউকেমিয়া (এএমএল) রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে।
এএমএল হলো এক ধরনের বিরল ক্যান্সার যা রক্ত এবং অস্থি মজ্জাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ রোগ নির্ণয়ের পাঁচ বছরের মধ্যে ৭০ শতাংশেরও বেশি রোগী মারা যায়।
আরও পড়ুন: আইনি লড়াই হেরে অস্ট্রেলিয়া ছাড়লেন জকোভিচ
প্রতিবেদনে প্রধান গবেষক স্টুয়ার্ট পিটসন বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি বছর প্রায় ৯০০ মানুষ এএমএল রোগে আক্রান্ত হয়। এটি এক ধরনের রক্ত ও হাড়ের ক্যান্সার, যাতে লিউকেমিক ব্লাস্ট নামক ক্যান্সারযুক্ত শ্বেত রক্ত কোষের অতিরিক্ত উৎপাদন হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘এই কোষগুলো সাধারণ শ্বেত রক্তকণিকাগুলোকে জমাটবদ্ধ করে, যার ফলে তাদের স্বাভাবিক সংক্রমণ-প্রতিরোধের কাজ করতে পারে না। এতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়, দেহে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায় এবং রক্তপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।’
গবেষকরা জানান, শরীরে লিপিড মেটাবলিজম মডিউল করা এমসিএল-১ নামক প্রোটিনকে বাধা দিতে পারে, যার ফলে ওষুধের প্রতিরোধশক্তি বৃদ্ধি পায়।
পিটসন বলেন, এএমএল-এর এই চিকিৎসা ব্লাড ক্যান্সার নিরাময়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে।