মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অসুস্থদের মধ্যে যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাদের একজনকে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পর দুজন ইতোমধ্যে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি চলে গেছে। তাদের একজনকে দিল্লির উত্তর রেলওয়ে হাসপাতাল থেকে ও আরেকজনকে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এআইআইএমএস) থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অপর একজন এখনও উত্তরখন্ডের এআইআইএমএসের রিসিকেশ হাসপাতালে পর্যবেক্ষণাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে শুরু হলো করোনার টিকাদান কর্মসূচি
টিকা নেয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়াদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগের জ্বর, মাথা ব্যথা এবং বমি বমি ভাব ইত্যাদি ছোটখাটো অসুস্থতা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
রবিবার পর্যন্ত দেশটিতে মোট ২ লাখ ২৪ হাজার ৩০১ জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। দেশব্যাপী কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ছয়টি রাজ্যে ৫৫৩টি কেন্দ্র থেকে দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতে অনুমোদন পেল করোনার দুই ভ্যাকসিন
অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোয়িং ইমুনাইজেশন (এইএফআই) টিকাদানের পরবর্তীতে কোনও অপ্রত্যাশিত মেডিকেল ঘটনা যা টিকা দেয়ার প্বার্শপ্রক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত নয়। প্রতিবেদন করার, টিকা কেন্দ্রের তাত্ক্ষণিক ঘটনা ব্যবস্থাপনা, পরিবহন এবং হাসপাতালে ভর্তি করা এবং এই জাতীয় ঘটনার বিষয়ে অধিকতর যত্নের প্রয়োজন রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, গুরুতর এইএফআইয়ের পদ্ধতিগত তদন্ত এবং কার্যকারিতা মূল্যায়নের জন্য প্রোটোকলও রয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনের সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন দিয়ে তুরস্কে শুরু গণ টিকাদান
অন্যান্য নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা যেনো ব্যাহত না হয় সেজন্য ভারতের সকল রাজ্যকে সপ্তাহে চারদিন কোভিড-১৯ টিকাদান চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কিছু রাজ্য ইতোমধ্যে সপ্তাহে কোন কোন দিন টিকা দেয়া হবে তা জানিয়ে দিয়েছে।
ভারতের সবচেয়ে বড় টিকাদানের এ কর্মসূচিতে দুই ধরণের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছিল। সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিনটি ভারতের সব রাজ্যে সরবরাহ করা হয়েছে অন্যদিকে ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’ দেশটির ১২টি রাজ্যে সরবরাহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্রুতই দিনে ১০ লাখ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবে যুক্তরাষ্ট্র: ফাউসি
ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিল জাতিসংঘ স্বাস্থ্য সংস্থা