পুলিশ জানান, গত বুধবার লালসার শিকার ২২ বছরের ওই তরুণী যখন বাড়ি ফেরেন তখন তার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। ঠিকমতো দাঁড়ানোরও ক্ষমতা ছিল না। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তার।
বেসরকারি একটি সংস্থায় কাজ করা ওই তরুণীর মা জানান, সকালে কাজে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল তার মেয়ে। তার পর থেকে মোবাইলেও পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও মেয়ে বাড়ি ফিরছে না দেখে পুলিশের দ্বারস্থ হন তারা।
কাজে যাওয়ার পথেই দলিত তরুণীকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ করে তার মা বলেন, তারা তাদের মেয়েকে রিকশা করে বাড়ি ফিরতে দেখেন তারা। তখন সে না পারছে হাঁটতে, না পারছে ঠিকমতো কথা বলতে। তার মা বলেছেন, আমার মেয়ে কাঁদছিল আর বলছিল, ‘আমাকে বাঁচাও, আমি মরতে চাই না’।
এর পর তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে লখনৌ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন সেখানকার চিকিৎসকরা। লখনৌ নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তার।
ঘটনা নিয়ে বলরামপুরের পুলিশ সুপার রঞ্জন বর্মা বলেন, ‘গিয়স্রি থানায় ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ভুক্তভোগী তরুণীর পরিবারের লোক জানিয়েছেন মঙ্গলবার মধ্যরাত অবধি বাড়ি ফেরেনি তরুণী। তাকে ফোনেও পাচ্ছিলেন না। পরে সে গভীর রাতে রিকশা করে বাড়ি ফেরে। তখন তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু বুধবার স্থানান্তরিত করার সময় পথেই মৃত্যু হয়।’
মেয়েটির পরিবার এই ঘটনার জেরে দুজন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে উল্লেখ করে ওই পুলিশ অফিসার বলেছেন, ‘ধর্ষণের পর নির্যাতিতাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্তরা। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হলে তারা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে রিকশায় চাপিয়ে নির্যাতিতাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।’
ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তাদের নাম শাহিদ ও সাহিল। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।