ইতালির দক্ষিণ উপকূলে ভূমধ্যসাগরে দুটি নৌকাডুবিতে ৬৪ জন নিখোঁজ এবং বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো। এসময় ১০ জনের লাশও উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১৮ জুন) দুটি পৃথক নৌকাডুবিতে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
জার্মান ত্রাণ সংস্থা রেসকিউশিপ সোমবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লিখেছে, পৃথক একটি নৌকার ধ্বংসাবশেষের মধ্যে উদ্ধারকর্মীরা কয়েক ডজন সন্দেহভাজন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে এবং ইতালির ছোট্ট ল্যাম্পেদুসা দ্বীপের কাছে একটি কাঠের নৌকার ডেকের নিচে আটকেপড়া ১০ জনের লাশ উদ্ধার করেছে।
বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ক্যালাব্রিয়া থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে ডুবে যাওয়া নৌকাটি আট দিন আগে তুরস্ক থেকে যাত্রা করেছিল। কিন্তু নৌকাটিতে আগুন ধরে সেটি উল্টে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ
ইতালির কোস্টগার্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফ্রান্সের একটি নৌকার সহায়তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। নৌকাটি এমন একটি সীমান্ত এলাকায় যাচ্ছিল, যেখানে গ্রিস ও ইতালি তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছিল। জীবিতরা এবং সাগরে এখনও নিখোঁজ ব্যক্তিরা ইরান, সিরিয়া ও ইরাকের নাগরিক বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো।
ইতালিয়ান মেরিটাইম রেসকিউ কোঅর্ডিনেশন সেন্টার তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধারস্থলের কাছাকাছি থাকা দুটি বাণিজ্যিক জাহাজকে সরিয়ে নেয়। ইউরোপীয় সীমান্ত এবং কোস্টগার্ড এজেন্সি ফ্রন্টেক্সের সম্পদও সহায়তা করেছে।
বেঁচে যাওয়াদের রোকেলা জোনিকার ক্যালাব্রিয়ান বন্দরে নিয়ে আসা হয়েছে। যেখানে তাদের নামিয়ে দিয়ে চিকিৎসা কর্মীদের সেবার জন্য হস্তান্তর করা হয়। উদ্ধার হওয়া ১১ অভিবাসীর মধ্যে একজন অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।
দ্বিতীয় নৌকাডুবিতে, রেস্কশিপের নৌকা নাদিরে থাকা ক্রুরা কাঠের নৌকায় ৬১ জনকে দেখতে পান। যারা পানিতে ডুবছিল।
তারা বলেছে,‘আমাদের ক্রুরা ৫১ জনকে বের করে আনতে সক্ষম হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন অচেতন ছিলেন।’ ‘নিহত ১০ জন নৌকার নিচের ডেকে আটকে পড়েছিলেন।’
আরও পড়ুন:ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় প্রকাশ