এদিকে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র বিল ডি ব্লাজিও জানিয়েছেন, ‘ইন-লার্নিং’ শিক্ষায় দেশের বৃহত্তম স্কুল ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হবে এবং সপ্তাহে অনেক শিশু ক্লাসে উপস্থিত হবে। করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের কারণে স্কুলগুলো ফের বন্ধ করা হতে পারে, ডেমোক্র্যাট মেয়রের বক্তব্যের ঠিক ১১ দিন পরই এই ঘোষণা দেয়া হলো।
তিনি বলেন, ‘স্কুলগুলো নিরাপদ রাখার বিষয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী।’
অ্যান্থনি ফাউসি এবিসি’র এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড সংক্রমণের মাত্রা হঠাৎ করে ঘুরে দাঁড়াবে না।’
তিনি বলেন, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহ আমরা একই পরিস্থিতি দেখব এবং দুই বা তিন সপ্তাহের ব্যবধানে সংক্রমণের মাত্রা আরও বাড়তে পারে।’
আরও পড়ুন: কোভিডে মৃত্যু বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৪.৬ লাখ
এছাড়া রবিবার ফক্স নিউজের এক অনুষ্ঠানেও একই সতর্ক বার্তা দিয়ে ফাউসি বলেন, ‘থ্যাংকসগিভিং হলিডেতে ভ্রমণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণ নিশ্চিতভাবেই তীব্র হতে যাচ্ছে।’
করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৭৬ হাজার ১১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮৩৮ জনের।
এছাড়া জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৪ লাখ ৫৮ হাজার ৩৬০ জনে।
ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ২৬ লাখ ৭০ হাজার ১৫৩ জনে।