দক্ষিণ গাজার শহর রাফাহর পূর্বাঞ্চল থেকে অন্তত ১ লাখ ফিলিস্তিনিকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের এ নির্দেশ গাজায় তেল আবিবের দীর্ঘ-প্রতিশ্রুত স্থলাভিযানের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ ঘটনা মিসরে যুদ্ধবিরতি আলোচনাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
রবিবার হামাসের মর্টার হামলায় ইসরায়েলের চার সেনা নিহত হওয়ার একদিন পরই এমন আগ্রাসনের দিকে যাচ্ছে তেল আবিব।
সোমবার নেতানিয়াহু বলেন, অক্টোবরে হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে যে হামলা চালিয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি যেন ভবিষ্যতে না করতে পারে, সে কারণেই হামাসের ‘শেষ গুরুত্বপূর্ণ শক্ত ঘাঁটি’ রাফাহতে অভিযান চালাবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, ইসরায়েলের গড়িমসি
যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকার প্রায় ১৪ লাখ মানুষ রাফাহতে আশ্রয় নিয়েছে। ফলে রাফায় ইসরায়েলের এমন কর্মকাণ্ডে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে গোটা ফিলিস্তিন।
ইসরায়েলের এমন হুমকির পর নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ব মোড়লরা। রাফাহতে হামলার বিরোধিতা করেছে ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে ইসরায়েলকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে ওয়াশিংটন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ধরনের হামলায় গাজার মানবিক বিপর্যয় আরও খারাপের দিকে যাবে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন গাজার নারীরা: ইউএনআরডব্লিউএ
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর কায়রোতে দুই পক্ষকে এক টেবিলে বসাতে সমর্থ হয়। তারপর তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি ও স্থায়ীভাবে গাজায় আগ্রাসন থামানোর প্রস্তাব উপস্থাপন করে তারা। প্রথম ধাপে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির শর্তে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে হামাস জানিয়েছে ইসরায়েলে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে বেসামরিক নারী জিম্মিদের মুক্তি দেবে তারা। পরবর্তী ধাপে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে এবং এ ধাপে গাজা থেকে কিছু সেনা প্রত্যাহার করবে ইসরায়েল। শেষ ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা ও শর্তাবলি নিয়ে আলোচনা হবে।
তবে রাফায় এমন হামলা হলে যুদ্ধবিরতি আলোচনা ভিন্ন দিকে মোড় নেবে বলে মনে করছে কাতার।