সেই সাথে তদন্ত কমিশন গঠনের জন্য মিয়ানমারকে স্বাগত জানিয়েছে দেশটি।
সোমবার এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ার সরকার জানায়, ‘আমরা মিয়ানমারকে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন এবং মানবাধিকার অপব্যবহারের অন্য কোনো প্রমাণ খুঁজে বের করতে উৎসাহিত করি।’
ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দোষীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। এ কারণে অস্ট্রেলিয়া জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন এবং এর স্বাধীন তদন্তে সহায়তা করেছে। সেপ্টেম্বরে হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপিত হলে আমরা সেখানে প্রতিক্রিয়া জানাব।’
অস্ট্রেলীয় সরকার উল্লেখ করে, নিজ দেশে প্রত্যাবাসনকারী রোহিঙ্গাদের জন্য রাখাইন রাজ্যে উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য একটি সমঝোতা সইয়ের (এমওইউ) মাধ্যমে ইউএনডিপি এবং ইউএনএইচসিআর-এর সাথে কাজ করতে সম্মতি জানিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে মিয়ানমার।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে এসব পদক্ষেপ কার্যকর করার জন্য তাদের পূর্ণ প্রবেশাধিকার দেয়ার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
বিবৃতিতে আরো আহ্বান করা হয়, ‘আসুন আমরা রাখাইন রাজে্য প্রয়াত কফি আনানের পরামর্শক কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে তার প্রতি সম্মান জানাই।’
গত ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের এক বছরপূর্তি হয়েছে।
বিবৃতিতে অস্ট্রেলীয় সরকার জানায়, ‘রোহিঙ্গা সংকট আমাদের অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয়। কক্সবাজারে নয় লাখের বেশি শরণার্থী বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাকি পাঁচ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে।’
যৌন ও লিঙ্গ সহিংসতার শিকার অনেক নারী ও শিশু তাদের পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছে। আন্তর্জাতিক সহায়তা ছাড়া তাদের মৌলিক মানবিক চাহিদার পূরণের কোনো উপায় নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশ সরকারের উদারতা দেখানো এবং এতো বিশাল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত জনসংখ্যাকে আতিথেয়তা দেয়ার জন্য প্রশংসা করি।’
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের দুর্দশার ওপর আলোকপাত করে অস্ট্রেলিয়া জানায়, ‘আমাদের ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ মানবিক সহায়তা রাখাইন রাজ্যে জরুরি সরবরাহ এবং কক্সবাজারে খাদ্য, আশ্রয়, পরিষ্কার পানি ও অপরিহার্য স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা করছে।’
‘আমাদের সহায়তা নারী ও শিশুদের প্রয়োজনের দিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যারা পাচারসহ সহিংসতা ও নির্যাতনের ঝুঁকি মধ্যে থাকে’, উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
অস্ট্রেলিয়ার সরকার জাতিসংঘের সংস্থা ও এনজিওগুলোর অক্লান্ত কাজ জন্য ধন্যবাদ জানায় এবং পূর্ণ ও অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকারের প্রয়োজনীয়তা কথা পুনর্ব্যক্ত করে।