সম্প্রতি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জরুরি মানবিক সহায়তার জন্য এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দানকারী দেশগুলোর জন্য সহায়তা উৎসাহিত করতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা যৌথভাবে দাতা সংস্থাগুলোর অংশগ্রহণে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ইউএন এজেন্সি, এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সর্বাধিক অভাবী ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য নতুন বরাদ্দ অর্থ খরচ করবে।
ইইউ’র অনুদানের মাঝে শরণার্থী ও স্থানীয় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সাহায্যে মানবিক সহায়তা হিসেবে থাকছে ৫১.৫ মিলিয়ন ইউরো। যার মধ্যে জরুরি সহায়তা রিজার্ভ থেকে ২০ মিলিয়ন ইউরো নতুন বরাদ্দ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এখানে অগ্রাধিকারের খাতগুলো হলো সুরক্ষা (শিশু সুরক্ষা, জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতাসহ), গুরুতর স্বাস্থ্যসেবা (মানসিক স্বাস্থ্যসহ) এবং পুষ্টি, খাদ্য সহায়তা ও সমন্বয়।
উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং রাখাইন রাজ্যে স্থানীয়ভাবে বাস্তুচ্যুত লোকদের স্বাভাবিক অবস্থায় প্রত্যাবর্তন ও সামাজিক স্থিতিশীলতা জোরদারের জন্য ৩৯ মিলিয়ন ইউরো রয়েছে।
এটি মৌলিক সামাজিক পরিষেবাগুলোকে শক্তিশালীকরণ, বিশেষত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার পাশাপাশি সুরক্ষা ও তথ্যগত সমস্যা সমাধান করবে।
এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখতে সংঘাত রোধে সাহায্য হিসেবে ৫.৫ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের অগাস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর সহিংসতা শুরুর পর সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এছাড়া, আগে থেকে আশ্রয় নেয়া আরও চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা নিয়ে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে কক্সবাজার।