মঙ্গল ও বুধবার লেবাননে যোগাযোগ ডিভাইস পেজার লক্ষ্য করে যে বিস্ফোরণ ঘটেছে তা ‘ইসরায়েলের যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ বলে মন্তব্য করেছেন হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ।
ইসরায়েলকে ‘সব রেড লাইন’ অতিক্রম করায় অভিযুক্ত করে বৃহস্পতিবার নাসরুল্লাহ বলেন, হামলায় ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। তবে এই হামলা হিজবুল্লাহকে দুর্বল করবে না।
তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখবে, বিশেষ করে গাজা ইস্যুতে আমরা প্রতিরোধ অব্যাহত রাখব। আমরা আরও শক্তিশালী হব এবং যে কোনো বিপদ মোকাবিলায় নিজেদের সক্ষম করে তুলব।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর লড়াই গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় প্রভাব ফেলেনি: যুক্তরাষ্ট্র
প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করে নাসরুল্লাহ বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এ ঘটনার প্রতিশোধ নেব, তবে কখন বা কোথায় তা নির্দিষ্ট করছি না। তোমরা তা জানতে পারবে না, কিন্তু সরাসরি প্রত্যক্ষ করবে।’
নাসরুল্লাহর ভাষণের পরপরই ইসরায়েলি জঙ্গিবিমান বৈরুতের শব্দ ব্যারিয়ার ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছে যে তারা হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লেবাননে ‘যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা’ অনুমোদন করেছে। এর অংশ হিসেবে দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর অবস্থানগুলো লক্ষ্য করে নতুন করে বিমান হামলা শুরু করেছে।
এদিকে, লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আবিয়াদ জানিয়েছেন, লেবাননজুড়ে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে, এছাড়া আহত হয়েছেন ২ হাজার ৯৩১ জন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে আত্মঘাতী ড্রোন হামলার দাবি হিজবুল্লাহর
এখন পর্যন্ত কোনো ইসরায়েলি কর্মকর্তা পেজার বিস্ফোরণের দায় স্বীকার না করলেও হিজবুল্লাহ এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা করার সময় থেকেই হামলা শুরু করেছে হিজবুল্লাহ। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে গুলি বিনিময় চলছে। তবে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সঙ্গে লড়াই সম্প্রতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। এটি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তা একটি পূর্ণ যুদ্ধের রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।