শ্রীলঙ্কার সংসদ নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়ী হয়েছে দেশটির নতুন মার্কসবাদী প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকের নির্বাচনি জোট ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি)।
নির্বাচনে ২২৫টি আসনের মধ্যে এনপিপি ১৫৯টি আসনে জয়লাভ করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। আর এনপিপির নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধীদলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস পাওয়ার পার্টি পেয়েছে মাত্র ৪০টি আসন।
১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করার পর থেকে শ্রীলঙ্কার ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলগুলোই দ্বীপরাষ্ট্রটি শাসন করে আসছিল। তবে চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সেসব দলকে পেছনে ফেলে জয়ী হন প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকে ও তার জোট এনপিপি।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মার্ক্সবাদী দিশানায়েকের জয়
অবশ্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় সংসদ নির্বাচনে এনপিপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। সংসদের নিয়ন্ত্রণ নিতে হলে ন্যূনতম ১১৩টি আসনে জয়ের প্রয়োজন ছিল এনপিপির। তবে বিপুল ব্যবধানে জয়ের ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্য দলের ওপর আর নির্ভর করতে হবে না দলটির।
এনপিপির শীর্ষ কর্মকর্তা তিলভিন সিলভা এই বিজয়কে ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ঐক্যের ফল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার মতে, দেশের সব প্রান্তরের ভোটাররা একক কর্মসূচির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এজন্য বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চলের তামিল ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। নিজেদের সম্প্রদায়ের বাইরের একজন নেতার ওপর আস্থা রাখায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সিলভা।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই জয়ের গুরুত্ব খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি। জনগণ আমাদের ওপর অগাধ আস্থা রেখেছে এবং আমাদের সেই আস্থার প্রতিদান দিতে হবে।’
শ্রীলঙ্কার আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনি ব্যবস্থায় সংসদীয় ২২৫টি আসনের মধ্যে ১৯৬টি আসনে দলগুলো প্রতিনিধি দিতে পারে। প্রতিটি জেলায় প্রাপ্ত ভোটের অনুপাত অনুসারে দলগুলোর মধ্যে এই আসনগুলো বণ্টন করা হয়। অবশিষ্ট ২৯টি আসনকে ‘জাতীয় তালিকার আসন’ বলা হয়। দেশব্যাপী স্বতন্ত্র দলগুলোর প্রাপ্ত মোট ভোটের অনুপাত অনুসারে সেগুলো বণ্টন করা হয়।