শনিবার ওই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত অডিও টেপের কথা জনসম্মুখে স্বীকার করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট, যেটি তুরস্ক বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তাদের দিয়েছে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ অবসানের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য প্যারিসের উদ্দেশে যাত্রার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
‘গত ২ অক্টোবর ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় কারা জড়িত তাদের পরিচয় প্রকাশে ‘স্বচ্ছভাবে’ কাজ করা উচিৎ সৌদি আরবের। আমরা সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেনকে অডিও টেপ দিয়েছি,’ বলেন এরদোগান।
‘তারা (সৌদি কর্মকর্তারা) কথোপকথন শুনেছেন এবং তারা এ ব্যাপারে জানত। এটিকে বিকৃত করার কোন প্রয়োজন নেই। তারা নিশ্চিতভাবে জানে যে, ওই ১৫ জনের মধ্যে কে বা কারা খুনী।’
তুর্কি প্রেসিডেন্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৫ সদস্যের দলের কথা উল্লেখ করেন। তুরস্ক বিশ্বাস করে যে, কনস্যুলেটের ভেতর খাসোগিকে হত্যা করার জন্য ওই দলকে পাঠানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র পরিচালক জিনা হ্যাস্পেল গত মাসে তদন্তের জন্য তুরস্ক সফর করে এবং এই হত্যাকাণ্ডের অডিও রেকর্ড শুনেন। রেকর্ডটি মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে যায়, কিন্তু এখন পর্যন্ত এটি জনসম্মুখে প্রচার করা হয়নি।
তুরস্ক জানায়, সৌদি যুবরাজের কট্টর সমালোচক ও যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত সাংবাদিক খাসোগিকে ইস্তাম্বুলে কনস্যুলেট প্রবেশের পরপরই শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডটি পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। পরে তার লাশ টুকরো টুকরো করে এসিড বা রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে গলিয়ে ফেলা হয়েছে। যাতে কোনো আলামত খুঁজে না পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, সৌদি সাংবাদিক খাসোগি গত ২ অক্টোবর বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর যান। সেখান থেকে তাকে আর বের হতে দেখা যায়নি।
তার নিখোঁজের ঘটনাটি তুরস্ক, সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত বিষয় হয়ে ওঠে।
পরে নিখোঁজের দুই সপ্তাহ পর খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করে সৌদি আরব।