সৌদি আরবের জাজান বন্দরনগরীতে হুতি বিদ্রোহীদের হামলায় জাজান বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন লাগার খবর নিশ্চিত করেছে বার্তাসংস্থা এপি।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) ভোর রাতে হুতিদের ড্রোন ও মিসাইল হামলা প্রতিহত করার চেষ্টায় সৌদির পাল্টা আক্রমণে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়।
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সৌদি জোটের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ড্রোন ও মিসাইল হামলা প্রতিহত করার জন্য পাল্টা হামলায় সেগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে জাজান বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে এসে পড়লে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী রোহিঙ্গারা বিবেচিত হচ্ছেন বাংলাদেশি হিসাবে: সৌদি দূত
সৌদি জোটের দাবি, ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে পাঁচটি ব্যালাস্টিক মিসাইল এবং বোমা বহনকারী চারটি ড্রোন দ্বারা হামলা চালায়। হুতি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের রাজধানী সানা শহর থেকে হামলা পরিচালিত হয়েছে বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়। এর আগেও হুতিরা সৌদি আরবের ওপর এমন হামলা চালায়।
২০১৪ সালে মনসুর হাদির পতন ঘটিয়ে ইয়েমেনের রাজধানী সানা শহরের দখল নেয়। এর ফলে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হাদি প্রশাসন পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। আর সেই থেকেই ইয়েমেনে বিদ্রোহ দমনে হুতিদের সাথে যুদ্ধ করছে সৌদি জোট।
জাতিসংঘের মতে, যুদ্ধের কারণে ইয়েমেনে এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ২ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে যুদ্ধের পরোক্ষ কারণে মারা গেছে ১ লাখ ৩১ হাজার মানুষ। দেশটির প্রায় ২ কোটি লোক খাদ্য সংকটে চরম খাদ্যাভাবে ভুগছে। খাদ্য সংকট, চিকিৎসার অভাব এবং প্রশাসনের দুর্নীতির কারণে ইয়েমেনের মানুষ চরম বঞ্চনার দিন যাপন করছে।
আরও পড়ুন: সৌদি সহায়তায় ৮ বিভাগে নির্মিত হবে আট ‘আইকনিক মসজিদ’: প্রধানমন্ত্রী
মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই অবস্থার জন্য সকল পক্ষকেই দায়ী করলেও, সৌদি জোট বিভিন্ন সময়েই ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ হত্যা করেছে।