যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে অর্থাৎ আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি না দিলে হামাসকে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১,২০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হন। এছাড়া ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল।
ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে ট্রাম্প সেসব বন্দিদের মুক্তির বব্যস্থা নিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে সমালোচনা করেন।
ট্রাম্প বন্দিদের পরিস্থিতির নিন্দা জানিয়ে তাদের প্রতি আচরণকে সহিংস ও অমানবিক বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, তাদের মুক্তি না দিলে অভূতপূর্ব প্রতিশোধ নেওয়া হবে এবং অপহরণের জন্য দায়ীদের কঠোর পরিণতি হবে।
সম্প্রতি হামাস একটি ভিডিও প্রকাশ করে। তাতে ২০ বছর বয়সি ইসরায়েলি-আমেরিকান জিম্মি এডান আলেকজান্ডারকে দেখা যায়। গত বছরের ৭ অক্টোবরের হামলার সময় তাকে অপহরণ করা হয়। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় আলেকজান্ডার নিজের মুক্তির আবেদন জানান এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন।
নেতানিয়াহু বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রক্রিয়া চলছে। তা সত্ত্বেও যুদ্ধ শুরুর এক বছরেরও বেশি সময় পরে এটি নাগালের বাইরেই রয়ে গেছে। গাজায় ইসরাইলি সামরিক অভিযানও অব্যাহত।
এদিকে, নভেম্বরে লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি এরই মধ্যে লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল।
সোমবার হিজবুল্লাহ দুটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল। যদিও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং হিজবুল্লাহর যেকোনো লঙ্ঘনের জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।